কবিতা
সেলিম মাহমুদ
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৪ পিএম
হালদা
আইউব সৈয়দ
নদীর কালের স্রোত জীবনশিল্পের বিস্ময়কর।
থইথই করছে ওই অসীমের অন্তহীন সীমা;
হেঁয়ালির অন্তরালে ছল ভাঙা যাওয়া-আসার
পথচিত্র যেন Ñ তরজমার গুণে বিশ্বাসী স্বর।
কখনো জলরঙের গভীর গভীরতর রেখা...
উপমার অস্থিবাদে সুর সাধে, ওড়ায় বয়স;
প্রত্যক্ষে-পরোক্ষে আত্মস্বভাবী ঢেউ ঝিকিয়ে তোলে
দুই তীরে। যথাবিধি ‘সুয়াবিল’ মিথে পাই দেখা।
নদীর কালের স্রোত বাঁক ঘুরে, নোঙর জানে না,
সন্ধানী ও অভিসারী ফেনা তরঙ্গিত রাতদিন;
জোয়ারের মান-যশ বুঝি তীরপ্রান্তে ছুটে আসে...
মায়াবীর মতো আধুনিক ভোগবাদিতা মানে না।
যে স্বীকৃতি লিরিক- লাবণ্যে দু’পাশে প্রবহমান,
সে আনন্দে আপ্লুত হই ‘হালদা’তে মেলাই প্রাণ।
বিরিশিরি
সেলিম মাহমুদ
ফুল-কাঁটা পরাগধানী বইবার যদি পাও
একবার নদীটির কুলকুল নাও।
বিহানের রোদ পরশে লাগে না নাইবার কালে
বেণির বুননে বোধ কেমন বাঁধালে।
হররোজ পঞ্জিকার পাতা প্রয়োজন নেই
প্রয়োজন খোলা বোতামে হাওয়ার ঢেউ।
রাখো এই খণ্ড এই বিরিশিরি
পর্বতের সানুদেশে ভালোবাসা-গিরি।
জলমগ্ন পথ
নীহার মোশারফ
সে খুব বেশি ভালোবাসে দূরের আকাশ
জলমগ্ন পথ, অসম্ভব রঙ
যেখানে খেলা করে পানকৌড়ি
ডাহুকের ডাকাডাকি
দ্বিধাহীন চোখে নদী
রুমঝুম স্বপ্নে জেগে ওঠে আষাঢ়ের চাঁদ।
আমার সোহাগে সে।
কত পুরুষ আসে-যায়
ভাসা ভাসা খেলায় সময় কাটায়।
কাছে টানে কে তারে?
পাগলা হাওয়া নাকি বৈরাগী প্রেম
তুমুল আষাঢ় ঝরে মনে।
হায়দরি হাঁক দেয় মাঝি।
সান্নিধ্যে নেই কেউ, কদমপাতা নিরুপায়
সরীসৃপ চুপচাপ শয্যার পাশে...