প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১২ পিএম
সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুস সামাদের অপসারণের দাবিতে দশম দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল রয়েছে অধিদপ্তরটি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে কয়েক শ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশ নেন। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণা না থাকা এই কর্মকর্তা বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ কারণে তাকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভায় মহাপরিচালক তার নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে গোপনে সব আয়োজন শেষ করেন। এছাড়া সভায় তিনি তার পছন্দের মাত্র ৬ জন ব্যক্তিকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন, যাদের সবার কাছ থেকেই সভার দিন সকালবেলা বক্তব্যের স্ক্রিপ্ট জমা নেন।
স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সুপারিশে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিন মাস হতে চললেও তিনি ছয়-সাত বছর ধরে একই শাখায় কাজ করা এবং বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগীদের এখনো বদলি করেননি। সব বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও পদলোভী কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি তার মহাপরিচালক পদ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুর রজ্জাক সিদ্দিকী বলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অপসারণ না হলে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমকি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ মাঠপর্যায়রে সকল দপ্তরে (বিদ্যালয় বাদে) মহাপরিচালকরে অপসারণরে দাবিতে ব্যানার টানানো, এক ঘণ্টার র্কমবরিতি ও কালো ব্যাজ ধারণ র্কমসূচি পালন করা হবে।
সমাবেশে নাসিমা বেগম (পরিচালক), উপপরিচালক আলেয়া ফেরদৌসি শিখা, আব্দুল আলীম, নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক এনামুল হক, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুস সেলিম, সহকারী উপজলো শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম তকিবুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির পক্ষে মো. আব্দুল হালিম, খায়ের আহমদ মজুমদার, আব্দুল মতিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।