রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩২ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩৩ পিএম
তোমার জ্বর হোক অমাবশ্যা নামুক আর যাই
হোক
তুমি না খেতে পেয়ে তোমার দু’চোখ কোটরে
ঢুকে যাক
তোমার পঞ্চ ইন্দ্রিয় সাড়া দিতে ভুলুক
বা যা-ই হোক
আমার চোখে তুমি প্রতিদিন আরো দুর্বার
সুন্দর হয়ে ওঠো।
তুমি প্রতিদিন কষ্ট রাঁধো,
প্রত্যহ রাতে সব বাজারঘাট যখন বন্ধ
হয়ে যায়,
তখন তুমি দুহাত ভর্তি যন্ত্রণা সওদা
করে ট্রামে ঝুলে বাড়ি ফেরো।
ফিরে এসে অত রাতে দুঃখগুলোকে ভাতের
পাতিলে চুলায় বসিয়ে দাও,
আর প্লেট ভর্তি তোমার কান্না গিলে খাও।
আমি সব দেখি, সব বুঝি,
তুমি কীভাবে এত অনিন্দ্য মোহনীয় হয়ে
ওঠো।
আমি তোমার পাশে ঘেঁষতে পারি না,
কী প্রতাপ উত্তাপ তোমার জীবনে,
তুমি বুঝতে দাও না আমাকে।
আমি দেখি তুমি নিউমার্কেট থেকে
ব্যবহার করা জামাকাপড় কিনে আনো অল্পদামে,
তোমার কোনো অভিযোগ নেই,
কী করে যন্ত্রণা ঢাকো এই কাপড়ে?
আমি বিস্মিত হই! আমি উৎকণ্ঠায় মরে যাই!
তুমি অদম্য গতিতে জীবনের দিকে কেবল
চলে যাও,
তুমি কি থামতে পারো না?
তুমি কি ভাতের হাঁড়িতে ভাত রাঁধতে জানো
না?
তুমি তরকারির কড়াইয়ে প্রথমে ডান হাতের
আঙুল,
তারপর বাঁ হাতের আঙুল টুকরো টুকরো করে
কেটে ছেড়ে দাও।
আমি সব দেখি, সব জানি, যা তুমি বোঝো
না
তুমি কি তরকারির কড়াইয়ে মাছ, মাংস রাঁধতে
জানো না?
আজ থেকে তুমি শুধু ভাত রাঁধবে, মাছ
রাঁধবে,
ভালো লাগলে মাংস অথবা কচুরি,
কোনো কোনো দিন একটু ফিরনি অথবা যা তোমার
পছন্দ।
তোমার পছন্দ কী তা তো কোনোদিন বলো নি
কোনোদিন তোমার হাত ধরে গল্পসল্প হয়
নি
কোনোদিন তোমার সঙ্গে আনন্দধামে যাওয়া
হয় নি
কোনোদিন তোমাকে যে ভালোই বাসা হয় নি!