× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অবেলায় অসময়

রেজাউল করিম খোকন

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৫ পিএম

 অবেলায় অসময়

বিকালে হাতিরঝিলে গাছের ছায়ায় একটা কংক্রিটের বেঞ্চে গা এলিয়ে বসে ছিল সে।

আশপাশে কত লোকজন, নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ঘুরছে। হাসাহাসি করছে। মজা করছে। সবার আনন্দ-উচ্ছ্বাস, হাসি-মজা দেখতে দেখতে তার মনটাও আনন্দে ভরে ওঠে। হঠাৎ তার নিজের কথা মনে হতেই এক ধরনের অস্বস্তির বোঝা বুকের মধ্যে চেপে বসে। দীর্ঘদিন পর বিদেশ থেকে ঘরে, নিজের পরিবারে আপনজনদের কাছে ফিরলেও তারা কেউই সহজভাবে, স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেনি তাকে। তার ফিরে আসাটা মেনে নিতে পারেনি তারা। গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতায় এটা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে মাসুদ।

গত এক জীবনে সে অনেক ভুল করেছে। সে ভুলগুলো আবার করতে চায় না। সহজভাবে মেনে নিয়ে তাকে আগের মতো গ্রহণ করবে। গোটা পরিবারটিতে অস্বস্তি কেটে সুস্থ, সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।

নিজের জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা ভাবতে গিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায় মাসুদ। আশপাশের কোনো কিছুরই খেয়াল থাকে না। হঠাৎ খিদে পাওয়ায় তার চিন্তার জাল ছিঁড়ে যায়। হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা লোকজন, দর্শনার্থীর জন্য বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মোবাইল রেস্টুরেন্ট রয়েছে। চটপটি-ফুচকার দোকানও রয়েছে কয়েকটি। আবার অনেক দিন পর ঢাকা শহরের চটপটি, ফুচকার স্বাদ নিতে একটি দোকানের দিকে এগিয়ে যায় মাসুদ। দোকানের মালিক একজন মহিলা। নিজেই চটপটি, ফুচকা রেডি করে কাস্টমারদের সার্ভ করছে। মাথায় ওড়না প্যাঁচানো থাকায় মহিলার বয়সটা বোঝা যায় না। তবে চল্লিশ পেরোয়নি। শরীরের গঠন দেখে অনুমান করা যায়।

নিজের জন্য ভালোভাবে টকঝাল বেশি করে ফুচকার অর্ডার দিয়ে সেখানে পাতা একটি চেয়ারে বসে অমনোযোগী দৃষ্টিতে মহিলার নিপুণ হাতে ফুচকা রেডি করাটা দেখতে থাকে সে। দোকানে কাস্টমারের তেমন ভিড় নেই। দ্রুতই তার জন্য ফুচকা রেডি করে নিয়ে আসে মহিলা।

ফুচকার প্লেটটা তার হাত থেকে নিতে গিয়ে চোখাচোখি হয়ে যায়। হঠাৎ তার দৃষ্টি আটকে যায় ওড়নায় আড়াল করা মুখের দিকে। মহিলাও তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছে। এভাবে কয়েক মুহূর্ত কেটে যায়। কেউ কিছু বলে না। দুজনই নির্বাক হয়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ।

এত বছর পর দেশে ফিরে এভাবে আবার মালার মুখোমুখি হতে হবে, ভাবতে পারেনি মাসুদ। পাকিস্তানি নারী মাহিরার কবলে পড়ে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাওয়াপাওয়াগুলো জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে। তার অবর্তমানে পরিবারের কর্তা হিসেবে অনুপস্থিতির কারণে নিজের পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন তার হাতে মাহিরার ৫ কোটি টাকা থাকলেও আসলে একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে নিঃস্ব, রিক্ত, অসহায়।

‘আপনি মাসুদ ভাই না! কতদিন বাদে আপনারে দেখলাম। শুনছিলাম, দেশান্তরি হইছেন। কবে আইছেন দেশে? ভালো আছেন আপনি?’

মালার পরপর কয়েকটি প্রশ্নে কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সে। প্রায় বারো বছর আগে যার ভয়ে দেশ ছেড়েছিল, যে তার জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল; এতদিন হাজার হাজার মাইল দূরে কাটিয়ে এসে আবার তার মুখোমুখি হতে হলো তাকে!

মালা ততক্ষণে মুখ থেকে ওড়নাটা সরিয়ে ফেলেছে। বয়স বেড়েছে কিছুটা। এক যুগ আগের চেহারায় যে ধরনের উজ্জ্বল্য, প্রাণবন্ত, সতেজ চমকানো একটা ভাব ছিল তা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। তার বদলে এক ধরনের মলিন, বিমর্ষ, অনুজ্জ্বল ছায়া গ্রাস করেছে যেন।

মালার মুখের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে মাসুদ। তার হাত থেকে ফুচকার প্লেটটা নিতে গিয়েও থমকে যায়। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে যায়। হাতিরঝিলে আসা লোকজন, দর্শনার্থীর ভিড়বাট্টা, হইচই, কোলাহলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা এক জোড়া নরনারীর হৃদয়ের স্পন্দনের শব্দ হারিয়ে যায়।

‘মালা, তুমি কেমন আছো? অনেক দিন পর তোমাকে দেখলাম। এভাবে তোমাকে দেখব ভাবিনি,’ নীরবতা ভেঙে মাসুদ কথাগুলো বলে। তার মধ্যে এক ধরনের বিব্রতভাব ফুটে উঠছে। কোনোভাবেই মালার সামনে থাকতে ইচ্ছা করছে না। যদি এখান থেকে একছুটে দূরে কোথাও তার চোখের আড়ালে চলে যেতে পারত, তাহলে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচতÑ তেমন একটা ভাব আবিষ্কার করে মালা।

‘আমি আছি, এই তো, যেমন দেখতাছেন। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।’

‘তুমি এখানে ফুচকা, চটপটির দোকান খুলছ, এ কাজে কতদিন?’

‘নাঃ এ দোকান আমার না। আমি এখানে কাজ করি। আমার কাজ দোকানডা চালানো। মাস শেষে বেতন পাই। এই আর কি! এইভাবে কোনোরকম বাঁচার চেষ্টা কইরা যাইতেছি। আপনার পরিবারের সবাই কেমন আছে? আপনার বউ, মেয়ে দুইটা কেমন আছে? তারা তো এতদিনে বেশ বড় হইছে মনে হয়।’

মালার কথাগুলো শুনে আবার মনের মধ্যে গভীর দুঃখবোধটা চেপে বসে। তার কথার পিঠে কিছু বলতে পারে না।

‘তোমার ফুচকার দাম কত?’ বলতে বলতে পকেট থেকে একটা ৫০০ টাকার নোট বের করে মালার দিকে এগিয়ে দেয় মাসুদ।

‘মনে হইতেছে, আপনি ভয় পাইছেন আমাকে দেইখ্যা। তাই এইখান থিক্কা পলাইতে চাইতেছেন। মাসুদ ভাই, ভয়ের কোনো কারণ নাই। আমি আপনার আর কোনো ক্ষতি করব না। যা ক্ষতি করার তা তো বারো বছর আগেই করছি। আপনার জীবনে শনিরদশা হইছিলাম। লোভলালসা আর পাপ কাজের চক্করে পইড়া আপনাকে যন্ত্রণা দিছি, কষ্ট দিচ্ছি। আমার কাছ থিকা বাঁচতে আপনি বউ-বাচ্চাগো একা ফালাইয়া দেশ ছাড়তে বাধ্য হইছিলেন। আমি অনেক অপরাধ করছি জীবনে। নষ্ট এক জীবন পার করছি। আমার গুনাহের শেষ নাই। আল্লাহপাক জানেন কোন দোজখে আমার জায়গা হইব? আমি আপনার লগে যে অন্যায় করেছি, পাপ কাজ করেছি, তার জন্য ক্ষমা চাই। আপনি মাফ না করলে আল্লাহ পাকও মাফ করব না,’ বলতে বলতে গলাটা বুজে আসে মালার।

তার মুখে কথাগুলো শুনে অনেকটা চমকে ওঠে মাসুদ। এসব কী বলছে সে। যা বলছে সে তা কি ওর মনের কথা? নাকি নতুন কোনো নাটক তৈরির পাঁয়তারা, ভালো মানুষ সাজার ভান সেই বারো বছর আগের মতো। মালাকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছে না সে। কেমন যেন অবিশ্বাস্য, বানোয়াট সংলাপ মনে হচ্ছে তার কথাগুলো।

মালা বুঝতে পারে মাসুদের মনের মধ্যে চলতে থাকা সংশয়ের দোলাচলের ব্যাপারটা।

‘আপনি বোধ হয় অবাক হইতেছেন আমার কথা শুইন্যা। বিশ্বাস করতে পারতেছেন না। এইটাই স্বাভাবিক। মনে মনে বারো বছর আগের মালার সঙ্গে আজকের আমার মিল-অমিল খুঁইজ্যা হয়রান হইতেছেন।’

‘তোমার কথাই ঠিক। আমি সত্যি সত্যি ভয় পেয়েছি তোমাকে দেখে। ভাবছি, আবার এতদিন বাদে আমার সামনে নতুন কোন বিপদ এসে হাজির হয়েছে?’

‘মাসুদ ভাই, আমি আপনার অনেক ক্ষতি করেছি। আপনার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলেছি। নিজের অনেক কিছু লুকাইয়া প্রতারণা করেছি। আপনার বিশ্বাস নষ্ট করেছি। আপনারে লোভ দেখাইয়া খারাপ কাজ করতে উৎসাহিত করেছি। এসবই করেছি আপনার টাকাপয়সা, সম্পত্তির লোভে। তা ছাড়া আপনারে আমার কেন জানি অনেক ভালো লাগত। সেই তাড়না থিকাও আমি কিছুটা বেপরোয়া হইছিলাম।’

আচ্ছা থাক। সেসব কথা এখন বলে আর কী হবে! আমার সর্বনাশ, ক্ষতি যা হওয়ার তা তো হয়ে গেছে। আমি যে সংসারটা রেখে গিয়েছিলাম। এখন ফিরে দেখি সেটা তছনছ হয়ে গেছে। সংসারের মানুষগুলোও সব পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি তাদের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি। আজ আমি একজন নিঃস্ব মানুষ,’ বলতে বলতে তার গলাটা ধরে আসে। মাসুদ আর কথা বলতে পারে না।

‘এই জীবন দিয়া বুঝছি, কেউ কারও সঙ্গে প্রতারণা করলে, কারও ক্ষতি করলে তার সাজা ভোগ করতে হয় এই পৃথিবীতে। পরকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগে না। আল্লাহর বিচার বড় কঠিন। এই ঢাকা শহরে আমার মতো একজন মাইয়া মানুষের কী যে কষ্ট, আমি যে কত অসহায় সেইডা শুধু আমিই বুঝি, আমিই জানি’, মালার কণ্ঠে অনুশোচনা আর আক্ষেপ, বেদনার সুর ঝরে পড়ে।

মালার কথার পিঠে কিছু বলতে পারল না সে। চুপ করে থাকে।

‘আমি আমার পাপের শাস্তি ভোগ করতেছি। জানি না আর কত কষ্ট, দুর্ভোগ, শাস্তি ভোগ করতে হইব। এই দুনিয়ায় এত শাস্তি পাইতেছি। মরণের পর না জানি আরও কত কি শাস্তি আছে। পাপ করলে তার সাজা ভোগ করতেই হইব। যে যত বড়লোক দাপটওয়ালা শক্তিশালী মানুষ হোক না কেন, পাপ করলে আল্লাহর বিচারে তার সাজা হইবই। আমি আপনার সঙ্গে যে অপরাধ করছি তার জন্য ক্ষমা চাই। আপনি যদি ক্ষমা না করেন আল্লাহও আমারে ক্ষমা করব না। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে বাকি জীবনটায় আর যেন তেমন পাপের পথে হাঁটতে না হয়। কষ্ট কইরা হইলেও সঠিক পথে চলতে পারি’, এবার কথাগুলো বলতে গিয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে মালা। সে আশপাশের মানুষজনের কথা যেন ভুলে যায়।

এখানে এ অবস্থায় চটপটি-ফুচকা বিক্রেতা এক নারী কাস্টমারের সামনে ঝরঝর করে কাঁদছে, চারপাশের মানুষ ভিন্ন কিছু ভাবতে পারে। কৌতূহলি হয়ে কত কী জানতে চাইতে পারে। তার চেয়ে এ জায়গা ছেড়ে তার দ্রুত চলে যাওয়াই উচিত।

মাসুদ মালাকে কিছু না বলে তার কাছ থেকে দ্রুত সরে আসে এবং অনেক মানুষের ভিড়ে মিশে যায়।

হাতিরঝিল থেকে একটা রিকশা নিয়ে ধানমন্ডিতে বাসায় ফিরতে ফিরতে কেমন যেন তোলপাড় অনুভব করে সে নিজের মধ্যে। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে যেন সে। দীর্ঘ অনেক বছর পর মালা আবার দেখা দিয়ে তার অতীত জীবনের সব অপরাধ, ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইল। অনুশোচনার আগুনে পুড়ছে সেও। আগের সেই দম্ভ, দাপট, রূপযৌবনের চাকচিক্য, অহমিকা কিছুই আর নেই তার মধ্যে। কত কষ্টে, দুঃখে এখন তার জীবন কাটছে। এখন কেউ নেই তার আশপাশে। কত অসহায় জীবনযাপন তার। দুঃখ, আহাজারি আর আর্তনাদে তার গলা ভারী হয়ে আসে বারবার। এখন মালার মুখের একটা কথা মাসুদের কানে বাজছে শুধু, ‘পাপ করলে তার সাজা ভোগ করতে হইব। যে যত বড়লোক, দাপটওয়ালা শক্তিশালী মানুষ হোক না কেন, পাপ করলে আল্লাহর বিচারে তার সাজা হইবই।’

হাতিরঝিল থেকে বাসায় আসার পর শরীর কাঁপিয়ে সত্যি সত্যি জ্বর আসে মাসুদের। জ্বরের প্রচণ্ডতায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কয়েকবার। এর আগে অনেকবার জ্বরে আক্রান্ত হলেও এরকম ভয়ানক অবস্থা হয়নি কখনও।

হাতিরঝিলে গিয়ে অনেক বছর পর মালাকে অনেক অসহায় এবং করুণ অবস্থায় আবিষ্কারের পর তার মনটা আনন্দে পরিপূর্ণ হওয়ার কথা। অথচ সেই থেকে মাসুদের বুকের মধ্যে অনেক বড় একটা অস্বস্তির পাথর যেন চেপে বসে আছে। মালা তার জীবনটা দুর্বিষহ করে তুলেছিল। তার সাজা হয়েছে। কৃত অপরাধের শাস্তি ভোগ করছে সে। এজন্য তো এক ধরনের প্রশান্তি অনুভবের কথা মাসুদের।

মালার বিমর্ষ মলিন চেহারা, ওড়নায় আড়াল করা মুখ, অনুশোচনায় দুঃখ-বেদনায় দারুণ কষ্টে অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্যগুলো বারবার ভেসে উঠছে চোখের সামনে। অনেক চেষ্টা করেও সে মন থেকে সরাতে পারছে না সেগুলো।

আচ্ছা, মালা কি প্রতিদিন হাতিরঝিলে চটপটি-ফুচকা বিক্রি করতে আসে? দোকান সাজিয়ে কাস্টমারের আশায় বসে থাকে? সেদিন আবেগপ্রবণ হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেওয়ায় দ্রুতই সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছিল তাকে। এর চেয়ে আরও বেশি কিছুটা সময় সেখানে থাকলেও কী এমন হতো! মালার সঙ্গে তো তার আর কোনো সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে তো আর কোনো কথা থাকতে পারে না। তার কাছে জানার মতো তেমন কিছুই তো নেই।

কিন্তু মাসুদের মনে আবার মালার মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছাটা প্রবল হয়ে উঠছে কয়েক দিন ধরে। হাতিরঝিলের অতি সাধারণ এক ফুচকা বিক্রেতা নারী তাকে প্রচণ্ডভাবে আকর্ষণ করছে। অথচ একসময় তার সান্নিধ্য থেকে মুক্ত হয়ে অনেক দূরে ছুটে পালাতে বেপরোয়া চেষ্টা চালিয়েছিল মাসুদ এবং শেষ পর্যন্ত মালার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে পালিয়ে গিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল। কোনো একসময় উদ্ভিন্নযৌবনা গ্রাম্য এই তরুণীর দেহের ভাঁজে ভাঁজে নিষিদ্ধ আনন্দ এবং সুখের সন্ধানে রীতিমতো খেপে উঠেছিল সে। অকাতরে তার পেছনে টাকাপয়সা ঢালতে দ্বিধা করেনি। মূল্যবান জামাকাপড়, শাড়ি, অলংকার দিয়ে তার মন জয়ের চেষ্টা করেছে। মালার জন্য নিজের সংসার, স্ত্রী-কন্যাদের উপেক্ষা করে দিনের পর দিন ঘরের বাইরে কাটিয়েছে।

আজ এতদিন পর ভাটাপড়া যৌবনের সেই নারীটি মাসুদকে উতলা করছে কোন কারণে? আগে যেসব কারণে তার কাছে ছুটে যেত সে, এখন তো তার কিছুই নেই মালার মধ্যে। মনের গভীরে তার মুখোমুখি হতে তাহলে কেন এমন অস্থিরতা চেপে বসেছে? কারণটা আবিষ্কারে উদ্‌গ্রীব হলেও এ মুহূর্তে তা সঠিকভাবে বের করা সম্ভব হয় না মাসুদের পক্ষে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা