× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আমাদের অন্তহীন ভালোবাসা

শাহজিয়া ইসলাম অন্তন

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৫ পিএম

আমাদের অন্তহীন ভালোবাসা

অল্প বয়সেই আমরা প্রেমে পড়েছিলাম। আমি ও পলাশ স্থাপত্য বিভাগে একই সঙ্গে পড়তাম। সেই সুবাদে আমাদের ক্লাসরুমেই প্রথম দেখা, প্রথম আলাপ। সহপাঠী হিসেবে ক্লাসের পড়াশোনার বিষয় হোক, সাংস্কৃতিক ব্যপার হোক, প্রজেক্ট হোক- সেসব নিয়ে আলোচনা হতো। তখন থেকেই ভালোলাগা। আমাদের প্রেমের ঘটক মূলত রবীন্দ্রনাথ। পলাশ ও আমি দুজনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুরাগী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থেকেই আমরা পরবর্তীকালে টেগর টেরস তৈরি করেছি। সেখানেও কিন্তু আমাদের ভালোবাসা প্রতিমায়িত হয়ে আছে। আমরা রবীন্দ্রনাথ পড়তাম, গাইতাম। ভালোবাসতাম তো নিশ্চয়ই। পলাশ রবীন্দ্রদর্শনে বিশ্বাসী, রবীন্দ্রনাথকে মনে-মননে ধারণ করে। যার ফলে প্রথম আলাপের পর আমরা একটু একটু করে পরিচিত হতে থাকলাম, তখন রবীন্দ্রপ্রেম আমাদের ক্যাটালিস্টের মতো কাজ করছিল। একে অন্যের প্রতি ভালোলাগা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা পুরোপুরি প্রেমে পরিণত হতে একটু সময় লেগেছিল।

আরেকটু জানাশোনা-বোঝার ব্যাপার ছিল। যখন বুঝলাম আমাদের মতের মিল, মনের মিল, পছন্দের মিল এগুলো অনেক বেশি, তখন কিন্তু আর প্রেমের দূরত্ব থাকল না। সে সময় আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো, আমরা দুজনে সেসবে অংশগ্রহণ করতাম। সত্যি কথা বলতে, প্রথম থেকেই দেখতাম ও ক্লাসেও ভালো, আবার যেসব ডিজাইন করছে ক্লাসের সবার থেকে তা একদম আলাদা, সেটা বন্ধুবান্ধব, শিক্ষকদের মতো আমাকেও মুগ্ধ করত। দেখতাম পলাশ ভালো ছবি আঁকে, সেতার বাজায়, গান গায়, কবিতা লেখে, এত গুণাবলি সত্যেও তার সবচেয়ে আকর্ষণীয় সত্ত্বা হচ্ছে সহজ-সরল মানুষ,  এটা আমাকে আকর্ষণ করেছিল। আমার প্রতি পলাশের ভালোলাগার কারণ ছিল আমার ভালো পড়াশোনা আর ভালো রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে দেখা যেত আমরা গান করতাম। পুরো ক্যাম্পাস জীবনে খুব বেশি আমাদের এসব করা হতো, তা না। ডিপার্টমেন্টের অনুষ্ঠান, হলের অনুষ্ঠান আর ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা থাকতাম। ও তো তখন থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে। ওর সুবাদেই ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা তৈরি হয়েছিল। এগুলো নিয়ে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে; যা এখনও মনে হলে আমরা নস্টালজিক হয়ে পড়ি। দেখা যায় আমাদের অবসরে দুজনের গল্পে আজও সেসব স্মৃতিমন্থন করা হয়। বড় কিছু অনুষ্ঠান আমরা একসঙ্গে করেছিলাম। আমাদের স্থাপত্য বিভাগের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে পলাশের বড় একটা ভূমিকা ছিল। পুরো ক্যাম্পাস ডেকোরেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অর্থাৎ সাত দিনব্যাপী পুরো আয়োজনে আমরা আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী হিসেবে ছিলাম। আমাদের অনেক ছোট ছোট স্মৃতি রয়েছে। যেগুলো অনেক রঙিন ও সজীব। অনেক বেশি যে ঘটনাবহুল বা শোঅফ করার মতো কিছু, তেমন না। আমাদের সময়ের প্রেম তো এখনকার প্রেম থেকে একটু ভিন্ন ছিল। আমাদের প্রতিদিন দেখা হতো, ছোট ছোট ভালোলাগার মধ্যে থাকতাম। তবু আমরা ভেতরকার টান অনুভব করতাম, যেটার জন্য কোনো উপলক্ষ লাগত না, বিশেষ কোনো দিন লাগত না। আমি তেমন কোনো বিশেষ দিনের বিশেষ কোনো ঘটনা মনে করতে পারি না, কিন্তু প্রতিদিনকার ঘটনাগুলোই আমার কাছে মধুময়। সেগুলো আমি এখনও বলতে পারি। সেখান থেকে সবচেয়ে মধুর বা একটু কম মধুময় তা কিন্তু ক্লাসিফিকেশন করতে পারি না। সব স্মৃতিই সমানভাবে আলোড়িত করে। তবে তৃতীয় বর্ষের পরে আমরা আমাদের স্থাপত্য বিভাগ থেকে ভারতে শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম। এ ট্রিপটা আমাদের জন্য স্পেশালি মধুর ছিল। আমরা একসঙ্গে প্রায় পুরো ভারত ঘুরেছিলাম। সে সময় আমার জন্মদিন পড়ে ছিল, ১২ ফেব্রুয়ারি আমার জন্মদিন। সিকান্দ্রাতে সবাই মিলে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। পলাশের উইশ তো বরাবরের মতো অভিনব ছিল। আমার জন্মদিনটা এখনও পলাশ বড়সড় আয়োজনে পালন করে। সারপ্রাইজ থাকে। অভিনব সব কর্মকাণ্ড ওর। ওর প্রেমের প্রস্তাবটাও কিন্তু অভিনব ছিল। আমরা একটা গ্রুপ প্রজেক্ট করছিলাম একসঙ্গে, সেখানে ওকে উদ্দেশ করে বলেছিলাম, আমার যদি কোনো ছোট বোন থাকত, তবে পলাশকে বিয়ে করতে বলতাম। ও তখন বলেছিল, নিজে কেন নয়? সেটা কিন্তু এখনও আমার মনে পড়ে। আমরা যেদিন একদম কমিটমেন্টের ভেতর গেলাম, সেদিনও কিন্তু আমার জন্মদিন ছিল। ও একটা পেইন্টিং নিয়ে এসে বলল, আমরা একটা কমিটমেন্টের ভেতর যেতে পারি। এখনও নানা সময়েই ও আমার অ্যাবশট্রাক্ট পোট্টেট আঁকে। সেই তখন থেকেই আমাদের জার্নি চলছে। ২০২০ সালের জন্মদিনে ও আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছেল। তপন চৌধুরী সেটায় সুর দিয়ে গান করেছে।আমার জন্মদিন নিয়ে ওর এসব কিন্তু এখনও কমেনি।


ফাল্গুনের একটা বিষয় থাকে, সুতরাং আমার কোনো রেহাই থাকে না। শুধু যে জন্মদিনের বিষয়, তা নয়। নানান সময়েই নানানরকম ঘটনা কিন্তু ঘটে এবং সে সময়ও ঘটত। ক্যাম্পাস জীবনেও দেখা যেত হঠাৎ করেই পলাশ আমাকে নিয়ে কবিতা লিখে নিয়ে আসছে, ছবি আঁকছে। আমি সেসব এখনও যত্নসহকারে রেখে দিয়েছি। হঠাৎ একদিন দেখলাম পলাশ স্কেচবুকের হার্ড কভারে শখানেক বার আমার নাম লিখে কোলাজ করে নিয়ে আসছে। আবার হঠাৎ একদিন দেখলাম আমার একটা অ্যাবস্ট্রাক্ট পোর্ট্রেট করেছে। ওর সবকিছুতেই একটা শৈল্পিক ব্যাপার ছিল। নিজগুণে আজ সে স্বনামধন্য স্থাপত্যশিল্পী। ওর চিত্রকর্মের বেশ কয়েকটি একক প্রদর্শনীও ইতোমধ্যে আয়োজন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আয়োজিত ওর বড় চিত্রপ্রদর্শনী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বইটি আন্তরিক ভালোবাসায় আমাকে উৎসর্গ করেছিল। তার সবকিছুতেই আমাদের ভালোলাগা, ভালোবাসার ছাপ রয়ে গেছে। আমাদের সময় তো এখনকার মতো মোবাইল ফোন ছিল না, না ছিল ইন্টারনেট। চিঠি লেখার যুগ হলেও আমরা কিন্তু সেভাবে চিঠি লিখতাম না। দু-এক বার হয়তো লেখা হয়েছিল, সেটা সেভাবে মনে পড়ে না। প্রতিদিন দেখা হওয়াটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল। সকালবেলা দেখা হলো, বিকালবেলা ক্লাস করে চলে এলাম এতটুকুই। আমাদের পড়াশোনার পুরো সময় আমাদের প্রেমের কথা সেভাবে কেউ জানত না। আমাদের সম্পর্কটা কালচারাল ছিল। আমাদের প্রেম, আড্ডা সবকিছু বুয়েট ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখনও মাঝেমধ্যে ক্যাম্পাসে যেতে ইচ্ছে হয়। নিজেদের বিভাগে যেতে ইচ্ছে হয়। আমরা সে সময়টা মিস করি।অবসরের সময় খুব কম থাকায় সেদিকে আর সেভাবে যাওয়া হয়ে ওঠে না। তখন মাঝেমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আমাদের যাওয়া হতো। আমরা মাঝেমধ্যে নীরবে যেতাম। কখনও কখনও বকশীবাজারে। আবার কাঁটাবন পার হয়ে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে তুংকিন ছিল, ওদিকটাই চায়নিজ খেতে যেতাম। শাহবাগে যাওয়া হতো মাঝেমধ্যে। বিশেষত পিজির সামনে কিছু দোকান ছিল, ওদিকটায়। মৌলি নামে একটা ক্যাফের মতো দোকান ছিল, ওই দোকানে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেটা কখনও ভুলব না। আমাদের প্রেম কিন্তু খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল না। আমাদের ভয়ে ভয়ে চলাফেরা করতে হতো, কখন কে দেখে ফেলে। বিশেষত পলাশের দিকটা থেকে আপত্তি বেশি ছিল। আমার শাশুড়ি চাইতেন নিজের পছন্দের কোনো মেয়ে দিয়ে ছেলের বিয়ে দেবেন। আমার পরিবারের দিক থেকে তেমন কোনো বাধা ছিল না। তবে বিয়ের পর কিন্তু আমিই আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সবচেয়ে প্রিয় হয়ে উঠেছিলাম। আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে পরিবারে জানাজানি হওয়ার পেছনে একটা ঘটনা আছে। ‍প্রায়ই পলাশ আমাকে রিকশায় করে বাসায় পৌঁছে দিয়ে যেত। একদিন রিকশায় আসার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আমার মাথায় আঘাত লাগে, দাঁতে ব্যথা পাই। অনেক কিছু ইনজুরি হয়। ও আমাকে বাসায় রেখে যায়। সেটা বেশ বড় নাড়া দেওয়া ঘটনা হয়েছিল। সেবারই প্রথম পলাশের বাবা আমাদের বাসায় ফোন দেন, আমার খোঁজ নেন- অন্তন তো ব্যথা পেয়েছে, ও কেমন আছে? এটা আমার ভালো লেগেছিল। সে সময়টাতেই আমাদের সম্পর্কের খবর সবাই জেনে যায়। তত দিনে আমাদের পড়াশোনাও শেষ। আমরা দুজনই চাকরিতে ঢুকে গেলাম। তখন মোটামুটি আমাদের বিয়ের বিষয়টা ঠিক হয়েছে। সে সময় পলাশের বড় বোনের মৃত্যুর কারণে আমাদের বিয়ে একদম ঘরোয়ভাবে হয়। কোনো আয়োজন ছিল না আর কি। এটা নিয়ে কিন্তু আমাদের কোনো আফসোস ছিল না। দুই পরিবারের প্রতিই সেই শোকটা ছেয়ে গিয়েছিল আর শ্রদ্ধার জায়গাটা অনন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে মেয়ের মতোই বরণ করেছিল। তবে এভাবে আমাদের বিয়েটা কিন্তু পলাশের মনের ভেতর কিছু একটা ঘটিয়েছিল। আমাদের বিবাহবার্ষিকীর ২৫ বছর পূর্তি যেদিন হলো, পলাশ আমাকে ওর নিজের কেনা মার্সিডিজ গাড়িতে করে আমাদের নিজেদের করা বাড়িতে যেতে বলেছিল। আমি বিষয়টা আসলে ধরতে পারিনি। আমি আবার অত কিছু না ভেবে আমার নরমাল গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। ও বলল, তুমি আমার বিষয়টা ধরতে পারোনি। আমার ইচ্ছে ছিল আজ আমার বউ আমার গাড়িতে আমার নিজের বাড়িতে আসবে। এত দিন তো আমি তোমার বাড়িতে ছিলাম। তখন আমি বুঝতে পেলাম আমাদের বিয়ের অনাড়ম্বরতা ওর ভেতর কিছুটা হলেও ক্ষত রেখে ছিল। এগুলো আসলে খুব আবেগেরে বিষয়।



আমাদের প্রেম থেকে দাম্পত্য জীবনে কখনও ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়নি। এটা হয়তো কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না, কিন্তু এটাই সত্য। আমাদের মন খারাপ হয় ঠিক, কখনও কখনও কোনো বিষয়ে দ্বিমত হয় ঠিক, কিন্তু সেটা অভিমান, রাগ বা ঝগড়া পর্যন্ত গড়ায় না। আমরা চুপ করে থাকি। কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ হলে আমিই আমার দিক থেকে আগে সরি বলি। আসলে আমাদের যে আত্মিক সম্পর্ক, সেটা কিন্তু আমাদের অমন কোনো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায় না। একে অন্যের প্রতি অগাধ বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সবটা থাকায় আমরা আজ এত দূর আসতে পেরেছি। আমাদের যা কিছু অর্জন তার সব ভালোবাসারই সম্পদ। বিয়ের এত দিন পরও আমরা একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারি না। কাজের জন্য কোথাও গেলে বা বাসার বাইরে থেকে ফিরতে দেরি হলে আমি কিন্তু অস্থির হয়ে যাই। ওর ক্ষেত্রেও তাই। আমাদের অবসর সময়ে, বিশেষ করে বৃহস্পতিবার আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে কাটাই। আমার দেবর আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা, ওরা আসে। আমাদের বন্ধুরাও আসে। বাসাতেই দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটে আমাদের। গান, কবিতাসহ শিল্প-সাহিত্যের নানান দিক নিয়ে আমাদের আড্ডা চলে। আমি ও পলাশ প্রায়ই কাজ শেষে সন্ধ্যায় গান করি। আমি বলতে পারি অল্প বয়সে আমাদের যে প্রেম শুরু হয়েছিল, সেটা এখন আরও পরিপক্ব। কিন্তু সেই উঠতি বয়সের ভালোলাগা-ভালোবাসার ভেতরেই রেখে দিয়েছে আমাদের। আমরা আসলে এর থেকে বের হতেও চাই না কখনও। আমাদের ভালোবাসার শক্তিটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ও আমাদের সংস্কৃতি। আমাদের চারপাশ ঘিরে এসবই রয়ে গেছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা