রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:১৪ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:১৮ পিএম
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. এজেডএম মোস্তাক হোসেনসহ তার পিএস ইসমাইল হোসেন এবং জনসংযোগ শাখার সেকশন অফিসার ও ডিন অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জামাল উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনস্থ একাধিক মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন। এ সময় ভিসি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের না পেয়ে তাদের পদত্যাগের দাবি জানান তারা। এর আগে ২৮ আগস্ট এই শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘেরাও করেন। ওই দিনেও ভিসিসহ এই দুই কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার পর রামেবির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, ভিসির দপ্তরের সামনে মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এ সময় তারা দপ্তরে ভিসিকে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে ক্যাম্পাসে কর্মকর্তাদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় তারা ভিসির রুমে তালা ঝুলিয়ে যান এবং ভিসি মোস্তাক, তার পিএস ইসমাইল এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা ও ডিন অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জামাল উদ্দিন মণ্ডলের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে ভিসি অনুপস্থিত থাকায় তাদের সার্টিফিকেট সংগ্রহে বিভিন্ন রকম হয়রানি ও দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই চিত্র ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই। এই ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও লিয়াজোঁ অফিস খোলার নিয়ম না থাকলেও ভিসি মোস্তাক ঢাকায় অফিস খুলে সেখানে অবস্থান করেন এবং প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন। তাকে সহযোগিতা করেন তার পিএস ইসমাইল ও জনসংযোগ দপ্তরের জামাল উদ্দিন। এই জামাল ও ইসমাইল আত্মীয়। তা ছাড়া জামাল ও ইসমাইলের সার্টিফিকেট ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। ইন্টার পাস ইসমাইল হোসেন জাল সার্টিফিকেটে চাকরি করছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী পাবলো প্রতীক বলেন, ‘আমার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। আমার মতো এমন আরও তিনজন আছেন। আমরা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে এখন সার্টিফিকেটের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির জন্য পরিবারের মানুষ দুশ্চিন্তায় আছেন। এই সার্টিফিকেটের জন্য আমরা দেশে ফিরতে পারছি না।’
পাবলোর মতো লাবনী আক্তারও পাস করে সার্টিফিকেটের জন্য বসে রয়েছেন। তিনি বলেন, ভিসি, রেজিস্ট্রার ও কন্ট্রোলার না থাকায় তার সার্টিফিকেটে সই হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রসঙ্গে কথা বলতে রামেবির ভিসি মোস্তাক হোসেন, পিএস ইসমাইল ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জামালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ধরেননি।