চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৩ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৪ পিএম
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনের নাম আকরাম, অন্যজনের নাম মো. ফারুক। আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
আকরামের পুরো নাম ওয়াসিম আকরাম। আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী । তাকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদর এলাকায়।
অন্যদিকে ফারুকের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি নগরীর শোলকবহর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় থাকতেন।
সরেজমিনে জানা যায়, বেলা ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহর আশপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুই নম্বর গেটের এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর করেন তারা।
সবশেষ পাওয়া তথ্য মতে, ষোলশহর শিক্ষা বোর্ড এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। মুরাদপুর অংশে অবস্থান নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। দুই নম্বর ও ষোলশহর এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। কোটা আন্দোলনকারীরাও লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।
নিহত আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে।