স্নিগ্ধা বাউল
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:২৭ পিএম
মধ্য চৈত্র্যের এমন গনগনে দুপুরে যে ঝিমুনি আসে এজন্য অবশ্য বয়সের ওপর মায়া লাগে। সংক্রান্তি এগিয়ে আসতে শুরু করলে মনে পড়ে কত কত স্মৃতি! আচমকা এক কালবৈশাখির মতো হাতের কাজগুলো সব উড়ে যায় শৈশব আর কৈশোরে। যেন ঝড় আসার আগে তখন কালো মেঘ দেখেই আমি আর দিদি কড়কড়ে শুকিয়ে রাখা মায়ের রান্নার পাতা আর লাকড়িগুলো বস্তাবন্দি করতে শুরু করেছি। আজকাল মনে পড়ে গ্রীষ্মের স্কুল ছুটির দিনে আমরা পুতুলের বিয়ে দিতাম হিজল গাছের তলায়, দিদির পুতুলের বিয়েতে আমি থাকতাম দুধভাত। টুকিয়ে আনতাম লাল ইট, কড়া আম আর কচুরিপানা। আমাদের সেই আমগাছগুলোও এখন নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে মাঝে মাঝে বুনো ঝড়ে নিশ্চয়ই কেঁদে যায়। বাকি সময়টা নিশ্চয়ই খুঁজে বেড়ায় তার যৌবনের আম কুড়ানো শিশুদের।
বৈশাখ মানেই তো আম-কাঁঠালের গল্প। আমাদের বাড়িতে বৈশাখী আমের গাছ বলে যে গাছটি বুড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, তার আমগুলোই কেবল বৈশাখ মাসে পেকে টসটস করত, সম্ভবত এজন্যই গাছের নাম ছিল এমন। আর আমাদের চালার ওপরের গাছটির আম তখন কেবল গুটিয়ে ওঠে। আর জ্যাঠার দরজাবরাবর আমগুলো ছিল বিচ্ছিরি রকমের টক, যেগুলো মরিচ-লবণ আর সরিষা তেলে ঠিক ভরদুপুরেই কলিজা পোড়া ভর্তা বানানো হতো। আমাদের মধুদার কথা মনে পড়ে, পাগলাটে খ্যাপাটে মধু। ঠাম্মার বারান্দার পেছনের দিকটায় হাতের তালুতে পিষে ভাঙত আম অথবা ঠাম্মার দরজার চিপায় আম রেখে দুয়েকটা ক্যাঁচক্যাঁচানি ঘুরিয়ে নিলেই আমের টুকরা ছিটকে আসত হাতে। প্রচণ্ড দুপুরে আমের ভর্তাই ছিল তার খাদ্য। আম মাখা খেয়ে সে চলে যেত নদীর ধারে, মাঠে যেখানে তার গরুগুলো চরছে। বিকালের আগে মধুকে পাওয়া যেত গরুর পিঠে আরামে ঘুমিয়ে আছে। আমাদের আম ভর্তা খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত লবণ-মরিচ কিংবা আভিজাত্যের গুড় ঠিক কেউ দিতে চাইত না। তখন আমাদের খাজানা ছিল ঠাম্মার পেছনের ঘরে জমানো গুড়ের কৌটা। লাল সিমেন্টের বাঁধাই করা ঠাম্মার বারান্দায় দুয়েকবার ঘ্যানঘ্যান করলেই মিলত পিঁপড়েসহ চিনি অথবা ঝোলা গুড়। আহা জীবন! কোথায় গেল ঠোঁট কামড়ানিয়া পিঁপড়া সরিয়ে চেটে খাওয়া আম ভর্তার দিন!
আসলে মানুষ হওয়া ছাড়া হরেকরকমের জীবন প্রত্যাশা ছিল আমার। আশ্চর্যজনক যে, সে প্রত্যাশার সবচেয়ে গভীর আকাঙ্ক্ষার বিস্তার ঘটে আমার শৈশবে। চৈত্র মাসে নদীর জল যখন বাড়তে শুরু করে তখন ছোট জাল নিয়ে সারা দিন মাছ ধরতেন যে কাকা তার জীবনটাই মনে হতো আমার সবচেয়ে অর্থবহ! মাছের মতো একটি ঝাঁক আঁকবার দিনে তিনি সারাক্ষণ জলে পা ডুবিয়ে যে স্থিরচিত্র স্কেচ করে দিতেন তা আজও অপার্থিব। আমাদের পুকুরের শেষ সিঁড়ির কাছে মাথা নুয়ে জলের কাছাকাছি থাকা দাঁড়কিনা মাছও হতে ইচ্ছে করত আমার। ছলছল করতে করতে জলের শব্দে তাদের যে যৌথ জীবন তাতে কেবল আনন্দই। একদিন নদীর ঘাটের কাছে আকাশে পতপত উড়ে যাচ্ছিল একঝাঁক টিয়া, থেকে থেকে তারা নামছিল-উড়ছিল আবার বসছিল এবং আকাশে মৃদু বাতাস ভাগ করে করে খেলছিল। সে খেলায় যেন মহাজগৎ বইছিল বিস্তীর্ণ ইউরেশিয়ান প্লেটের অভিসারী সমন্বিত মূর্ছনার আয়ুর্বেদ ইতিহাস বইয়ের পাতায়, আমার কেবল তখন মনে হয় সম্ভবত আকাশেই সুখ। বৈশাখের শেষে আমার কলাবাদুড় হতে ইচ্ছে করছিল, টসটস করা ফলগুলোর যে অমৃত স্বাদ বাদুড় পায় তা যেন একটা ব্যাপারস্যাপার মাফিয়াদের মতো!
আমি চাইতাম বাদুড়ের জীবন, মা বলল না এরা তো অভিশপ্ত!
সেই পৌরাণিক গল্প যে কতবার শুনেছি কতবার! শিব-পার্বতী অবশ্য হতে চাইনি তবে জ্যাঠার জীবন চাইতাম আমি। কেননা তার খাদ্যভান্ডার সমৃদ্ধ জীবন আমার কাছে শৈল্পিক মনে হতো, যেখানে একটা লাঠি দিয়ে তাড়িয়ে দেবার মতো জলকাব্য এখনও আমাকে ভাবায়! প্রচণ্ড গরমে আমি গলির আইসক্রিমওয়ালা আর কৈশোরে অবতীর্ণ কৈফিয়ত দিতে চাইব লেসফিতার কাছে। স্কুলের ঠিক আগেই লোকগুলো আমাদের কেমন বড় হতে লোভী করে দেয় যেন একজীবনে বড় হয়েই কিনব সব আইসক্রিম আর রঙিন প্রচ্ছদে ছোট্ট একটা চকচকে শোকেস!
ভাবা যায় না আর কী হতে চাইতাম! অথচ নতুন আরেকটা বৈশাখ এসে গেল!
শজিনা গাছের শ্বেত চিবুকের পাশে নীল অপরাজিতায় ঘেরা আমাদের বাড়িটা ছিল নদীর পারে। সে নদীর নাম মেঘনা। সেখানে দুমড়ে আসে দক্ষিণ বারান্দা ছুঁয়ে যাওয়া মেঘনার শামুক শামুক বাতাস। পাটিপত্র বিছিয়ে দুঃখও আসত সেখানে, তবু আমরা কেমন করে চলে আসি উত্তরের দোটানায়, নিজেদের নামে আমাদের ঘরগুলো বেলপাতায় লেপে রাখা হতো গৃহস্থালি থেকে সদরদ্বার। বাংলা ক্যালেন্ডারে একখানা মন্ত্র ঝুলে থাকত দেয়ালবরাবর, যার পেছনে টিকটিকির ঘরসংসার। রান্নাঘরের চালায় যে শিমগাছের টলটলে বেগুনি রঙের আকাশটা ভনভন করত তারও অনেক ওপরে একটা কদমগাছ ছিল। মা সযতনে যে নিমগাছ লাগিয়ে রাখে তার নরম বাতাসেরা প্রতিদিন এখন বইছে আমার পাঠ্যবইয়ের পাতায় পাতায়। মরে যাওয়া দেখেছি যাদের তাদের গলার স্বরগুলো আমাদের বারান্দায় এখনও কথা বলে, অবিকল ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো।
এমন করেই একদিন আমাদের কাছে আসে চৈত্রসংক্রান্তি। বিদায়েরও আলাদা আনন্দ থাকে। যা হয়েছে যা গেছে তা অটুট থাকুক। নতুনে আসুক নতুন প্রাণ। চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে তখন মায়ের ব্যস্ততা। বাড়িজুড়ে নতুন বছর বরণ করে নেবার তড়িঘড়ি। পুরাতনকে বিদায় জানাতে উৎসবের কমতি নেই। এ যেন বিদায় নয়, পুরোনো দিনের কাছে প্রাপ্তির স্বীকারোক্তি। দিদি আর আমি নারকেলের কাঠি নেড়ে নেড়ে পরিষ্কার করতাম টিনের ঘরের প্রতিটি খোপ। মায়ের লেপাপোঁছা শেষ হলে তবে আরেক আয়োজন। নদীর ঘাট থেকে নিয়ে আসা আঠালো মাটির গন্ধে ঘরটা তখন ম-ম করত। লেপা ঘরে মায়ের আঙুলগুলো যে ঢেউয়ের মতো খেলে যায় তার নাম ইতিহাস।
আমাদের তো যোগীজীবন। লাল কাপড়ে গান গেয়ে ভিক্ষা আমাদের পেশা। চৈত্রের সংক্রান্তির শেষ তিন দিন নিরামিষ আর তিতা খাওয়ার নিয়ম আমাদের। শৈশবে সেই নিরামিষের দিনগুলোকে ভারী অসহ্য মনে হতো। তবু তিতা শাক টোকানোর জন্য আমরা পুকুরের পারের জংলায় হেঁটে বেড়াতাম সকাল থেকে। গিমা, বত্তা, তেলাকুচার ডগা লকলকিয়ে বইছে আজ স্মৃতির পাতায়। তিন দিনের নিরামিষ পর্বের আলাদা নাম ছিল। জানি না কেন এ তিন দিনকে বলা হয় বিষুকাল। বিষু শব্দটাও লোকজ এবং অনেকটাই আমাদের সম্প্রদায়ের নিজস্ব। আড়বিষু, ঝাড়বিষু আর তৃতীয় দিন মহাসংক্রান্তিতে পালন করা হয় মহাবিষু। আমাদের বাড়ির বড়রা এ সময় নির্জলা উপোস করবে তিন দিন। বছরের শেষ তিন দিন তাদের ফলাহারী জীবন। তবে সংক্রান্তির দিন ভিন্ন রীতি। তিন দিন আমাদের যারা বিষু পালন করতেন তারা সেলাইবিহীন কাপড় পরে আর মাটিতে শুয়ে অন্ধকার ঘরে দিনরাত কাটাতেন। এ সময় কেউ কারও সঙ্গে কথাও বলেন না। এরা যেন হিসাব করছে আসছে বছরের। আমাদের জুঁই পিসি, কাননদি, জডিদি, জেঠিমা, খুকু পিসির মা আরও অনেকের মুখ ভেসে আসছে আজ আমার স্মৃতি রোমন্থন করা চোখে।
সারা বাড়িতে আমাদের এক অজানা কারণে তখন ছোটাছুটি। মন্দিরে আসছে তরমুজ, বাঙ্গি কিংবা আটিয়া কলা। আমরা আটচালা ঘরে বঁটি নিয়ে বসে যাচ্ছি সবাই ফল কাটতে। কোথাও কাঁচা আম গাছ থেকে পড়ছে কিংবা হয়তো আমার কাছে ঠিক এখনই একটা বাতাস বয়ে চলে গেছে আমাদের সেসব সযত্নে সংরক্ষণ করা অমিয় স্মৃতির কাছে। ছোটবেলা শুনেছি আমাদের সেই বিষুব্রত পালনকারীরা কেউ কেউ বলতে পারতেন, আগামী বছর তার জীবনান্ত। এমনই এক মহাবিষুতে মা কুমিল্লার পিসির ছায়া দেখলেন ভরসন্ধ্যায়; তেঁতুলতলার সেদিনের সন্ধ্যায় পিসিমা লালপেড়ে শাড়িতে ঝকঝক করেছিল। এরপর সে বছরই বর্ষায় আসে পিসিমার মৃত্যুর খবর।
আগেই বলেছি, আমাদের যে যোগীজীবন তাতে আমাদের পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। কিন্তু বছরের এই শেষ তিন দিন কেউ ভিক্ষা করতে যাবে না। ভিক্ষার অনুষঙ্গ যে লাল কাপড় আর ডাং কাঠি সেটি এ তিন দিন আমরা পূজা করব। কর্মমুখী জীবনের যে শিক্ষা আমি আমার শৈশব থেকেই পেয়েছি তা-ই আমার সারা জীবন আরাধ্য।
চৈত্রসংক্রান্তির দিন সকাল থেকেই বারোয়ারি চুলা বানানো হয়। মা, কাকিমা, পিসি, দিদিরা সব সেদিন বেতের কুরায় চাল ডাল আলু আর সবজি আলাদা করে রাখেন। সব বাড়ি থেকেই আসে এমন সিদা। তারপর রান্না করা হয় নিয়মের খিচুড়ি। এ এক অসাধারণ নিয়ম। এ খিচুড়িতে যা দেওয়া হবে তা সব আধোয়া এবং আকাড়া। তেল ছাড়া রান্না করা এ অন্নে অবশ্যই মানকচু থাকবে। থাকবে বেশ্যাবাড়ির মাটিও। ছোটবেলায় বুঝিনি। বড় হয়ে নিজেই জেনে নিতে চেষ্টা করেছি কেন এমন দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ! আদতে জীবনের অনুষঙ্গে সমস্তই জরুরি। আমাদের তো তারাও দান করে, তাদেরও জীবনপ্রবাহ আছে।
এখন এ মধ্য চৈত্রে মনে হচ্ছে সে চালতাগাছ তলায় চলে এসেছি। লাকড়ি আনার তোড়জোড় চলছে। মাটির পাত্র চুলায় উঠে গেছে। আমাদের গুরুজনেরা কিন্তু এ সময়ে বেশ চুপচাপ থাকেন। তারা সবাই একটা ঘরে চৈত্রের শেষ তিন দিন রয়েছেন মাটিতে সেলাইহীন কাপড় পরিধান করে। একবার লুকিয়ে দেখছিলাম তারা কী করেন। বড় হয়ে বুঝতে পেরেছি সাধনভজনের সে এক অনন্য ধ্যান পর্ব।
চুলায় আগুন ধরে গেছে। আমাদের পিসিকে আমরা ঝি বলি। এ রান্নাটা বেশিরভাগ সময় ঝি করেন। আমরা ঘিরে আছি মাটির চুলা। টগবগ করছে খিচুড়ি। তেল-মসলাহীন রান্না। তবু যৌথ মানে সব বাড়ি থেকে আসা আলাদা চাল-ডালের আলাদা ঘ্রাণ। আমরা সবাই চলে এসেছি যেন মাটির কাছাকাছি জীবনে। যূথবদ্ধতার যে শিক্ষা আমি আমার শৈশবে পেয়েছি তার স্বাদ অমৃত। খিচুড়ির স্বাদও। তবে এ নিয়মের অন্ন। নষ্ট করা যাবে না এক দানাও। যা-ই হোক পাতে যা-ই পড়ুক এটি তোমার আহার্য। আধোয়া সবজি আর তেলহীন মরুভূমির প্রখর স্বাদমতো সে খাবার যেন অমৃত। সেবার জুঁই পিসির পাতে পড়ল লোহার পেরেক আর তিনি সেটা গিলে আজীবন আমাদের কাছে মিথ হয়ে রইলেন।
আমাদের বড়রা একাহারীর এ সংক্রান্তির দিনে আর কিছু খাবেন না। বিকালে আমাদের উঠানে আসত চরকের দল। বেশিরভাগই আসত ঘোষপাড়ার ছেলেরা। কেউ শিব কেউ পার্বতী কেউ গণেশ সেজে। কী যে আনন্দ হতো তারা এলে। মা শাড়ির আঁচল বাঁ দিক থেকে টেনে ডানের কাঁধে চাবির গেছি ফেলে দুই হাত জড়ো করে কদমগাছের তলায় তাদের সামনে রেখে দিত কলা চাল চিনি। যে বছর থেকে তারা আর আসে না সে বছরই জানা হয়ে গেছে আর আসবে না তারা!
এদিকে বছরের প্রথম দিন হবে মাছে ভাতে বাঙালির যাত্রা। মা ঠাকুমা বলেন প্রথম দিন ভালো খাইলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। প্রথম দিন ভালো পোশাক পরলে সারা বছর ভালো পরা যাবে। অথচ আমাদের সবচেয়ে ভালো জামা ছিল মেজোদির ছোট হওয়া জামাটা আমার আর বড়দির ছোট হওয়া জামাটা মেজোদির। তবে সকাল সকাল বাবা-মাকে প্রণাম করা যেন এই একটা দিনেই পরিপূর্ণতা পায়।
বাবা আর দাদা পহেলা বৈশাখে মাছটা কখনোই কেটে আনবেন না; সবাই মাছ দেখব তারপর কাটা হবে মাছের মুণ্ডু; এটুকু আভিজাত্য তো আমাদের চলতেই পারে। আমার মাকে দেখেছি বৈশাখের প্রথম দিন এক কৌটা হলুদ তার ভান্ডার থেকে বের করবে আর বাজার থেকেও প্রথম কেনা হবে হলুদ। নতুন বছরের কেনা হলুদেরা চলে যাবে পুরাতন কৌটায় আর গেল বছরের হলুদ দিয়ে রান্না হবে নতুন বছরের খাবার। মা বলতেন, ঠাম্মা বলে দিয়েছেন মাকে এ রীতি আর মা দিয়েছেন বউদিকে। পরে জেনেছি আমাদের বাঙালি জীবনে হলুদ শুভযাত্রার প্রতীক, যেমন গায়েহলুদ।
পহেলা বৈশাখে মা মুড়িঘণ্ট রাঁধবেনই; বাটিতে করে সেটি নিয়ে চেটেপুটে খাওয়ার স্বাদ আজন্মের স্বপ্নের মতো। আমরা বাঙালি খাওয়াপরা নিয়ে ভালো থাকতে চাই। চাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতে। সংক্রান্তিকাল কেটে যাক, আসুক নব উদ্যমী হওয়ার বৈশাখ...