বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪ ১৩:০২ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪ ১৩:২৫ পিএম
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস এবং কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্য ভবন মোড়, বাংলামোটর, ফার্মগেট মোড় অবরোধ করেছে। এদিকে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড় ছাড়াও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক গুলিস্তানের জিপিও মোড়ও অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠানামার র্যাম্পও অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেছে আগারগাঁও মোড়।
আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছে।
‘সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা থাকতে পারে’
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে সড়ক ও রেল অবরোধ কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়, সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা থাকতে পারে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোটা বাতিলের আন্দোলন নয়, বরং বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের আন্দোলন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, আমরা মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করছি না। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের জন্য যেকোনো ধরনের রিওয়ার্ড নিয়ে আমরা কখনও প্রশ্ন তুলিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগসুবিধার পরিধি আরও বিস্তৃত করলে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু নাতিপুতি কোটার আমরা বিরোধিতা করছি।’