বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:১০ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশন, এটা রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশন নয়। ইউরোপ, আমেরিকার পার্লামেন্টে যদি যোগ্য নেতার অভাব না হয়, তাহলে আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের পার্লামেন্টের নেতা তৈরির কারখানা বানাব। আমরা যোগ্য অ্যাকাডেমিশিয়ান তৈরি করলে নেতা অটোমেটিকলি তৈরি হয়ে যাবে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমনা ৩০ টি ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে মোট ৯টি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
ক্লাব প্রতিনিধিরা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, চাকসু নির্বাচন, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হলের সিট বরাদ্দ, শাটলের শিডিউল বৃদ্ধি ও চক্রাকার বাস চালু, খাবারের মানোন্নয়ন, টিএসসি প্রতিষ্ঠা, লাইব্রেরী আধুনিকীকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোমেশন সিস্টেম চালু, শিক্ষক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালু, যথাসময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, নারী নিরাপত্তা সেল গঠনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক্সট্রা কারিকুলামে যুক্ত থাকুক এবং নিজেদের সমৃদ্ধ করুক। একটা বিষয় আপনারা খেয়াল রাখবেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা শিক্ষার্থীরাই আন্দোলন করেছেন, আপনারা নির্যাতিত হয়েছেন। আপনাদের দ্বারা কেউ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয়। এই বিষয়টি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ‘যারা বিভিন্ন ক্লাবের সাথে যুক্ত থাকেন তাদেরকে বেশি পছন্দ করি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাজ যেগুলো প্রশাসন বা বিভাগ করতে পারে না সেগুলো এই ক্লাবগুলো করে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনারা যদি অ্যাক্টিভলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন আমি মনে করি আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলিত হবে এবং নতুনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার আরও বলেন, ‘তোমরা যেসমস্ত দাবি দাওয়া উত্থাপন করেছো আমরা এইসবের অধিকাংশ বিষয়ে ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হব। আমরা সবাই মিলেমিশে এক পরিবার হয়ে কাজ করব। আমরা হার্ভার্ড, এমআইটির সাথে তুলনা করব না। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের উজ্জ্বল একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’