ফারহান ইশরাক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২৪ পিএম
নিজের উষ্ণ
রক্তে এত তীব্র রাজহাঁস
ভেসে আছে;
ঘুমোনো সম্ভব? সরোবরে
নক্ষত্র রাত,
আয়নার অসহ্য নির্মাণ
পালক দিয়েই
অপলক প্রতিমা গড়েছি,
জন্ম থেকে
সাধনা বাক্য কণ্ঠে সুন্দর
আকণ্ঠ অন্ধকারে
অভীপ্সার ঢালু পিঠে
জ্বলন্ত বিদ্যুতের
প্রহার সয়ে চলা...
বিন্দুচাঁদও
প্রবল আগ্রহে পার হলো
আত্মবিকাশের
এতগুলো অকৃত্রিম কলা
নয় কি-না,
পদ্ম গোলকে সর্পডিম গোল?
বুনিয়েছিলাম,
সত্য কি-না বলো শ্বাসবায়ু?
স্বপ্ন বলি
বা না-বলি, দ্বিধায়, অসন্তোষে
পাতার রন্ধ্রে
রৌদ্রঝরা মুহূর্ত মুলতবি?
বড়জোর গলা
কেটে চলে যাবে তারা
এই-ই ছিল আশঙ্কা
বা সর্বশেষ ভয়
এখন যুগ্ম
চোখ বরফে বধির, আয়ুসীমা
অসীমের প্রেরণা
ভুলে অকালে চম্পট?
নাভির চর্বিতে
না-ফুরোনো আগুনের
লোভ বাকি রেখে
যেতে পারে তৃষ্ণাতুর?
হা দুর্গতি,
এতই নিষ্ঠুর ওই আগন্তুকেরা
প্রথমে বসলো
ফলা, বাম পাশে, ধীরে
চোয়ানো স্রোতের
ধারা কোমর অবধি
এত লাল, এত
ফিনকি, সম্ভবত সন্ধ্যার
সমস্ত সংগীতও
ব্যর্থ হবে পুরোটুকু
ভাসছে চারপাশ,
পাশ ফিরে দেখবো
শেষবার, কত
হাঁস রঙ পাল্টিয়ে
জবুথবু, রঞ্জকের
ভারে : নিজ রক্তে
এত ডানা আহত
দেখেও ঘুমোনো
সম্ভব?