বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৪ ২২:৪০ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায়
এখন কোনো কর্মসূচি নেই জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহারের ঘোষণা
দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ। একই সঙ্গে
তিনি জানিয়েছেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে তারা তাদের পরবর্তী করণীয়
সম্পর্কে জানাবেন। এ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি নতুন চার দফা দাবিও তুলে ধরেছেন তারা।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ এসব কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ১ জুলাই
থেকে সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি।
আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান
করেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।’
এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা বরাবরই
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন দেশব্যাপী নানা
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট
করে বলতে চাই, আমরা কারও অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। নির্বাহী
বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধান করেছে, আমরা মনে করি তাতে
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ
আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী
এবং আমাদের উপর্যুক্ত দাবিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
‘এই মুহূর্তে
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। সারা দেশে আন্দোলনরত
শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় আপনাদের জানাব। পরিশেষে
আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার সঙ্গে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের
কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে আমরা ঘৃণা করি,’ বলেন সুজয়
বিশ্বাস শুভ।
নতুন চারটি দাবি হলোÑ অনতিবিলম্বে হল
খুলে দিতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলা বা হয়রানি
করা যাবে না; শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো
ধরনের হয়রানি করা যাবে না এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের
নিরাপদ, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোটা
সংস্কারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা
মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।