ইশরাত জাহান
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩৮ পিএম
জন্ম ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। হালসময়ে লিমন তার কাব্য ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে অবস্থান করছেন। কারণ ল্যাতিনো হিসেবে তিনিই প্রথম কবি যিনি কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ পোয়েট লরিয়েট’ হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। পূর্বপুরুষ মেক্সিকোর অধিবাসী। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় হয়েছেন। পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার ও ফেলোশিপ
এক নব জাতীয় সংগীত
সত্যি বলতে, জাতীয় সংগীতের এত কদর কখনও করিনি।
ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে, এটা তেমন আহামরি কিছুই না।
বেশিরভাগের জন্যই স্বরটা তীক্ষ্ণ এবং গাওয়ার অযোগ্য।
ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানে
তাল-লয় বাগে আনতে
তুখোড় গায়কদেরও হিমশিম খেতে দেখেছি।
সত্য কথা বলতে কি, গানটার তেমন কোনো অর্থই নেই;
খেলার মাঠে নামার আগে তরুণদের উজ্জীবিত করতে
এক প্রকার আহ্বান আর কি।
কিছু স্তবক তো গাওয়াই হয় না,
যেমন তৃতীয় স্তবকটি।
অবশ্য সত্যি বলতে, সব গানেই তৃতীয় স্তবকের
মতোই কিছু অংশ থাকে
যা কখনও গাওয়া হয় না;
এই সুরেলা অংশের নিচে লুকানো থাকে বর্বরতা আর পৈশাচিকতা,
যা না বুঝেই গেয়ে যাই মাঠের খেলোয়াড়দের
জেতার আহ্বান জানাতে।
আমাকে ভুল বোঝার কোনো কারণ নেই;
জাতীয় সংগীতের তেমন ভক্ত না হলেও
আমি কিন্তু জাতীয় পতাকার বড় ভক্ত; আমি মুগ্ধ হই
যখন বাতাসে স্রোতের মতো ভাসে, নত হয়ে থাকে,
যে সর্বহারা তারও আপন হয়ে সাথে থাকে,
যখন ঝিরিঝিরি বাতাসে কাপতে থাকে;
এটি কোনো অস্ত্র নয়;
যতক্ষণ না দরকার হয়, আরেকবার ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়,
সুন্দর করে গুছিয়ে নিজের কাছে রাখা যায়;
যতক্ষণ না মুখের গানটাকে গলার কাঁটা মনে হয়,
সেই গান যা গায় গাছ, মাঠ, নদী ও প্রান্তর,
সেই গান যা গাওয়ার অধিকার আমাদের জন্ম থেকেই,
সেই গান যা নীরবে গাওয়া হয় যখন সুর বেশি কঠিন হয়ে যায়,
সেই গান যা শুনতে লাগে রুক্ষ তালুর ঘর্ষণের মতো,
সেই গান যা অনন্ত গুহার গভীর অন্ধকারে আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো,
সেই গান যা বলে আমার আর তোমার অস্থির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই,
এটাই কি যথেষ্ট নয়?