হিজল জোবায়ের
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৮ পিএম
দৈবচয়ন
কেমন প্রেমহীন
একটি হৃদয়,
কেমন স্বপ্নহীন
চোখ,
আর জলহীন পাথর?
ইগুয়ানা, দেয়ালটা
চোখ মেলে আছে।
ইগুয়ানা, দেয়ালটা
বন্ধ করে দাও।
অরক্ষিত হৃদয়পুঞ্জ
ভরে আছে আলপিনে, সুচে।
দৈবচয়নে আনা
হয়েছে আমাকে, এই রক্তঝরনার পাশে, বন্দিশালায়।
কারা নিয়ে
এসেছে আমাকে? আমি তার কিছুই জানি না।
কোথায় বা ছিলাম?
আমি তার কিচ্ছু জানি না।
শুধু জানি,
তোমার চোখ দিয়ে আমি এ জানালা বানিয়েছি।
ওপারে অপার
শ্রাবণ।
এপারে কবির
অশ্রুর মতো বিষণ্ন এক বিকেল ঝুঁকে আছে হ্রদের অন্তিম তলদেশে। হীন একটি হৃদয়, কেমন স্বপ্নহীন
চোখ, আর জলহীন পাথর? ইগুয়ানা, দেয়ালটা চোখ মেলে আছে। ইগুয়ানা, দেয়ালটা বন্ধ করে দাও।
অরক্ষিত হৃদয়পুঞ্জ ভরে আছে আলপিনে, সুচে। দৈবচয়নে আনা হয়েছে আমাকে, এই রক্তঝরনার পাশে,
বন্দিশালায়। কারা নিয়ে এসেছে আমাকে? আমি তার কিছুই জানি না। কোথায় বা ছিলাম? আমি তার
কিচ্ছু জানি না। শুধু জানি, তোমার চোখ দিয়ে আমি এ জানালা বানিয়েছি। ওপারে অপার শ্রাবণ।
এপারে কবির
অশ্রুর মতো বিষণ্ণ এক বিকেল ঝুঁকে আছে
হ্রদের অন্তিম
তলদেশে।
রাত্রির প্রাগকথন
অযুত সূর্যাস্তের
পর দেখা হবে আমাদের- আরেকটা শীতের রাত জমতে থাকা রক্তশূন্য গোধূলির খোপে খোপে।
পাহাড়ের ছায়ায়
কথা বলছে ডাকু ও হার্মাদ।
যখন জীবন গড়িয়ে
যায় রক্তের কাছে। কিছুই তখন আর থামাতে পারে না। কুকুরেরা পাহারা দেয় মৃতদেহগুলো, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার
সৌরভের ভেতর।
অন্ধকার তার নখর দিয়ে সন্ধ্যাকে খামচে ধরেছে। আর অনাবৃষ্টির প্রান্তরে ধূসর খরগোশ, আর হাওয়া- চলাচলের পুনরুক্তিতে সেলাই করে চলেছে রাত্রির ছাইরঙা কালো- কৌপীন।
মৌহূর্তিক
ছিল মেঘ ছিল
রাত্রি
ছিল উচাটন
মনোবেদনা
ছিল দাবানল,
ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর
আর হিয়া থৈ
থৈ বন্যা
মৌহূর্তিক
কোনো কুসুমের
ঘ্রাণে উথলায়
মরা সন্ধ্যা,
কাকবন্ধ্যা
হু হু প্রান্তর-
জুড়ে অলীক
সর্পগন্ধা
আমি বামনের
নামে চাঁদ চাই
তুমি বিরহের
নামে কান্না,
হিম-পারদের
নদী সাঁতরে
কেন মুখ লুকিয়েছ
আয়নায়
তুমি তন্দ্রা?
তবে ঘুম যাও।
খোদখুশি ভরা
এই মৌসুম;
আমি জেগে আছি
একা কফিনে,
আয় ঘুম, ঘুম,
আয়, আয় ঘুম।