প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪ ১৩:০৪ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪ ১৫:০০ পিএম
বুধবার সকালে শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুরে সর্বোচ্চ আদালত থেকে রায় আসার পরও তারা রাজপথ ছাড়েনি। প্রবা ফটো
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অর্থাৎ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সে অবস্থাই থাকবে। আপিল বিভাগের এ রায়েও সন্তুষ্ট নয় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
তারা বলছে, তাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। যতক্ষণ কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার না আসবে ততক্ষণ তারা রাজপথেই থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুরে সর্বোচ্চ আদালত থেকে রায় আসার পরও তারা রাজপথ ছাড়েনি।
রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, ফার্মগেট, চানখাঁরপুল, শনিরআখড়া, সাইনবোর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক অচল হয়ে আছে।
রায় আসার পর দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ মাইকে ঘোষণা করেন, ‘হাইকোর্ট থেকে আজ যে রায় আসুক না কেন আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। হাইকোর্টের রায়ে আমাদের আন্দোলন প্রভাবিত হবে না। তারা যতক্ষণ পর্যন্ত একটা কমিশন গঠন করে সব সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা নিশ্চিত না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।’
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনের নেতারা অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। একটি কমিশন গঠন করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখতে হবে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির সব চাকরিতে।’