মূর্তালা রামাত
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৪২ পিএম
আমেরিকান কবি রিচার্ড সিকেন ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে তার কবিতার বই ‘দ্য ক্রাশ’ প্রকাশিত হয়। বইটি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন কবি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পায়। বইটির জন্য সিকেন ২০০৬ সালে ‘ল্যাম্বডা লিটারারি অ্যাওয়ার্ড’ পান। একই সালে তিনি ‘থম গান অ্যাওয়ার্ড’ও জেতেন। ‘ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক সার্কেল অ্যাওয়ার্ড’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও স্থান পায় সিকেনের ‘দ্য ক্রাশ’
শেহেরজাদে
সেই
স্বপ্নটা নিয়ে আমাকে বলো যেখানে আমরা লেক থেকে দেহগুলো তুলে আনি এবং তাদেরকে আবার গরম
জামা পরিয়ে দেই।
কীভাবে
এত দেরি হয়েছিল, আর কেউ ঘুমাতে পারেনি, ঘোড়াগুলো দৌড়ায়
যতক্ষণ
না ভুলে যায় তারা ঘোড়া।
এটা
গাছের মতো নয় যেখানে শেকড়কে কোথাও গিয়ে শেষ হতে হয়,
এটা
পুলিশের রেডিওতে বেজে ওঠা গানের মতো,
যেভাবে
আমরা কার্পেট গুটিয়ে নিয়েছিলাম, যাতে আমরা নাচতে পারি তার মতো আর দিনগুলো ছিল উজ্জ্বল
লাল, আর যতবার আমরা চুমু খাচ্ছিলাম টুকরো টুকরো হয়ে
পড়ার
জন্য আরেকটা আপেল পড়েছিল।
জানলা
দিয়ে আলোর দিকে তাকাও। তার মানে এটা দুপুর, তার মানে
আমরা
সান্ত্বনাবিহীন।
বলো
আমাকে কীভাবে এইসব, আর ভালোবাসাও, আমাদের ধ্বংস করে দেবে।
এইগুলো,
আমাদের দেহগুলোর ওপর আলো ভর করে আছে।
বলো
আমাকে আমরা কখনোই এতে আর মন বসাতে পারব না।
সাগরতীরে
উদ্ভাবন
আমি
আমার হাত দুটো খুলি আর তোমাকে দেই কিন্তু তুমি
সেগুলো
চাও না, তাই আমি সেগুলো ফিরিয়ে নেই
আর
ভুলভাবে সেগুলো লাগাই, ভুল কব্জিতে। উঠোনটা অন্ধকার,
সাদা
ধবধবে দেয়ালের পাশেই টমেটোগুলো আছে,
স্পেন
নিয়ে লেখা বইটা টেবিলের ওপর,আর এঁকে রাখা জানলাগুলো বন্ধ।
আজ
রাতে তুমি তুষারের মুকুটের নিচে থাকা
শহরগুলোর
কথা ভাবছো আর আমি তোমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছি
যেন
জানলা দিয়ে তাকিয়ে পাখি গুনছি।
তুমি
সুখ চেয়েছিলে, সে জন্য আমি তোমাকে দোষ দিতে পারি না,
আর
হতে পারে আনন্দকে নিয়ে মুখ থেকে যখন আবোলতাবোল বের হয় তখন
সেই
মুখ মূর্খ মনে হয়
কিন্তু
আমাকে বলো
তুমি
এইসব ভালোবাসো, আমাকে বলো তুমি অতিষ্ঠ নও।
তুমি
অঙ্ক কষো, তুমি সমস্যার আশায় থাকো।
সমুদ্রের
পাশের শহর। বৈদ্যুতিক তারের বেড়া।
এক
টুকরো চক দিয়ে একটি বৃত্ত আঁকো। কল্পনা করো আলোর নিত্য কোণের ভেতর দাঁড়িয়ে আছো। আত্মসমর্পণ
কল্পনা করো। কল্পনা করো তুমি কিছুই না। পথের ওপর একটি পাথর পড়ে থাকা মানে চা এখনো তৈরি
হয়নি,
হাতের
ভেতর একটি পাথর মানে কেউ রেগে আছে, তোমার ভেতরের পাথরটা
এখনো
তলদেশ ছুঁতে পারেনি।