টিপু সুলতান
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪১ পিএম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৩ পিএম
নির্জন বসবাস
এই ডাঙায় মানুষ হওয়ার অপেক্ষা থেকে নিজের
লাশ সৎকার করেছি, ভেসে যাওয়া—
—জাহাজের মতো;
—নির্জন বসবাস, গোছানো চোখ, সমুদ্র সন্ধ্যায়—
চোখ দুটোর গোসল সেরে আবার মাটিতে শুয়ে
দিই, শরীর, ব্ল্যাক কফির পাশে। তল্লাটের মানুষ
থেকে অন্ধকার ফিরিয়ে দেয়, যত্নে সাজানো অর্ধেক
—ব্যস্ততা।
...সৎকারের ভেতরে ঢুকে পড়া চারজন মানুষ—
কাছে আসবার কম্পনে ফের টের পাইয়ে দেয়
আগলে রাখা ইশারা—চরম নিশ্চয়তায়
ছবি আঁকে
তার নির্জনতা সঞ্চয় করেছি
অধিক রাত্রির পাশাপাশি চাঁদ এসে দেয়াল তুলে
দাঁড়িয়ে আছে
চোখ মেললে তাতে কারও রুপালি জন্ম দেখতে পাই
অনাগত রূপ
এই বৃষ্টির দিনে—শহর ঘুমায়, পাখিদের গাছ
কোনো এক সন্ধ্যায় বারামখানা সংলাপ এনে
দূরের জানালায় ছড়িয়েছে রামধনু আলো—
হলুদ নির্জন বয়ে যায় ঢাউস ছায়ার শাদা তোড়
অথচ তুমি নামছ না, পাতার চিরকুট এখানে
তুড়িয়া বাজায়—এক গোসলে—এক পৃথিবী
খালি পায়ে—নিরক্ষর হাওয়া, মৃত তারাদের
হরবোলা তীর্থনাচ এমন—
মেসোপটেমিয়া গানের হল্লাসুরে কেঁপে ওঠে—ফুল
গীত শিরার গহিনে চেঁচিয়ে যায় চলন্ত ট্রেন
দুপাশে দাঁড়ানো অনাগত রূপ—ঝরে পড়ছে
বহুদূর হতে ডাকে বেড়াল, পূর্বপুরুষের মতো;
ইরিক্ষেতের ডানা
অবিরাম ইরিক্ষেতের ডানায় উড়ে আসছে
পাখিদের সেলাই করা সন্ধ্যায়—খসে পড়া
অর্ধেকের চাঁদ, মেরিল রোড—
ডেটল সাবানের বীর্যপাত গন্ধ,
জন্মান্ধ পোশাকের পায়চারিতে—লেগে থাকা
রোদ-রেলস্টেশন, টার্মিনাল—নিঃসঙ্গ শুভ্র
বালক
কুড়োচ্ছিল পৃথিবীর চোখ, বৃষ্টির—হামাগুড়ি...
কেবল ঘড়ির শ্লোক সম্রাটে তুমি সরে যাচ্ছ
হরিণীর সারা গায়ে—ডাঁসা জলছাপ
ঢেউ
নূপুরের মতো
স্নায়ুপাখির সবুজ খসড়া জঙ্গল,
মানুষের শরীর হতে হলুদ রোদ, ফসলি—পাখি
দীর্ঘ দেশ—আয়নার মতো; ঘুমিয়ে না পড়লাম
রক্তজবা ব্যঞ্জনা
সন্ধ্যায় ডালিমদানার সাক্ষাতে সেসব হাসছে
কবিতার কাগজে মোড়ানো শীতল শিরোনাম
আর তুমি স্থির জমে থাকা রক্তজবা ব্যঞ্জনায়
নাকফুলের অভিজ্ঞানে সেসব পড়ে চলেছ
কাউতালি শব্দ কখন ট্রেন হয়ে ছুটে যাচ্ছে
ঈশ্বরদী জংশন-পথের গায়ে ভাঙাচোরা গ্রাম—
শাদাকালো টিভির অ্যান্টেনা ঘোরানো হাতে
সুতোর ববিনে উড়তে থাকা সহজিয়া ঘুড়ি
তুমি জানো না, আমাদের শিরার গহিনে খেলা
বেশুমার নদীর পিঠ বয়ে এনেছিল—পিছুটান
লুকোছাপা সম্পর্ক, তাতে জন্মেছে বাদামবন