বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১১ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৫ পিএম
যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করছেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ। প্রবা ফটো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তারা নিজ নিজ পদে যোগদান করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হক।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান শেষে অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও ছাত্র সমন্বয়ক, সাংবাদিক সমিতি ও প্রেস ক্লাবের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমরা একটি পরিবার। আমরা সবাই মিলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করবো। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সবাই যার যার অবস্থান থেকে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।'
কুবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী চুয়াডাঙ্গার জেলার সদর উপজেলার রাজারপাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর জাপানের বিখ্যাত তায়োহাশি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ২০০১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাইবার সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। কেননা এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা। আমরা একে অন্যের পরিপূরক। সততা, নিয়মানুবর্তিতা এবং দায়িত্ববোধ থেকে আমরা বুদ্ধি ও বিবেকের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিযে যাবো।’
অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ঢাকা জেলার উস্কাটন গার্ডেনে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে বিএসএস, এমএসএস এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি এর আগে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১২ বছর, ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রভোস্ট ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাওয়ায় মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শোকরিয়া আদায় করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের নিকট সার্বিক সহযোগিতা চাই।’
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পার্লিস থেকে ২০১৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৭ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় তার বেশ সুনাম রয়েছে। ২৫টির বেশি গবেষণা নিবন্ধ স্থানীয় এবং স্কোপাস লিস্টেড আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মতবিনিময় ও প্রশাসনিক কাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বিকাল ৫টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শিলার সন্তান, কুমিল্লা ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র সারাফ সামির জামান মেঘকে দেখতে যান।