রুদ্র আরিফ
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩৭ পিএম
কেভিন ইয়ংয়ের জন্ম ৮ নভেম্বর ১৯৭০; যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন শহরে। পড়াশোনা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে। উল্লেখযোগ্য কবিতার বই- মোস্ট ওয়ে হোম, জেলি রোল : অ্যা ব্লুজ, বুক অব আওয়ারস, ব্রাউন প্রভৃতি। পেয়েছেন বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। সমালোচকদের মতে, তার কবিতার গভীরে রয়েছে প্রবল গীতিময়তা। বুক অব আওয়ারস থেকে নির্বাচিত অংশ হাজির করা হলো এখানে-
সময়গ্রন্থ থেকে
আলো তোমাকে রেখে গেল একা, বিলীয়মান; যেন সন্ধ্যার
আগমনী দূর-বহুদূর। প্রভাতে পর্বত যাবে সরে সূর্যের খানিক কাছে। এ উপত্যকা নয় কারও,
কেবলই সেই পাখিদের ছাড়া, যারা নিজেদের নাম ধরে গায় গান ভোরে। যদি তা তোমার বাহুর প্রদীপে
না হয় নিঃশেষ, কী তবে লাভ এসব শুভকামনার
মেঘের গভীরে থাকা উজ্জ্বলতম নীল রঙ দেখে আমরা
ভাবি, এরপর পাব দেখা কিসের, যা নয় এ পর্বতের মতো, যা বেজে ওঠে হাড়ের গহিন থেকে এমন
সংগীত হয়ে- যা মাত্রায় ধরার চেয়ে অনেক বেশি উঁচু স্বরের
পুড়ে ছারখার, ঝাপসা এ জগতের শেষ কোথায় : হাওয়া
দিচ্ছে ছুড়ে আস্তাবলের ঘ্রাণ- যেখানে ঘোড়ার খুর রয়েছে পড়ে, তা কেবলই সৌভাগ্যে নয়, তারও
চেয়ে নিগূঢ় কারণে। অথচ ভারী। অথচ পুড়ে যাওয়া শরীর করছে ছোটার মিনতি
মেঘের আড়ালে কেবলই গেল হারিয়ে তরি। টেলিফোনের
খুঁটি পেরিয়ে গেল রাস্তা। আমরাও চল যাই উপত্যকায়- পোশাক উল্টিয়ে পরে, মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে,
পৃথিবীকে কেবলই একবার করে যেতে জ্বালাতন
রজনিকে করে বিক্ষত, চোখের মতো কালো এক রঙ জ্বলে
উঠে ভোরে হয়ে যায় হলুদ; তারপর ধূসর- স্মৃতিকণা কোনো। সে এক আলো ছিল দেখার মতো! সারা
দিন প্রবল উত্তাপ, যেন রঙমাখা জামা
আমি চাই থাকতে শুয়ে, মেষশাবকের মতো, যতক্ষণ না
এর পশম সব খুলে আনা হয়। এ উপত্যকার চোখধাঁধানো বিন্যাস আর উত্থানের ভেতর, আমাদের মাঝে
এক গিরিখাত কাঁধে বয়ে চলে আমাদেরই অনুরণন : করে হাহাকার, দেয় ছেড়ে পথ
আমাকে রসদ জোগায় সূর্যের পলকা ক্রোধ। বাতাস কমে
আসে ক্রমশ। আমরা থাকি অপেক্ষায়; আর তার ভেতর ঢুকে পড়ে শিহরন- যত উজ্জ্বলতার : আহা ভূদৃশ্য!
আহা সংগীত! আমাদের ওড়া ক্ষণিকের, তবু পূর্ণতর
আমাদের এ ক্ষণিক যাত্রায় যেন কেউ কিংবা কিছু না
দেয় পূর্ণতা, চাও তুমি। আকাশে পাখিদের ঝাপটানো ডানাগুলো যদিও স্বর্গমুখী; তবু পৃথিবী
কিংবা অশেষ মাটির তল্লাটের মায়া কাটিয়ে যাওয়া মুশকিল। অথচ তা-ই চেয়েছিলাম আমি। কমিয়ে
পায়ের গতি, আমরা নিচ্ছি খুঁজে সূর্য; দেখছি আকাশ থেকে- পৃথিবীটা আমাদের কাছে মূলত লবণাক্ত
ও গাঢ় পানির মতো