বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪ ০০:১৩ এএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪ ০০:১৩ এএম
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো সামার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্ক সাংস্কৃতিক জোট এবং এইচএসটিউ ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এই ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) বিকাল ৫টার দিকে টিএসসির সম্মুখে সামার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।
সামার ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, প্রফেসর ড. মো. মাহাবুব হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড.মো. মামুনুর রশিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন আকাশ এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক,সহকারী প্রক্টর, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ও শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, ‘আমরা চাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তমনা সংস্কৃতি বিকশিত হোক। আমরা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বসে তাদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলো মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট তুলে ধরব। হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ ঈদুল আযহা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কনসার্ট আয়োজনের বিষয়টিও মাথায় রেখেছি।
সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু বলেন, ‘হাবিপ্রবি পূর্বে যেমন সংস্কৃতিমুখী ছিল এই ধারাটি এখন থেকে আরও বেগবান হবে। আমরা সব সময়ের জন্য চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলো তাদের সংস্কৃতি এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ড সবার মাঝে তুলে ধরুক। আমরা হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সব সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই। যেকোনো শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকাণ্ডে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সবার আগে থাকবে।
এছাড়াও বক্তব্য দেন অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকান্ত কুমার মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম ইমন। আরও বক্তব্য দেন এইচএসটিউ ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি হাসিবুল হক সৌরভ এবং এইচএসটিউ ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান উৎস।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া সামার ফেস্টিভ্যালটি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছে। অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা বাঙালির চিরাচরিত পোশাক লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরিধান করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। কেউ কেউ আবার লুঙ্গির সাথে ফতুয়া,গেঞ্জি,শার্ট পরিধান করেছেন। টি এস সি প্রাঙ্গণে খাবারের দোকান, লুঙ্গি গামছা এবং শৌখিন পণ্যের দোকান পরিলক্ষিত হয়। এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন।