অনিরুদ্ধ নাঈম
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৮ পিএম
জন্ম ভিয়েতনামে, ১৯৮৮ সালে। বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের হার্টফোর্ড, কানেকটিকাটে। কবিতার জন্য ২০১৪ সালে পেয়েছেন রথ-লিলি পোয়েট্রি ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ, ২০১৬ সালে হোয়েটিং প্রাইজ এবং ২০১৭ সালে টিএস এলিয় পুরস্কার। তার কাব্যসমূহ প্রতিটিই উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচিত
একদিন
আমিও ভালোবাসব
ভয়
পেয়ো না, ওশেন।
পথের
শেষ এখনও এতটাই দূরে
যেন
তা ইতোমধ্যে আমাদের পিছনেই পড়ে আছে।
ভেবো
না।
ভুলে
যাওয়ার আগ পর্যন্ত তোমার
পিতা তোমারই থাকবে।
যেমনটা
ধরো, তোমার মেরুদণ্ড তোমার
পিঠের
ডানার কথা চিন্তা করবে
না
তুমি
যতবারই গলিতে আছাড় খেয়ে পড়ে
যাও না কেন।
ওশেন,
তুমি কি শুনছো?
তোমার
শরীরের সবচেয়ে সুন্দর অংশ সেগুলোই
যেখানে
তোমার মায়ের ছায়া পড়ে।
এই
যে সেই বাড়ি যেখানে
শৈশব কেটেছে
একটি
লাল ফাঁদে শৈশব হারানো এই
সেই বাড়ি
যেখানে
ছোট ছোট কাঠ কেটে
ফাঁদ তৈরি করা হতো।
ভেবো
না।
মনে
করো তুমি দিগন্তের দিকে
রওনা দিয়েছো
যেখানে
তুমি কখনই পৌঁছুতে পারবে
না।
আজ
তো এখানেই।
আজই
সেই দিন। শুরু করো।
নিশ্চিত থাকো
এটা
কোনো লাইফবোট নয়।
এই
সেই পুরুষ
বাহু
প্রসারিত করে রেখেছে
আর
এখনই সেই মুহূর্ত
যখন
আলো নিভলেও
তুমি
দেখতে পাবে
আলো
নিভে যাওয়ার পরপরই তুমি দেখতে পাবে
দুই
ঊরুর মাঝে নিস্তেজ মশাল।
বারবার
ব্যবহার করতে থাকো
নিজের
হাত খুঁজে পাওয়ার জন্য।
তুমি
আরেকটি সুযোগ চেয়ে নাও,
আর
নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য
একটা
মুখ বাড়িয়ে দেয়া হয়।
ভয়
পেয়ো না।
বন্দুকেরগুলি
আসলে মানুষেরই চিৎকার
একটু
বেশি বাঁচার ইচ্ছা আর কি।
ওশেন,
ওশেন, উঠো!
সেটিই
তোমার শরীরের সবচেয়ে সুন্দর অংশ
যেদিকে
তা ধাবিত হচ্ছে।
আর
মনে রেখো নিঃসঙ্গতাও আর
দশটা
মানুষের
সাথে সময় কাটানোর মতোই।
এই
যে সেই ঘর যেখানে
সবার জায়গা আছে।
এবং
মনে রেখ একাকিত্ব এখনো
পৃথিবীর
সাথে কাটানো একটি সময়।
তোমার
বন্ধুর বিদেহী আত্মা বায়ুবেগে চলে গেলো
উইন্ড
চাইমের ভিতির দিয়ে।
পা-ভাঙা এই সেই
টেবিল এবং
একটি
ইটা দিয়ে কোনোমতে দাঁড়
করিয়ে রাখা হয়েছে।
আর
হ্যাঁ! এই সেই উষ্ণঘর।
কসম
করে বলতে পারি : তুমিই
জেগে উঠবে
এবং
এই দেয়ালগুলোকে ত্বক ভেবে ভুল
করবে।