নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৬ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৫ পিএম
রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবীর। প্রবা ফটো
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা। যেখানে উল্লেখ আছে উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার কিংবা শিক্ষক কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি। তবে সেই আইন মানছেন না জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবীর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে রেজিস্ট্রারকে আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পাসে অবস্থানের কথা বলা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলছেন তিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন ময়মনসিংহ শহরে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ১ম সংবিধির ১৩তম দফায় বলা আছেÑ ‘রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মকর্তা হইবেন।’ কিন্তু সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন ড. মো. হুমায়ুন কবীর। ক্যাম্পাসে বরাদ্দকৃত আবাসিক ভবনে থাকেন না তিনি। প্রতিদিন অফিস করেন ময়মনসিংহ শহর থেকে। যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাস।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান ড. হুমায়ুন কবীর। এর আগে তিনি সাড়ে আট বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ সময় ধরে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে রেজিস্ট্রার পদটিতে নিয়োগের প্রধান শর্তই হলো তাকে আবাসিক কর্মকর্তা হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুষার কান্তি সাহা বলেন, ‘ছুটিতে না থাকলে যদিও তাকে অফিস টাইমে পাওয়া যায়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আইনে যদি আবাসিকভাবে ক্যাম্পাসে থাকার কথা বলা থাকে তাহলে সেটি মানা উচিত।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদিও না থাকার কারণ তার নিকট থাকতে পারে, কিন্তু আইনে বলা থাকলে তাকে ক্যাম্পাসে থেকে দায়িত্ব পালন করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যদি এ বিষয়ে অবগত হন, তাহলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে সমুন্নত রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসেও থাকি। যেহেতু ময়মনসিংহ শহর থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব খুব বেশি নয়, সেহেতু ময়মনসিংহ শহরে থাকা আর ক্যাম্পাসে থাকা একই কথা। এটাকে ক্যাম্পাসে থাকাই বলে।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘তাকে স্থায়ী করার সময় নিয়োগপত্রে আবাসিকভাবে ক্যাম্পাসে থাকার শর্তটি উল্লেখ করা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটি আছে বলেই তাকে এ শর্ত দেওয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’