আসিফ নূর
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩২ পিএম
এখানে সমুদ্রের পেটে চিরদিন আড়াআড়ি ঘাই মারে
পাহাড়ের বেয়াড়া কোণ; তাই এই নিরালার চর
রংধনু, কাস্তেচাঁদ আর ধনুকের বুকের মতোই বাঁকা।
ফণাতোলা ঢেউফেনাদের সাথে এই তীরে আছড়ে পড়ত
লাল-নীল-বেগুনি-গোলাপি নানা রঙিন পোয়াতি ঝিনুক।
নোনা হাওয়ার রাগী মধ্যাহ্নে দামাল সূর্যের তাজা তেজে
বালুরাশি অসহ্য উত্তপ্ত হলে সশব্দে খোলস ফেটে
ঝিনুকের গুপ্তচর মুক্তারা ছিটকে বিলাত দ্যুতির বাহার।
এখন মুক্তার চরে মুক্তার দেখা দূরে থাক, ঝিনুকের
ভাঙা খোলসের ছোট্ট একটি টুকরার চিহ্নও নেই!
শামুক-তারামাছ ছড়ানো সেই মায়াবী ছবি সম্পূর্ণ উধাও;
তাই ঝিনুক কুড়ানিরা আর এদিকে আসে না কেউ ভুলে।
পাগলা জোয়ারের রাতে আজকাল মুক্তার চরে হঠাৎ
ভেসে আসে মরা তিমি-ডলফিনÑ মধুপূর্ণিমার আলোয়
ধু-ধু শূন্যতায় পড়ে থাকে কাছিমের সকরুণ লাশ।