× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিশ্বকবিতায় নতুন স্বর

রাজ রিডার

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৪৫ পিএম

বিশ্বকবিতায় নতুন স্বর

চলমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, শরণার্থী সংকট, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, লিঙ্গবৈষম্য, তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার, সমকামীদের সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি তথা বিভিন্ন তত্ত্বের চাপে বিশ্বাঙ্গনে যে রাজনৈতিক ধারা বইছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে যে বাঁক সৃষ্টি হয়েছে তার ঢেউ অধিক মাত্রায় কবি-কবিতায় পরিলক্ষিত। এ পরিবর্তন রাতারাতি হয়নি। সময় লেগেছে। অনেকে দ্রুত বুঝেছে। অনেকে অনেক পরে। যেসব মুষ্টিমেয় কবি দ্রুত বুঝেছেন তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটছেন। আর এ মুষ্টিমেয় কবিকে চিহ্নিত করে বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিকতাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা সময়ের দাবি। একটি বিষয়বস্তুকে প্রাসঙ্গিক করার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন তত্ত্ব, দর্শন ও মূল্যবোধ। কিন্তু যেকোনো সাহিত্যকর্ম কতটা প্রাসঙ্গিক তার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে পারে তা কতটুকু জীবনের কথা বলে। চিরায়ত টেক্সটগুলোর প্রধান উপজীব্য বিষয় এ জীবনবোধ। এ জীবনকে চুলচেরা বিশ্লেষণ না করতে পারলে গিলগামেসের মতো বীর বন্ধুবিয়োগে কাঁদত না, অপমান সইতে না পেরে একিলিস যুদ্ধে বিরত থাকত না, দেবতা ডোয়োনিসাস দড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে ভৃত্য জেনথিয়াসের সমপর্যায়ে চলে আসত না, ইডিপাস চোখ উপড়ে ফেলত না, রাজা লিয়ারের কষ্ট আমাদের এত আপন হতো না, হ্যামলেটের গড়িমসি আমাদের চিন্তার জগৎকে উস্কে দিত না, মাথা না নোয়ানো স্যাটান এত প্রিয়পাত্র হয়ে উঠত না। হয়তো এমনটা হতে পারে যে বর্তমান বিশ্বসাহিত্যের বেশিরভাগ কবিতাই এত বড় মহা আখ্যানকে আর ধারণ করছে না কিংবা করতে চাইছে না। এর একটি কারণ হতে পারে ছোট ছোট বিষয়কে অধিক প্রাধান্য দেওয়া। আর কোনো মহাবীর নয়, নয় কোনো রাজা-মহারাজা, নয় কোনো বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিত্ব। হরিপদ কিংবা লোম্যান। এরাই আমাদের প্রধান চরিত্র। এই যে ক্ল্যাসিক এবং নন-ক্ল্যাসিকের সনাতন দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বে কে জিতল তা কোনো দিনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সবাই তাকিয়ে থাকে এর ফলে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলো সেই উত্তেজনার প্রসববেদনা থেকে কোন সাহিত্যকর্মটা বের হয়ে এলো। আমাদেরও ঠিক দেখা উচিত বিভিন্ন তত্ত্ব ও দর্শনের চাপে কোন সৃষ্টিটা বের হয়ে আসছে। আজ সেই সৃষ্টির খোঁজে কিছু কবি ও কবিতার মুখোমুখি হব। যারা এই সময়ে নিজ সময়কে কালের আয়নায় মুখোমুখি করে দিয়েছেন, ভবিষ্যৎকে অতীদের দিকে হাঁটতে বাধ্য করেছেন... এমনই কিছু কবিকে বাংলাদেশের সাহিত্যপিপাসু পাঠকের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে চাই।

আমার অতি প্রিয় নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত উরুগুয়ের কবি হুয়ান কার্লোস তেজেস কিংবা স্পেনের কবি ফ্রান্সিসকো সোলের মুনেজ। নিজ নিজ ধারায় দুজন কবিই আপন আলোয় মহিমান্বিত। কিন্তু আমরা আজ এমন কিছু কবিকে নিয়ে আলোচনা করতে চাই যারা বর্তমান কাব্যদিগন্তে নতুন ধারা তৈরির পাশাপাশি নিজের সময়টারও প্রতিনিধিত্ব করছেন। অনেকে হয়তো রুপি কৌরের কথা বলবেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি কৌরের কবিতায় তেমন কোনো গভীরতা আছে বলে মনে হয় না। কেমন জানি চমক দিয়ে ধাঁধার মতো কিছু একটা বলতে চান। তবে আজ যাদের নিয়ে আলোচনা করব তারা আমার ব্যক্তিগত পছন্দের। যে-কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন। তবে তারা কেন আমার পছন্দের কিংবা এই সময়ে কেন প্রাসঙ্গিক তা অবশ্যই আলোচনা করে যাব।

প্রথমেই আলোচনা করতে চাই ইরাকের এক নারী কবি নিয়ে। সাদ্দাম হোসেনের রোষানলে পড়ে দেশে টিকতে পারেননি। পাড়ি জমাতে হয়েছে মার্কিন মুলুকে। দুনিয়া মিখাইলের জন্ম ইরাকে, ১৯৬৫-তে। ক্যালডিয়ান ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন। সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে বেছে নেন। কাজ শুরু করেন দৈনিক বাগদাদ অবজারভারে। পাশাপাশি অনুবাদও করতেন। কিন্তু এ সাংবাদিকতাই তার জীবনের কাল হয়ে যায়। সত্যই তো এ মহৎ পেশার শক্তি। আর এ শক্তি থেকেই শত্রু। সাদ্দাম হোসেন তার শত্রুদের এক লম্বা তালিকা করেন। সে তালিকায় নাম রয়েছে মিখাইলেরও। আর সাদ্দাম হোসেনের শাসনকাল সম্পর্কে কারই বা অজানা ডিস্টোপিয়ান রাষ্ট্রের আদর্শ শাসক। সেহেতু আর দেশে থাকা সম্ভব নয়। পালিয়ে যান জর্ডানে। সেখান থেকে আবার পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। যদিও বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন, তবু যুক্তরাষ্ট্রে আবার একটি স্নাতকোত্তর করেন। বিয়ে, সংসার, মেয়েকে বড় করা সবই শুরু করেন এখানে। পরে নাগরিকত্বও পান। আর এখান থেকেই শুরু হয় মিখাইলের জীবনের নতুন অধ্যায়। যেহেতু মিখাইল সাংবাদিক ছিলেন সেহেতু তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা কোনো কঠিন কাজ ছিল না। বিশেষ করে সে সময় যখন সাদ্দাম হোসেনের শাসন পদ্ধতি নিয়ে পশ্চিমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। মিখাইল যেহেতু ছোট বয়স থেকেই গল্প-কবিতা লিখতেন সেহেতু কাব্যপ্রতিভার সঙ্গে দেশ ছাড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা কলমের কালি অনল-গরল হয়ে ঝরতে থাকে। তাই কবিতার উপজীব্য বিষয় হয়ে ওঠে যুদ্ধ, নির্বাসন, হারানোর বেদনা কিংবা স্মৃতিকাতরতা। শরীর তো নিয়ে গেছেন মাতৃভূমি থেকে। কিন্তু মনটা থেকেই গেছে সেখানে। যেন কাশ্মিরি পণ্ডিতদের মতো তিনিও বলছেন হাজি সাহাব হাম ফির আয়েঙ্গে, এহি পে দিল লাগানে, ইসিপে আস্থিয়া বাহানে।

কাব্যপ্রতিভার মূল্যায়ন হিসেবে মিখাইল বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছেন ও কিছু ফেলোশিপ পেয়েছেন। কিন্তু এটুকু অকপটেই স্বীকার করতে হবে যে, মিখাইলের কাব্যপ্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন আজও হয়নি। কিংবা করা হয়নি। তার কবিতার বিভিন্ন দিক উন্মোচন তো অনেক দূরের কথা, তাকে কখনই ইরাক যুদ্ধের গণ্ডির বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিভিন্ন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এজেন্ডা আকারে রাজনীতি, যুদ্ধ কিংবা এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের বাইরে খুব বেশি অবকাশ দেওয়া হয়নি। শুধু ইরাকসংক্রান্ত তকমা দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। যেমন দেওয়া হয়েছে নজরুলকে বিদ্রোহী কবি, জীবনানন্দকে রূপসী বাংলার কবি, কিটসকে সৌন্দর্যের কবি, ওয়ার্ডসওয়ার্থকে প্রকৃতির কবি ইত্যাদি। মিখাইলের কাব্যপ্রতিভা নিয়ে বহুমাত্রিক আলোচনা ও গবেষণা দরকার। শুধু সনাতনী সমালোচনা নিয়ে না থেকে বিশ শতকের বিভিন্ন ধারা যেমন ফরলালিজম, নারীবাদী তত্ত্ব, কাঠামোবাদ, কিংবা নিউহিস্টোরিসিজম ইত্যাদির মধ্য দিয়েও এসব সাহিত্যকর্মকে প্রশ্ন করতে হবে। সমালোচনার বিভিন্ন লেন্স জুম করে দেখতে হবে। তা হলেই বের হয়ে আসবে আসল দুনিয়া মিখাইল।

এবার আলোচনা করা যাক ওশেন ভুয়ংকে নিয়ে। জন্ম ভিয়েতনামে। কিন্তু বেড়ে ওঠেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টফোর্ড, কানেকটিকাটে। ভুয়ংয়ের নানি ভিয়েতনামের নেহাতই এক গ্রামের মেয়ে। কিন্তু নানা ছিলেন মার্কিন নেভি সৈনিক। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তাদের পরিচয়-প্রণয়-বিবাহ। ভুয়ংয়ের মাসহ তিন সন্তানের জন্ম দেন ভুয়ংয়ের নানি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তার নানা-নানি আলাদা হয়ে যান। ভুয়ংয়ের নানা আমেরিকা ফিরে যান। আর ভিয়েতনামে ফিরে আসতে পারেন না। সেখানে থেকেই শুরু হয় তাদের জীবন দেখা। পালাতে শুরু করেন। ভিয়েতনাম থেকে ফিলিপাইন। পরিশেষে আমেরিকায় শুরু হয় স্থায়ী বসবাস। ফলে ভুয়ং তার কবিতায় ফেলে আসা জীবন, আবার না ফিরতে পারা অতীত, কিংবা নিঃসঙ্গতা, পরিচয় সংকট ইত্যাদি দ্বারা চরমভাবে বেষ্টিত। তা ছাড়া নিজের ভিতরের নিজটাকে আবিষ্কার, কিংবা পরিবর্তনগুলো অনুভব করা ইত্যাদি খুঁজে বের করার প্রচণ্ড বাসনা দেখা যায় ভুয়ংয়ের কবিতায়।

কবিতার পাশাপাশি উপন্যাস এবং প্রবন্ধও লেখেন। প্রথম কবিতার বই নাইট স্কাই উইথ এক্সিট উন্ডস প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই কাব্যজগতে ভুয়ং জানান দেন তার উপস্থিতি। ঝকঝকে ভাষা, তীক্ষ্ণ বক্তব্য, সাবলীল প্রকাশভঙ্গি কবিতা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মূল্যায়নস্বরূপ ২০১৭ সালে তার প্রথম কবিতার বই টিএস এলিয়ট পুরস্কারে ভূষিত হয়। কিন্তু তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ টাইম ইজ আ মাদার প্রথম কাব্যের মতো ততটা কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে না পারলেও গুরুত্বের দিক বিবেচনায় প্রায় দুটোই সমান। ঘরোয়া চালে লিখিত কবিতাগুলো যথেষ্ট শ্লেষাত্মক এবং পরিপক্ব। তবে এ গ্রন্থে ভাষা তুলনামূলক কম মার্জিত। যেমন তার স্ট্রিম অব কনসাসনেস কবিতা ডিয়ার পিটার-এ খুব সাবলীলভাবেই এত পরিপক্ব দৃশ্য দেখিয়ে দেন যে তা শৃঙ্গার রসের আলাদা উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

ভুয়ং বেশ কিছু ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। আর বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

এবার আমরা স্বল্পপরিসরে অ্যাডা লিমনকে নিয়ে আলোচনা করব। হালসময়ে লিমন তার কাব্য ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে অবস্থান করছেন। কারণ ল্যাতিনা হিসেবে তিনিই প্রথম কবি যে কি না যুক্তরাষ্ট্রের পোয়েট লরিয়েট হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। পূর্বপুরুষ মেক্সিকোর অধিবাসী। তবে লিমন নিজে ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় হয়েছেন। ছোটবেলায় নাট্যকলা চর্চা করেছেন। বড় হয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। কর্ম সুবাদে ১২ বছরের অধিক সময় নিউইয়র্কের বিভিন্ন ম্যাগাজিনে কাজ করেছেন ও লেখালেখি চালিয়ে গেছেন। পুরস্কার পেয়েছেন, বিভিন্ন ফেলোশিপেরও কমতি নেই। কিন্তু এখন আমরা খতিয়ে দেখতে এবং কিছুটা আলোচনা করতে চাই লিমনের কাব্যপ্রতিভা নিয়ে।

লিমন মূলত সময়টাকে রুক্ষ শব্দে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। রুক্ষ বলতে এতটাই কর্কশ যে আমরা কিছুক্ষণ খেই হারিয়ে ফেলি। উদাহরণস্বরূপ তার একটি কবিতার কথা বলতে পারি। কবিতাটির নাম নতুন জাতীয় সংগীত। কবিতার নামটিই হুট করে প্রচলিত প্রতিষ্ঠাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। তবে এটুকু মানতেই হবে যে পশ্চিমা পাঠকের সহনশীলতা আছে। না হলে এ কবিতা আদৌ লেখা হয়ে উঠত কি না সন্দেহ আছে। এমনটা যদি না হতো অ্যাডা লিমন কোনো দিনই লিখতে পারতেন না-

সত্যি বলতে, জাতীয় সংগীতের এত কদর কখনও করিনি।

ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে, এটা তেমন আহামরি কিছুই না।

বেশিরভাগের জন্যই স্বরটা তীক্ষ্ণ এবং গাওয়ার অযোগ্য।

ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানে

তাল-লয় বাগে আনতে

তুখোড় গায়কদেরও হিমশিম খেতে দেখেছি। (অনুবাদ : ইশরাত জাহান)

তার লেখনীর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো পাঠকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আন্তরিকতা সৃষ্টি করে মানুষ ও প্রকৃতির স্ব স্ব অবস্থান চিহ্নিত করেন। যেমনটা আমরা দেখতে পাই রবার্ট ক্রিলি কিংবা রিচার্ড ব্রটিগানের কবিতায়।

আমরা আগেই জেনেছি যে লিমন তার স্ব স্ব অবস্থান নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। আর এমনই সামাজিক অবস্থান নিয়ে ওয়াইফ নামে আমরা একটি কবিতা পাই যেখানে কবি একটি মেয়ের বৈবাহিক অবস্থান চিহ্নিত করতে গিয়ে পুরুষতান্ত্রিক বেড়াজালে আটকে থাকা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন নতুন প্রশ্নের সূচনা করে দেন।

এভাবেই হাজারো ছোট ছোট সামাজিক জটলাকে প্রশ্ন করে অ্যাডা লিমন একটু নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন যা যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

সমসাময়িক কবিদের আমাদের আরও নিবিড়ভাবে সমালোচনায় আনতে হবে। সাম্প্রতিক যদি তাদের আলোচনায় না আনা যায় তাহলে আমাদের আবার পেছনে হাঁটতে হয়। পেছন ফিরে দেখতে হয়। তখন হয়তো আমরা আর সময়ের প্রতি সৎ থাকতে পারি না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা