× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ক্যানবেরায় ঈদ উদযাপন

ফজল হাসান

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫১ পিএম

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১০ পিএম

ক্যানবেরায় ঈদ উদযাপন

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নানা প্রতিকূলতায় আচ্ছন্ন দৈনন্দিন জীবনের মাঝে আনন্দ ও উচ্ছলতা নিয়ে প্রতিবছর হাজির হয় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। যদিও প্রবাস বলতে বাংলাদেশের বাইরে সব দেশকেই বোঝায়, তবে সব দেশের প্রবাসীদের ঈদ যে একই রকম হবে, তা নয়। যেমন যেসব দেশে শ্রমজীবী বাংলাদেশিরা আছেন, তাদের ঈদ উদযাপন হয় একরকমভাবে আবার যারা পশ্চিমা উন্নত দেশে সপরিবারে আছেন, তাদের ঈদ উৎসব হয় অন্যভাবে।

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় আমাদের ঈদ উদযাপন শুরু হয়েছে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমার স্ত্রী মেহেরুন এবং আমি সবেমাত্র এসেছি নতুন দেশে, নতুন পরিবেশে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং চিরচেনা পরিবেশ ছেড়ে আসার কষ্ট নামক পাথরটা বুকে চেপে থাকতাম। যা হোক, তখন আমরা হাতে গোনা ছয়-সাতজন ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের পরিবার ছিলাম। তবে সেই সময় যারা বাংলাদেশি স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন (সাত-আটজনের বেশি না), তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত কাছের, আপন ভাই-বোনের মতো। তারা আমাদের বিপদ-আপদে সব সময় পাশে এসে দাঁড়াতেন, স্নেহের হাত প্রসারিত করে ছায়া দিতেন, ভরসা ও সাহস দিতেন। তাদের মধ্যে এমনই একজন ছিলেন মীর হাসমত আলী। তিনি তখন ক্যানবেরায় ফেডারেল সরকারের কর্মকর্তা ছিলেন, কিন্তু তার স্ত্রী (রোকেয়া বেগম) ও ছেলেমেয়ে থাকতেন সিডনির র‍্যান্ডউইক এলাকায়। তিনি শুক্রবার অফিস শেষ করে গাড়ি চালিয়ে পরিবারের কাছে চলে যেতেন সিডনিতে, আবার রোববার সন্ধ্যায় ফিরে আসতেন ক্যানবেরায়। তিনি ক্যানবেরায় থাকতেন একটা আবাসিক হোটেল। অবশ্য বছরখানেক পরে তার পরিবার স্থায়ীভাবে ক্যানবেরায় বসবাস শুরু করেন। যা হোক, ১৯৮৪ সালে রোজা শুরু হয় জুলাই মাসে, মধ্য-শীত মৌসুমে। রোজার শেষের দিকে এক বিকেলে অফিস থেকে হাসমত ভাই হোটেলে যাওয়ার পথে আমাদের বাসায় আসেন এবং এমন একটা প্রস্তাব দেন যাতে আমরা অবিভূত হয়ে নিজেদের আবেগকে ধরে রাখতে পারিনি। সদ্যোবিবাহিত তরুণ দম্পতিকে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধববিবর্জিত ঈদ করার মানসিক কষ্ট থাকে নিষ্কৃতি দেওয়ার জন্য তিনি তার পরিবারের সঙ্গে সিডনিতে ঈদ উদযাপন করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা কোনো কিছু না ভেবেই তা লুফে নেই। তাই মন-খারাপের কষ্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের প্রথম ঈদ একা করতে হয়নি। তার পরের বছর থেকে আমরা ক্যানবেরাবাসী বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করে আসছি।

শুরু থেকেই মেহেরুন ও আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, প্রতিবছর অন্তত রোজার ঈদ আমরা ঘটা করে উদযাপন করব, অর্থাৎ বাংলাদেশি ছাড়াও অন্যান্য দেশের পরিচিত মুসলমান এবং যারা অন্য র্ধম থেকে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছেন, তাদের দাওয়াত করব। আমরা কোভিডের আগের বছর পর্যন্ত তাই করে এসেছি। কোভিডের কারণে আমাদের ঈদ উদযাপনে ছন্দঃপতন ঘটে এবং এখনও তা পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। ক্যানবেরার সবাই জানে যে, রোজার ঈদের দিন সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় ঈদ উদযাপনের জন্য ওপেন হাউস, র্অথাৎ উন্মুক্ত দ্বার। সেখানে কম হলেও চৌদ্দ থেকে ১৬টি দেশের ৮০ থেকে ১০০ জন বন্ধু-বান্ধব আসতেন। তাদের মধ্যে ১০-১২ জন আসতেন ধর্মান্তরিতরা। ঈদের দিন তাদের কোথাও যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা ছিল না। তারা বাংলাদেশি রসনা উপভোগ করতেন, কিন্তু তার চেয়ে বেশি তারা পছন্দ করতেন অন্যান্য দেশের মুসলমানদের সঙ্গে আলাপ-পরিচিতি হয়। এ ছাড়া ঈদ উৎসবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিবেশী অমুসলমানদেরও দাওয়াত করতাম। অনেকেই আমাদের বাসার ঈদ উদযাপনকে বহু সাংস্কৃতিক বা মাল্টিকালচারাল ঈদ নামে আখ্যায়িত করেছেন।

ছাত্রজীবনে এবং পরবর্তী সময়ে অভিবাসী হওয়ার পর আমাদের ঈদ শুরু হতো আদের দিন থেকে, অর্থাৎ রান্নাবান্নার র্কমসূচির মাধ্যমে। ঈদ উপলক্ষে মেহেরুন হরেক রকমের মিষ্টি এবং মিষ্টান্ন তৈরি করে। ভেড়ার মাংসের বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংসের রেজালা এবং হালিম ছাড়াও থাকে টুনার কাবাব, চটপটি, ফুসকা এবং দইবড়া। এগুলো রান্নার সময় নেপথ্যে বাজে রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। তখন আমাদের চোখ ভিজে ওঠে। আমরা নস্টালজিয়ার ধূসর চাদর গায়ে দিয়ে ফিরে যাই অতীতের ফেলে আসা ভুবনে।

ছেলেমেয়েরা যখন প্রাইমারি স্কুলে যেত, তখন মেহেরুনের অন্যতম রুটিন ছিল ওদের ক্লাস টিচারের অনুমতি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের অত্যন্ত সহজভাবে, বলা যায় গল্পচ্ছলে, রোজা ও ঈদ সম্পর্কে অভিহিত করা। সাধারণত ঈদের দু-এক দিন পরে করত। ছেলেমেয়েরা দারুণ উৎসাহ নিয়ে শুনত এবং নানা ধরনের প্রশ্ন করত। এভাবেই ওরা রোজা ও ঈদ সম্পর্কে জানা শুরু করে। অনেক সময় অন্যান্য টিচার ও বাচ্চাদের উৎসাহী বাবা-মায়েরাও উপস্থিত থাকতেন। মেহেরুন বাচ্চাদের জন্য চকলেট নিয়ে যেত, আর বড়দের জন্য মিষ্টি। এ ছাড়া ঈদের পরদিন আমরা যে যার অফিসে ঈদ উদযাপন উপলক্ষে মিষ্টি নিয়ে যেতাম। মর্নিংয়ের সময় সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেতাম। উল্লেখ্য, এ দেশে ঈদ উপলক্ষে কোনো সরকারি ছুটি নেই, তবে অনেক ডিপার্টমেন্টে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বছরে দুই দিন বিশেষ ছুটি নেওয়ার নিয়ম আছে। অনেকেই এ নিয়ম মেনে ছুটি নেন। অন্যদিকে অনেকেই ছুটি না নিয়ে নামাজ শেষে কিছুটা দেরিতে কাজ শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন যে, বর্তমানে অনেক সরকারি অফিসের অভ্যন্তরীণ অন্তর্জালে (ইন্টারনেট) সচিবের পক্ষ থেকে রোজার শুভেচ্ছা প্রচার করে এমনকি অফিসের পক্ষ থেকে ইফতারেরও ব্যবস্থা করে। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপটাল (রাজধানী ক্যানবেরা) মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম সংগঠন ও বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতা ও কর্মকর্তাদের ইফতারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানান। সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও সারা দেশের মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। অবশ্য ১০ থেকে ১৫ বছর আগে এসব কিছুই ছিল না।

আগে ক্যানবেরায় মসজিদ ছিল একটা এবং সেখানেই ঈদের জামাত হতো। তখন মুসলমানের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রমে লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানের সংখ্যাও বাড়তে থাকে এবং ভৌগোলিকভাবে ক্যানবেরার পরিধিও বিশাল হয়। এখন মসজিদ চারটি এবং সব মসজিদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে নামাজের ব্যবস্থা হয়, কখনও খোলা মাঠে, তবে বেশিরভাগ সময় শীতের জন্য মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সময়ে নামাজ অনুষ্ঠানের অন্যতম কারণ হলো যারা অফিসে যাবে, তারা সকালের জামাত ধরবে (সাধারণত ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়)। অন্যদিকে যাদের ছোট ছেলেমেয়ে আছে এবং অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই, তারা পরে জামাতে অংশগ্রহণ করে সাধারণত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়)। উল্লেখ্য, এখানে পরিবারের সবাই ঈদের নামাজ আদায় করে, তবে অবশ্যই ইসলামের সব নিয়ম-কানুন মেনে।

অতীতে ক্যানবেরায় ঈদের কেনাকাটার আনজাম ছিল না, কোনো ঈদমেলা ছিল না। আমরা হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যেতাম নতুবা গাড়ি চালিয়ে সিডনির লিভারপুল অথবা লাকম্বোয় যেতাম। সেখানে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি পোশাকের সঙ্গে অল্পবিস্তার বাংলাদেশের তৈরি শাড়ি-কাপড় পাওয়া যেত। তবে দেখেছি সবাই প্রায় দেশ থেকে আসার সময় দু-এক বছরের জামাকাপড় নিয়ে আসতেন। এখন যুগ পাল্টিয়েছে, মানুষ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে, সঙ্গে সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। এখন প্রবাসী ও অভিবাসীদের কেনাকাটার জন্য ঈদমেলা, যা চাঁদরাত মেলা নামে পরিচিত, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যানবেরা ইসলামিক সেন্টার চত্বরে। সেই মেলায় রঙ-বেরঙের বাহারি শাড়ি, বিভিন্ন ধরনের পোশাকের স্টল, জুয়েলারি সরঞ্জামসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্টল থাকে। সেসব স্টলে মহিলাদের প্রচুর শাড়ি কাপড় ও সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি ছেলেদের পাঞ্জাবি ও ফতুয়া থাকে, থাকে মেহেদি স্টল। ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য থাকে হাল-ফ্যাশনের পোশাক। অনেক স্টলেই ক্রেতাদের জন্য সারপ্রাইস উপহারের পাশাপাশি মূল্যহ্রাসের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। এ ছাড়া সেখানে নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন দেশীয় মুখরোচক খাবার এবং ইফতারির সুব্যবস্থা থাকে। অনেকেই মনে করেন যে, ক্যানবেরাবাসী মুসলমানদের মাঝে এ ধরনের উদ্যোগ শুধু কেনাকাটা নয়, যান্ত্রিকতাময় জীবনে একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়ারও সুযোগ করে দেয়।

আরেকটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। আগে আমরা আশপাশের সবাইকে, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের, দেখা-সাক্ষাতের সময় দাওয়াত করতাম। দূরের দু-একজনকে টেলিফোন করে বলতাম। এখন আর তা করতে হয় না। সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানের অকল্পনীয় অগ্রগতির জন্য টেলিফোন করে কাউকে ঈদের দাওয়াত দিতে হয় না। যেকোনো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে একসঙ্গে অনেককেই দাওয়াত দেওয়া যায়। রোজার শুরু থেকে আরম্ভ হয় এই দাওয়াত পর্ব, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের মধ্যে, যা দুপুর ও রাত মিলিয়ে পরবর্তী দুই শনি ও রোববার ধরে চলতে থাকে।

অন্যদিকে ঈদুল আজহার বিষয় আলাদা, হিসাব-কিতাব অন্য রকম। একসময় ক্যানবেরায় কোনো হালাল বুচার শপ ছিল না। তখন আমরা কয়েকজন মিলে আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার দূরে নির্দিষ্ট একটা ফার্মে গিয়ে কোরবানি দিতাম। ভেড়া বা ছাগল কোরবানি দেওয়া সহজ ছিল, কিন্তু গরু ধরে জবাই করা ছিল দুরূহ কাজ। কারণ অস্ট্রেলিয়ার গরু বলে বাংলাদেশে একটা কথা চালু আছে। তাই প্রথমে মাঠে চড়ানো গরুকে ট্র্যাংকুলাইজার দিয়ে অবশ করে সঙ্গে সঙ্গে জবেহ করতে হয়।

অবশ্য এ ব্যাপারে ফার্মের মালিক ম্যাক্স আমাদের সাহায্য করত। জবেহ করার পর ম্যাক্স চামড়া খুলে গরুকে চার টুকরো করে দিত এবং আমরা সেগুলো কেটে ছোট টুকরো করতাম। ভেড়া বা ছাগলের চামড়া ছাড়ানোর পর আমরা সহজেই নিজেদের মতো করে কেটে নিতাম। অবশ্য তাতে প্রায় সারা দিন চলে যেত, অর্থাৎ ঈদ শেষে হয়ে যেত। বাসায় ফিরে রান্না করে আশপাশে দু-একজনকে নিয়ে সেই কোরবানির মাংস উপভোগ করতাম। গরিব ও আত্মীয়স্বজন না থাকার জন্য পরিচিত সবাইকে মাংস দিতাম, বিশেষ করে যারা ক্যানবেরায় কোরবানি দেয়নি। তবে আমাদের এখন আর এ পথে যেতে হয় না। কেননা ক্যানবেরায় এখন অনেক হালাল বুচার শপ চালু হয়েছে। ওদের নাম দিলেই ওরা কোরবানি দিয়ে মাংস কেটে প্যাকেট করে দেয়। তাতে আগে মতো শারীরিক কষ্ট করতে হয় না, তবে দাম বেশি দিতে হয়।

পরিশেষে বলতে হয়, আগে যখন ক্যানবেরায় মুসলমানের সংখ্যা সীমিত ছিল, তখন আমরা একই দিনে রোজা শুরু করতাম এবং একদিনই ঈদ উদযাপন করতাম। কিন্তু মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং বিভিন্ন মতবাদের জন্য আলাদা দিনে রোজা শুরু হয় এবং ঈদও উদযাপন করা হয় পৃথক দিনে।

যা হোক, প্রবাসে আমাদের ঈদ উদযাপন করে প্রায় চার দশক কেটে যাচ্ছে। আগামী দিনে প্রবাসে এভাবেই আমাদের ঈদ উদযাপন এবং ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে হবে।   

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা