বিবিকা দেব
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৯ পিএম
হালদাকে মনে
হতো মায়ের মতো। সখার ন্যায় জলকেলি হতো। মধ্যদুপুরের তীব্র তেজকে দুচোখের ওপর রেখে,
হাঁস হয়ে ভেসে ভেসে এপার থেকে ওপার হতো ডুবসাঁতার। একসময় সেখানে কান পাতলেই শোনা যেত
নদীর প্রবাহ। দুচোখ জুড়ানো কিশোরীর চঞ্চলতার মতো ঢেউ। সূর্য়ের আলো পড়ে চিকচিক করত নদীর
জল।
হালদার বুক
খনন হচ্ছে। বিধ্বস্ত হচ্ছে তার শরীর। যে উর্বর মাটিতে হতো সবুজ ফসল, এখন সেই উর্বর
মাটির প্রলেপ পড়ছে ব্যস্ত নগরীর শৌখিন দেয়ালে। ভেতরটা ক্রমশ ফাঁকা হচ্ছে আর হালদা হারাচ্ছে
যৌবন।
সেই নদীকে
মনে হচ্ছে নিষ্প্রাণ। তবে এখনও বেঁচে আছে। বয়সের ভারে একটু নুইয়েছে। আগের মতো স্রোতস্বিনী
হয়ে ওঠে না। কেবল ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকে মহাকালের পথে।