চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৯ পিএম
চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান প্রথম পত্রের বদলে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। সেই প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের হাতেও চলে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ওই কেন্দ্রে ব্যাপক হইচই হয়। পরে দুই ঘণ্টা পর বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিজয় সরণি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ দিন সকাল ১০টা থেকে পদার্থ বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আগামী ১৪ জুলাই পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার দিন নির্ধারিত আছে।
এ বিষয়ে বিজয় সরণি কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব শিব শংকর শীলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার জানান, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে কেন্দ্র সচিব বা তাদের প্রতিনিধিকে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা ঠিক ছিল। লিখিত পরীক্ষায় সমস্যা দেখা দেয়। পরে বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা শিক্ষা বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনকে জানাই। শিক্ষা বোর্ডের পরামর্শে দ্রুত সময়ে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন তুলে নিয়ে প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু করতে বলা হয়।
শেষ পর্যন্ত দুপুর ১২টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হয়। তবে হিসাব বিজ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যার পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে দুই ঘণ্টা পর পরীক্ষা শুরু হয়ে তিনটায় শেষ হওয়ায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ভোগান্তিতে পড়েন। বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান সকালে অনেকেই ঠিকমতো খেয়ে আসেনি। এর মধ্যে ৫ ঘণ্টা কেন্দ্রে অবস্থান করায় শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহ। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।