× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণকে খুঁজে ফেরা

অদিতি ফাল্গুনী

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩ ১২:২২ পিএম

আপডেট : ০৪ মে ২০২৩ ১২:৩১ পিএম

গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণকে খুঁজে ফেরা

সে আজ প্রায় তেরো বছর হয়ে গেল। কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পারে সেই গোকর্ণঘাট-এ গিয়েছিলাম জানুয়ারির ২০১০ সালে। বাংলা সাহিত্যে মাত্র চারটি উপন্যাস লিখে এবং প্রথম উপন্যাসেই আমাদের কথাসাহিত্যের ভুবনে চির অমরত্ব পাওয়া, একচল্লিশেই অকৃতদার যে লেখক চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেনÑ সেই অদ্বৈত মল্লবর্মণকে (১৯১৪-১৯৫১) খুঁজতে। কেমন আছে সেই মালোপাড়া? সেখানে কি এখনও সেই জেলে সম্প্রদায় আছেন বা বসবাস করেন?

ডিসেম্বরের শুরুতে একদিন ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী বাসে উঠে বসেছিলাম আমি ও অনুজ কবি পিয়াস মজিদ। ১৯৭২ সালে তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমার শুটিংয়ে এসে গোকর্ণঘাটে এসে নাকি ঘুরে গিয়েছিলেন ছবিটির পরিচালক খোদ ঘটক মহোদয়। সেই গোকর্ণঘাট দেখারই আগ্রহ ও উত্তেজনা নিয়ে আমি বাসে উঠেছিলাম। বাস যেখানে থামল, সেখান থেকে গোকর্ণঘাট খুবই কাছে। কয়েক কদম হেঁটেই উপজেলার ছোট বাজার, কিছু ক্ষুদে দোকানপাট, কয়েকটি স্টুডিও, ইট বিছানো সুরকির রাস্তা অতিক্রম করে পৌঁছানো গেল মালোপাড়ায়।

অদ্বৈত মল্লবর্মণ যদিও অত আগেই সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তাঁর মাপের প্রতিভা আমাদের ভেতর আর একজন এখনো জন্ম নেয়নি। এখনো আমাদের সম্প্রদায়ে উচ্চশিক্ষার হার খুবই কম। আমি অবশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কলেজে অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি, তেইশ বছর বয়সী সঞ্জীব চন্দ্র বললেন।

গোকর্ণঘাটের মালোপাড়ায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে যেহেতু দুপুর হয়ে গিয়েছিল, ততক্ষণে পুরুষেরা প্রায় সবাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন আর মহিলারা মাত্র রান্না সেরে উঠেছিলেন। উঠোনে শীতের সীমিত রোদে জাল শুকাতে দেওয়া, কোথাও কোথাও তুলসী আর গাঁদার চারা।

আপনারা কি এখনো মাঘমণ্ডলীর ব্রত করেন? একটি গান গেয়ে শোনান না!

অদ্বৈতর উপন্যাসে মালোপাড়ার মেয়েরা মাঘের শুরুতে মাঘমণ্ডলীর ব্রত করেন পড়েই এমন বলা আমার। তরুণীরা লাজুকভাবে মাথা নাড়লেও বয়সে প্রবীণারা কেউ কেউ বললেন, টাকা দ্যান, তইলে গামু। কত মানুষ ক্যামেরা আর খাতা নিয়া আসে, কিন্তু আমাগো তোকেউ কোনো টাকা দ্যায় না!

হতাশ আমি। এরপর জিজ্ঞাসা করলাম যে মালো মেয়েরা এখনো কি মাঘমণ্ডলীর ব্রতের সময়ে চৌয়ারি ঘর বানায়? কলাগাছের কর্তিত টুকরো আর রঙিন কাগজের চৌয়ারি ঘর বানিয়ে ভালো বরের আশায় নদীতে কি তারা আর চৌয়ারি ঘর ভাসায়? ধীরে ধীরে মালো নারীরা সহজ হচ্ছিলেন, আয়েনÑ মাঘ মাসের শুরুতে আয়েন। তখন সব দেখতে পাইবেন। উল্লেখ্য যে, ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মদিবস।

মালো নারীদের কাছ থেকেই জানা গেল যে গোকর্ণঘাটে এখনও ১২০-১৫০টি মালো পরিবার বাস করে এবং এই গ্রাম ও নদীঘাট বা বন্দরে সব মিলিয়ে ১৫শ মালো নর-নারী-শিশু এখনও রয়েছেন।

দ্যাশভাগের সময় আর একাত্তরে সংগ্রামের সময় বেশির ভাগই চইলা গেছে। এইটা আমাগোর বাপ-দাদার ভিটা বইলা এখনো পইড়া আছি, নদী থেকে মাত্রই ফিরে আসা সুনীল চন্দ্র বর্মণ (বয়স : ৪০) বললেন।

তিতাস ত দিনকে দিন শুকাইয়া যাইতেছে আর বাপ-দাদার পেশা অনেকেই ছাইড়া দিতাছে। অনেকে এখন দোকান চালায়, সেলুন চালায়, কেউ মিস্তিরীর কাজ করে। আমাগো জমি নাই তেমন চষার জন্য। তয় আমি মালো থাইকাই মরতে চাই। মাছ ধইরা এই মনে করেন দিনে ৫০-১০০ টাকা পাই, সুনীল চন্দ্র বর্মণ বলেছিলেন।

মালো গ্রামটিতে এখনও পর্যাপ্ত ও আধুনিক শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। তবে এক মালো নারীকে দেখলাম মোবাইলে কথা বলছেন এবং একটি মালো ঘরে রঙিন টিভিতে ডিশ চ্যানেল চলতে দেখা গেল। নারীরা এ গ্রামে আজও ঘরেই ধাইয়ের সাহায্যে সন্তান প্রসব করেন এবং মেয়েদের কৈশোরেই বিয়ে হয়ে যায়। সোজা কথায়, তিতাস একটি নদীর নাম-এর সময় থেকে এই মালো গ্রামে খুব যে বেশি পরিবর্তন হয়েছে তা নয়।

এবার মালো গ্রামকে পেছনে রেখে আমরা মূল গোকর্ণঘাটের দিকে এগোলাম। গোকর্ণঘাট আজও বৃহত্তর কুমিল্লা ও বিশেষত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর, যেখানে আজও লঞ্চ বা স্টিমার, দেশি নৌকা, শ্যালো বা ইঞ্জিনচালিত নৌকা এসে ভেড়ে। নদীর অপর তীরে রসুলপুর, জগৎবাজার, শুকদেবপুর, উজ্জয়িনীনগর গ্রামগুলো রয়েছেÑ অদ্বৈতর উপন্যাসে যেমন বর্ণিত তেমনটাই।

আগে ঘাটে যাবার পথে এই মাঠটায় প্রতি বছর অদ্বৈতর জন্মদিনে অদ্বৈত মেলা হতো। তবে কয়েক বছর আগে এখানে গোকর্ণঘাট ঈদগাহ ও জামে মসজিদ তৈরি হবার পর থেকে অদ্বৈত মেলা বন্ধ হয়ে গেছে, বলে জানালেন এক স্থানীয় ব্যক্তি। তবে এর পরও গোকর্ণঘাটে রয়ে গেছেন কামাল হোসেনের মতো একটি চায়ের দোকানের মালিকও।

অদ্বৈত মল্লবর্মণ ত আর নাই! তয় ওনাকে নিজ চক্ষে দ্যাখছেন এমন এ্যাক বুড়া মানুষ আছেন কিন্তু। বললেন কামাল হোসেন।

শুনেই লাফিয়ে উঠি। মনে মনে এমন প্রবীণ কাউকেই খুঁজছিলাম যিনি অন্তত অদ্বৈত মল্লবর্মণকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন।

যুবক কামাল হোসেন এরপর তার চায়ের টংদোকান ছেড়ে উঠে আমাকে আর পিয়াসকে নিয়ে গেলেন একদম নদীর ঘাটের ওপর সার সার বাঁশের খুপড়ির মতো ঘরে। এমন একটি খুপড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করলেন কামাল হোসেন, ও কাকাÑ দ্যাহো শহরত্থন কারা আইছে?

জ্বরে রক্তনেত্র এক বছর পঁচাশির মতো বৃদ্ধ ভেতর থেকে খুপড়ি খুলে দিলেন।

জ্বর ক্যামন অহন তোমার কাকা? ভাত খাবা? ভাত দিমু?

ওনারা কারা?

শহরত্থন আইছে। তুমি না অদ্বৈতরে চিনতা? তাই তোমার কাছে অদ্বৈতর গল্প শুনতে আইছে।

দীর্ঘ সাদা চুল ও দাড়ির বৃদ্ধ রক্তনেত্রে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার নাম হরিসাধন মল্লবর্মণ। অদ্বৈতর আমি দশ বছরের ছোট আছিলাম। ওনার ২৫-২৬ বছর বয়স পর্যন্ত ওনারে এই গ্রামে আমি দেখছি। তারপর তচির জীবনের মতো কইলকাতা চইলা গেলেন গা!

পড়াশুনা বেশি শিখি নাই। বই তেমন পড়তে পারি না। কিন্তু ওর ওই তিতাস আর মালোপাড়ার উপন্যাসে কী লিখছে তামানুষের মুখে শুনছি। আরেÑ এইটা ত ওর নিজের জীবনেরই কাহিনী!

তখন শুনে এবং এখন লিখতে লিখতে (তখন তিতাস পার থেকে ঘুরে এসে ডেইলি স্টারের স্টার ইনসাইট-এ ঝটিতি একটা লেখা লিখেছিলাম, যা থেকে অনুবাদ করছি : আসলে পুরোনো ডায়েরিতে বাংলায় বিস্তারিত নোট বা ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা অনেক ছবি পাচ্ছি না; সেই ক্যামেরাও অচল। ছবিগুলো যা প্রিন্ট করেছিলাম, মালোপাড়ার নারীদের রান্নার ছবি বা হরিসাধন মল্লবর্মণের ছবিÑ সবই হারিয়ে ফেলেছি। শুধু তিতাস পারের ছবি যা স্টার ইনসাইট ছাপিয়েছিল আমার তোলা ছবি থেকে তাই এখানে দেওয়া হলো) আমার গায়ে কাঁটা দিল।

এটা লেখকের নিজের জীবনের গল্প?

হয়Ñ তার নিজের জীবনেরই গল্প!


কীভাবে সম্ভব সেই আশ্চর্য গল্প লেখকের নিজেরই কাহিনী? তবে কি মালোপাড়ার মেয়ে বাসন্তী যে চৌয়ারি ঘর বানাত আর মালোপাড়ার ছেলে কিশোরের সাথে তার বিয়ের কথা চললেও কিশোর ও তার তিন বছরের ছোট সুবল একবার মাছ ধরতে অন্য গ্রামে গিয়ে সেই গ্রামে বসন্তের রং খেলার সময় ডাকাতের হামলা থেকে একটি মেয়েকে বাঁচানোর পর তাকেই বিয়ে করে। নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে কিশোর বলেছিল যে আশৈশব চেনা বাসন্তী তার ছোট বোনের মতো এবং গ্রামে ফিরে সুবলই যেন তাকে বিয়ে করে। কিন্তু নৌকায় পুনরায় ডাকাত হামলা হলে সম্ভ্রম বাঁচাতে নববধূ নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং পরে অন্য গ্রামে এক বৃদ্ধ দম্পতি তাকে আশ্রয় দেয়। সেখানেই এক সন্তানের জন্ম দেয়, সে আর ওদিকে কিশোর পাগল হয়ে গ্রামে ফেরে; সুবলের সাথে বাসন্তীর বিয়ে হলেও তিন/চার বছর পর সুবল এক নৌকা দুর্ঘটনায় মারা যায়। তিন/চার বছর পর খুঁজে খুঁজে মৃত স্বামীর গ্রামে পুত্র অনন্তকে নিয়ে আসে এক বিধবা আর পাগল স্বামীকে চিনতে পারলেও ভয়ে পরিচয় দেয় না। কারণ ডাকাতের হাতে আক্রান্ত জানলে সে ভ্রষ্টা হিসেবে পরিচিত হবে। বিধবা বাসন্তী হয়ে ওঠে অনন্তের মাসী আর অনন্তের মায়ের সে বড় সই হয়ে ওঠে। ফিরে গ্রামে বসন্ত উদযাপনে রং খেলার সময় পাগল স্বামীর চোখে চোখ রেখে তাকালে পাগল কিশোর তার হারানো বধূকে জড়িয়ে ধরতে এলে গণপিটুনিতে মারা যায়। এই যন্ত্রণায় বোবা বনে যাওয়া গ্রামের এই নবাগত বিধবাও কিছু দিনের ভেতরেই মারা যায়। নিঃসন্তান বিধবা বাসন্তীই অনন্তকে বড় করে তোলে। উপন্যাসের শেষটায় দেশভাগ ছাড়াও তিতাসের বুকে চর জেগে ওঠে এবং মালোদের পশ্চাদপসরণ ও কৃষকদের হাতে চর দখলের কাহিনী দিয়ে শেষ হয় এই অনন্য বিষাদ-সুন্দর আখ্যান। গোকর্ণঘাটের মালোরা ছড়িয়ে পড়ে দূর-দূরান্তের শহরে এবং কলকাতায় ভিখিরি হিসেবে মালো বৃদ্ধদের কাউকে কাউকে দেখতে পান অনন্ত নামে লেখক স্বয়ং।

আপনি নিশ্চিত এটা অদ্বৈতর নিজেরই জীবনের কাহিনী?

হÑ আমরা ত তেমনই শুনছি।

হরিসাধনের নিজের জীবনের বৃত্তান্তও কম আশ্চর্য নয়। একাত্তরে তার পরিবারের সবাই গণহত্যার শিকার হলেও তিনি নিজে পালিয়ে ভারতে যান। কিছুদিন বিবাগী হয়ে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরে সর্বস্বহারা হয়ে আবার দেশে ফিরেছেন। ততদিনে তাঁর ভিটেমাটিও দখল হয়ে গেছে। বৃদ্ধ হরিসাধনকে দেখার বলতে এখন গোকর্ণঘাট নদীবন্দরের টংঘরগুলোর একটি টং চায়ের দোকানের কামাল হোসেন।

বুড়া মানুষ। ওনাকে দেখার কেউ নাই। একাত্তুরে ওনার গুষ্টির সবাই খুন হইছে। কইতে গেলে বাপের বয়সি মানুষ। তাই ওনারে দেখা-শোনা করি আর কি!

আমাদের সামনেই কামাল হোসেন কথায় কথায় মাটির হাঁড়িতে ভাত আর একটি এনামেলের ডেকচিতে রাঁধা মাছের ঝোল তাঁকে বেড়ে দিলেন।

এই লেখাটা ঠিক অদ্বৈতর জীবনী হলো না আর কি! আমি ত আসলে তিতাস একটি নদীর নাম-এর গোকর্ণঘাটকে দেখতে গেছিলাম। তিতাস পারে মালোরা আর আছে কী না সেটা খুঁজতেই গেছিলাম। আর সেখানেই হরিসাধন মল্লবর্মণকেও আমি পেয়ে গিয়েছিলাম, পেয়েছিলাম কামাল হোসেনকেও।

অদ্বৈত, যাকে নিয়ে আজও গোকর্ণঘাটের সব অধিবাসী গর্ব বোধ করেন, একবার বিনয়ের সাথেই বলেছিলেন যে পদ্মা নদীর মাঝি-র লেখক মাস্টার রাইটার হলেও অদ্বৈত নিজে ত জাউলার পোলা।তাই পদ্মা নদীর মাঝি-তে পুরো ইউরোপীয় উপন্যাসের উপনিবেশ স্থাপনকারী জাতীয় চরিত্র হোসেন মিঞার বদলে তিতাস একটি নদীর নাম-এর মানুষগুলো শুধুই প্রথাগত মার্ক্সিস্ট উপন্যাসের দারিদ্র্য বয়াণে চিত্রিত নয়Ñ তিতাসের জেলেরা তাদের বারো মাসের নানা পালা-পার্বণে, মেয়েরা কলার ডোগা আর কাগজের ঝালরে চৌয়ারি ঘর বানিয়ে নদীতে ভাসিয়ে ভালো বরের আশায় মাঘমণ্ডলী ব্রত করার আয়োজনে বা রাতভর পিঠা বানানোর আয়োজনের নানা রঙেও উল্লসিত।

স্বল্পায়ু জীবনে খুব বেশি লিখতে পারেননি অদ্বৈত। তাঁর রচিত অন্য তিনটি উপন্যাস হলো রাঙামাটি, সাদা হাওয়া এবং ভারতের চিঠি : পার্ল বাককে।একচল্লিশে প্রয়াত এই চির তরুণ, চির অকৃতদার লেখককে জানাই আমাদের প্রণামÑ যিনি তাঁর প্রায়-নিরক্ষর, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায়ের হাসি-কান্না, পৌষ-ফাল্গুনের পালার বিবরণে বাংলা সাহিত্যে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।  

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা