ফারুক আজম
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৮ পিএম
নববর্ষ এসেছে টাইমস স্কয়ারে, আসেনি গাজার আকাশে
ফোটেনি আতশবাজি আনন্দের, পুড়েছে বোমার আগুনে ফিলিস্তিন
শত বছরের রক্ত যায়নি মোছা অবিরাম ধারা তাতে শুধু বুটের ছাপ
কে ঘোচাবে গ্লানি, লাঞ্ছনার স্তূপীকৃত ক্ষোভ আবর্জনা যেন পৌরসভার ট্রাক?
মিসাইল স্নানে আজ পুড়ছে রাফার শরণার্থী শিবির নৃশংস উন্মাদ উন্মত্ততায়।
পুড়ছে হাসপাতাল, পুড়ছে রোগীর বেড, পুড়ছে শিশু অকেজো ইনকিউবেটরে।
মুক্তিযোদ্ধার তপ্ত নিঃশ্বাসে প্রতিশোধের ঘৃণা, ৩৩ হাজার মানুষের লাশ
২৫ হাজার শিশু নারীর শব পথে ছড়ানো, কুকুর আর শকুনের খাদ্য
বিধ্বস্ত দালানকোঠা, মৃত্যুর করাল গ্রাস, এরই মধ্যে ঈদের নামাজ
মঙ্গল শোভাযাত্রা, আজ দূর করে দেবে কি ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা?
লক্ষ লক্ষ জনতার প্রতিবাদী মিছিল আজ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপে
একস্বরে উঠেছে স্লোগানÑমুক্ত হোক প্রমিথিউস ছিন্ন করো মেডুসার মুণ্ডু
সেই ঐকতান তলিয়ে দিচ্ছে ড্রোনের উপর্যুপরি পৈশাচিক উল্লাসে
লোলুপতা বাড়িয়েছে নখ, লাশের ওপর নির্মিত হবে সামুদ্রিক রিসোর্ট।
হে গাজার নিরীহ অসহায়, নিহত মানুষ, তোমাদের কথা হয় না উচ্চারিত
আনন্দ উৎসবে, এরই মধ্যে তুমি কি হচ্ছ বিস্মৃত, বিলীয়মান কোন দুঃস্বপ্ন?
আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াইনি, বুকে বুলেট নিয়ে, অনাথ শিশুর কান্না থামাতে
পারিনি আলোহীন হাসপাতালে ছিন্নভিন্ন শরীর সেলাই করতে
আমাকে কেবল অপরাধী করে দিচ্ছে আমার অসহায়ত্ব।
বৈশাখ কি আসবে না মত্ত ঝাপটায় ঝঞ্ঝা পাখি আবাবিল
স্বৈরাচারী শক্তি ভাসিয়ে দিয়ে নুহের সুনামি? এসো হে বৈশাখ
উগ্রবেগে উড়িয়ে দিয়ে জরা মৃত্যু ক্ষুধা, ধ্বংস, নিপীড়ন,
এসো হে বৈশাখ রক্ত দোলায় উঠুক বেজে সকল শিশুর মুখে।