বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৭ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪ ২১:৪১ পিএম
গত শুক্রবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে রাজধানীর অনেক স্থানেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। প্রায় সব স্থান থেকে পানি নেমে গেলেও বৃষ্টি থামার পর ৫০ ঘণ্টা পরও নামেনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আবাসিক এলাকার অধিকাংশ ভবনের নিচতলা ও আঙিনার পানি। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে বুয়েট কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। শুক্রবার বৃষ্টির কারণে দুপুরের আগেই ভবনগুলোর নিচতলায় পানি প্রবেশ করে। সেই পানি এখনও নামেনি। গতকাল শনিবার এই পরিস্থিতি আরও নাজুক ছিল বলে জানান বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প পানিতে শিশু-কিশোররা মাছ ধরছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া মুহাম্মাদ মাহিন আবাসিক এলাকায় জমে থাকা পানিতে মাছ ধরছে। জানতে চাইলে শিশু মাহিন বলে, পানি আরও বেশি ছিল, তাই নামতে পারিনি। আজকে পানি কিছুটা কমছে, তাই মাছ ধরতেছি। তেলাপিয়া মাছের পোনা পেয়েছি অনেকগুলো। এগুলো নিয়ে অ্যাকুরিয়ামে রাখব।
ভারী বৃষ্টি হলেই বুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায় বলে জানান আবাসিক এলাকাটিতে বাস করা বুয়েটের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা গিয়াসউদ্দিনও এখানে বাস করেন। তিনি বলেন, গত দুইদিন অনেক পানি ছিল। আমার বাসার ভেতর পানি ঢুকে গেছিল। বাসার সবকিছু হাঁটু পানির নিচে। বৃষ্টি একটু বেশি হলেই পানি আটকে যায়। এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। সিটি করপোরেশন থেকে ড্রেন পরিষ্কারে খুব বেশি মনোযোগ দেয় না। যারা পরিষ্কার করতে আসে তারাও ভালোভাবে পরিষ্কার করে না।
বুয়েটের প্রধান প্রকৌশল দপ্তরে কাজ করা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নাসিমা শাহীন বলেন, নিচ তলায় যাদের বাসা তাদের জন্য এটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা এবং বুয়েট কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুরান ঢাকার সুয়ারেজ লাইনগুলো বেশ সরু। পানি যেতে না পেরে জমে যায়। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নাই। আমাদের যাদের নিচের তলায় বাসা ছিলো একটি পরিবারও গত দুইদিন ঘুমাতে পারেনি। এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়।