বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪০ পিএম
অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ। প্রবা ফটো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক
মুসতাক আহমেদকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন
বকুল বলেন, গত রবিবার অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে তারা বিভাগের কাছে আবেদন করেন যে বিচার
না হওয়া পর্যন্ত যেন অভিযুক্ত শিক্ষক কোনো প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত
না থাকেন।
তিনি বলেন, যেহেতু মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে, তাই
সোমবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিভাগের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি
দেওয়ার। এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না।
এর আগে রবিবার দুপুরে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক
ড. মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় হাসিনা সরকারের গণহত্যাকে
উস্কে দেওয়া, নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিভাগের বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাৎ,
ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দেওয়া, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে
অপসারণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগের প্রমাণসহ বিভিন্ন কাগজপত্র
আবেদনপত্রের সঙ্গে রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে
১৯২ শিক্ষার্থী তার অপসারণের দাবিতে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে
যেন অংশ নিতে না পারেন সেই দাবি জানিয়ে বিভাগের সভাপতি বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগও
দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তার অপসারণের দাবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে
একটি ব্যানার টাঙিয়ে এবং অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের ব্যক্তিগত চেম্বারে তালা
ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।