শফিক হাসান
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৩ পিএম
রম্যসাহিত্য চর্চার ধারা বরাবরই ক্ষীণ ছিল বাংলাদেশে। হয়তো বা বহির্বিশ্বেও শুষ্কং কাষ্ঠং অবস্থা! বর্তমানে প্রযুক্তির আগ্রাসন ও পাঠবিমুখতার কারণে হাসাহাসি আরও শ্লথ রূপ নিয়েছে। অতীতে কিছুটা আগ্রহ দেখা গিয়েছিল দৈনিক পত্রিকাগুলোর রম্য সাময়িকীর আয়োজনে। সংবাদপত্রের রম্য ম্যাগাজিন ও মূল পত্রিকার সঙ্গে কার্টুন আয়োজন ছিল। নব্বইয়ের দশকে ভোরের কাগজে রম্য ও কার্টুনচর্চার ‘রঙ্গ-ব্যাংক’ পাতা নজর কেড়েছে অনেকের। সেটা ছিল মূল পত্রিকার সঙ্গে সাপ্তাহিক এক পৃষ্ঠার আয়োজন। জনকণ্ঠ এক পৃষ্ঠায় প্রকাশ করত ‘চতুরঙ্গ’। নিষ্কলুষ রম্যসাহিত্য চর্চার জন্য এটাই ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী পাতা। লিখতেনও ডাকসাইটে লেখকরা।
এরপর প্রবল ঝাঁকুনি দেয় প্রথম আলোর ব্যঙ্গবিদ্রূপ ম্যাগাজিন ‘আলপিন’। সংবাদপত্রের জন্য সৃষ্টি করে নতুন কনসেপ্ট, ফান ম্যাগাজিন। চলমান ঘটনাবলি রসরসিকতা পারদর্শিতায় আলপিন এখনও অদ্বিতীয় স্থানে রয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় আবির্ভাব ঘটে যুগান্তরের ‘বিচ্ছু’র। আলপিন-বিচ্ছুর আগমনে সৃষ্টি হয় নতুন শ্রেণির পাঠক। রবি ও সোমবারে পত্রিকার কাটতি বাড়ত ‘মাগনা’ পাওয়া ফান ম্যাগাজিন দুটির কারণেই। ফান ম্যাগাজিনগুলো ১৬ পৃষ্ঠার হলেও কেউ কেউ ঈদসংখ্যা প্রকাশ করতেন ৩২ পৃষ্ঠায়। সাপ্তাহিক বিচিত্রার নামানুসারে সাধারণ মানুষ ম্যাগাজিনকেই যেভাবে ‘বিচিত্রা’ হিসেবে ডাকতে শুরু করে; সব ফান ম্যাগাজিনও পায় ‘আলপিন’ নাম। কেউ হয়তো স্টল থেকে যুগান্তর কিনলেন, হকারকে প্রশ্ন করলেন, ভেতরে আলপিন আছে তো!
চাহিদার সঙ্গে জোগানের দ্বন্দ্ব বরাবরই ছিল। অর্থনৈতিক দুরবস্থায় কুলিয়ে উঠতে না পেরেই হোক কিংবা ভালো লেখার অভাবে, পত্রিকাগুলো ধীরে ধীরে রম্য পাতা বন্ধ করে দেয়। খরচ কমানোর জন্য ফান ম্যাগাজিনগুলো ট্যাবলয়েডে রূপ নেয়। ক্রোড়পত্র থেকে কোনোটি ঠাঁই পায় মূল পত্রিকায়। তার পরও টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না অস্তিত্ব। বাজারচলতি দৈনিকগুলোর রম্য সাময়িকী বন্ধ হয়ে যায় একে একে। বর্তমানে নামকাওয়াস্তে পাঁচটি পত্রিকার রম্য আয়োজন টিকে আছে। প্রথম আলোর ‘কথা কম’, যুগান্তরের ‘বিচ্ছু’, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘রকমারি’, মানবকণ্ঠের ‘চিৎপটাং’, খবরের কাগজের ‘রঙ্গব্যঙ্গ’।
দীর্ঘ আট বছর পাঠকের মধ্যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় আলপিন। আরিফুর রহমানের আঁকা একটি কার্টুন ইস্যু বানিয়ে আন্দোলনে নামে কুচক্রীরা। বাধ্য হয়ে আলপিন বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি বিভাগীয় সম্পাদককে চাকরিচ্যুত করা হয়। তারপর কয়েক বছর বিরতি দিয়ে প্রকাশ করে ফান ট্যাবলয়েড ‘রস+আলো’। একপর্যায়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় তা-ও। পরে ফিরে আসে ‘কথা কম’ নামে।
ইত্তেফাকের এক পৃষ্ঠার আয়োজন ছিল ‘গুগলি’ নামে, সম্পাদনা করতেন মোর্শেদ নাসের টিটো। এরপর সুমন্ত আসলাম দায়িত্ব পান ১৬ পৃষ্ঠার ফান ম্যাগাজিন ‘ঠাট্টা’ সম্পাদনার। শেষ পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানপ্রাণ দিয়েও রক্ষা করতে পারেননি ‘ঠাট্টা’। ১৬ পৃষ্ঠার ফিনফিনে ম্যাগাজিন থেকে ৪ পৃষ্ঠার ট্যাবলয়েড, একসময় সেটাও নেই হয়ে গেছে! প্রায় অভিন্ন পরিণতি হয়েছে যুগান্তরের বিচ্ছুরও। ম্যাগাজিন থেকে ৮ পৃষ্ঠার ট্যাবলয়েড, শেষমেশ ১ পৃষ্ঠায় নেমেছে, মূল কাগজের সঙ্গে। সেটা ‘ই-বিচ্ছু’ নামে ৪ পৃষ্ঠার আয়োজনে অনলাইনে আলাদাভাবে আপলোড করা হয়। আশীফ এন্তাজ রবি-যুগ পেরিয়ে বর্তমান ইমন চৌধুরী হাল ধরে আছেন ‘বিচ্ছু’র। মানবকণ্ঠ থেকে প্রকাশ হচ্ছে ‘চিৎপটাং’। তবে চাইলে এটা আরও ভালোভাবে করা যায়।
কালের কণ্ঠর ফান ম্যাগাজিন ‘ঘোড়ার ডিম’ সম্পাদনা করতেন মাহবুবুল আলম কবীর, একপর্যায়ে এটিও ট্যাবলয়েডে রূপ নেয়। শেষ পেরেক ঠোকার আগ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন মেহেদী আল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে দৈনিক খবরের কাগজের রম্য পাতা ‘রঙ্গব্যঙ্গ’ সম্পাদনা করছেন। এ পাতার কিছু কার্টুন আঁকানো হয় এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে! বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘রকমারি’ সম্পাদনা করেন রণক ইকরাম। ইশতিয়াক আহমেদ সম্পাদনা করতেন আমাদের সময়ের অর্ধপৃষ্ঠার আয়োজন ‘অ্যান্টিভাইরাস’। সমকাল পর্যায়ক্রমে দুটি ম্যাগাজিন উপহার দিয়েছে পাঠককে ‘দুরবিন’ ও ‘প্যাঁচআল’। শেষ পর্যন্ত প্যাঁচআল ট্যাবলয়েডে রূপান্তরিত হয়, তারপর একসময় অনিবার্য নিয়তি হিসেবে হারিয়েও যায়।
খোলা কাগজে ‘বাংলাওয়াশ’ সম্পাদনা করতেন শফিক হাসান, তিনি চাকরি ছেড়ে আসার কিছুদিন পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় পাতাটি। মানবজমিনে ‘খবর আছে’, আমার দেশে ‘ভিমরুল’ পৃথক সময়ে সম্পাদনা করতেন আহসান কবির। দুটোই এখন বিলুপ্ত। দৈনিক সংবাদের মূল পাতায় এক পৃষ্ঠায় ‘বাঁশ’ সম্পাদনা করতেন এম এ কুদ্দুস। আজকের কাগজের সাময়িকী ‘আজকের ফাটাফাটি’ সম্পাদনা করতেন মুম রহমান, এসবও বন্ধের খাতায় চলে গেছে বহু আগেই।
ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকালে অল্প কিছুদিন ‘দেশ রঙ্গ’ সম্পাদনা করেছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস, ভিত গড়ে ওঠার আগেই বন্ধ হয়ে যায় এটি। খুঁজলে হয়তো এমন আরও দুয়েকটি পত্রিকা পাওয়া যাবে, যারা নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে রম্য সাময়িকী প্রকাশ করেছে।
পত্রিকায় পাঠক সংগঠন যতটা ‘প্রয়োজন’, তেমন দরকার রম্য সাময়িকীও। বিষয়টি উপলব্ধি করেই বোধহয় ছড়াকার ওবায়দুল গনি চন্দন লিখেছিলেন, পত্রিকা প্রকাশ করিলে/ফান ম্যাগাজিন লাগিবে/নইলে পাঠক/অন্য কাগজে ভাগিবে! ছড়াটি ছাপা হয়েছিল দৈনিক মানবজমিনের অধুনালুপ্ত ফান ম্যাগাজিন ‘খবর আছে’তে। এ ছড়া-উদ্ধৃতি থেকেই অনুমেয়, সংশ্লিষ্টরা কেন রম্য পাতার প্রয়োজন অনুভব করেন।
আছে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা, ভয়ভীতির জটিলতা, পাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তার পরও প্রশ্ন থেকে যায়। রম্যসাহিত্য চর্চায় বর্তমানে অবশিষ্ট পাঁচটি পত্রিকা কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে! প্রকাশিত লেখাগুলো মানের বিচারে কতটা ‘টেকসই’? দৈনিক পত্রিকার আবেদন যেমন এক দিনেই ফুরিয়ে যায়, পাতাগুলোর ভূমিকাও কি তেমনই? অতীতে সমসাময়িক বিষয় ও আলোচিত ইস্যু কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট ‘দুর্নীতিবাজ’দের তীব্র কশাঘাতের চেষ্টা লক্ষ করা গেলেও বর্তমানে সে ধারা অনেকটাই স্তিমিত। আজকের কাগজের সাময়িকী ‘আজকের ফাটাফাটি’র শেষ দিকে তেজিভাব লক্ষ করা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যঙ্গবিদ্রূপে জর্জরিত করা গেলেও তাদের আত্মশুদ্ধি কতটা হতো তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। আর কিছু না হোক, পাঠক ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হতো। বলা বাহুল্য, কিঞ্চিৎ মজাও পেত! সে কারণেই রম্য সাময়িকী প্রকাশের নির্ধারিত দিনে কাটতি বাড়ত পত্রিকার।
দৈনিকের রম্যচর্চায় খুব বেশি আশান্বিত হতে না পারলেও চিত্রটা একেবারেই হতাশাজনক নয়। কিছুটা অগ্রগতি অবশ্যই আছে। প্রকাশিত গল্প ও রম্য নকশাজাতীয় লেখাগুলো সংকলিত করে প্রতি বছরই প্রকাশিত হতো বই। কোনো কোনো লেখক দেখাচ্ছেন সম্ভাবনাময় ঝলকও। দৈনিকে রম্যগল্প চর্চার অগ্রসেনানী হচ্ছেন মাইনুল এইচ সিরাজী, ইকবাল খন্দকার, বিশ্বজিৎ দাস, ইমন চৌধুরী, রোহিত হাসান কিছলু, আহমেদ খান হীরক, সত্যজিৎ বিশ্বাস, রিয়াজুল আলম শাওন, জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য, সাখাওয়াত হোসেন, রুবেল কান্তি নাথ, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, শিমুল শাহিন, জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য, শফিক হাসান এমন আরও কেউ কেউ। এমন আয়োজনে একদিকে পাঠক বিনোদিত হতো, পাঠাভ্যাসের পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছিল রম্যচর্চার উর্বর ক্ষেত্র। সব আশাজাগানিয়া সংবাদই বোধহয় একসময় নিরাশার অতলে ডুবে যায়। পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে পারলে সৃষ্টি করা যেত আরও ভালো লেখক। ক্ষীণধারার রম্যচর্চা কিছুটা হলেও বেগবান হতো। সেটা করা যাচ্ছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী; এটা হতাশার চিত্র। ভবিষ্যতে কখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি সংবাদপত্রগুলো?
একসময় মূল পত্রিকার সঙ্গে একটি করে ছড়া ছাপা শুরু হয়। কেউ কেউ একটি কৌতুকও ছাপতেন। এভাবে বাড়ে ‘দৈনন্দিন টুকিটাকি’ পরিসর। নিয়মিত আয়োজনের বাইরে সংবাদপত্রের বাইরে সাহিত্য একটু একটু করে জায়গা নিতে থাকে। সেখানে চলে আসে পূর্ণপৃষ্ঠার আয়োজনও। ফান ম্যাগাজিন বিদায় নিয়েছে, টিকে আছে সবেধন নীলমণি উন্মাদ। এখানেও ভরসা করার মতো বড় কোনো পরিসর নেই। মাসিক উন্মাদ এখন বড় অনিয়মিত। চলতি বছর যৌথভাবে প্রকাশিত হয়েছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও মার্চ-এপ্রিল সংখ্যা। ঢাউস ঈদসংখ্যা প্রকাশের সেই সংস্কৃতির দেখাও নেই। একসময় অমল সাহা, শাহেদ ইকবাল, আনিসুল হক, সাজ্জাদ কবীর, মাহাবুবুল আলম মাসুদ প্রমুখ ছিলেন উন্মাদকেন্দ্রিক লেখক। সেই উন্মাদ বর্তমানে রম্যগল্প ছাপতে অনীহ। পৃষ্ঠাসংখ্যাও কমে নেমেছে ৪৮-এ। সেখানে কার্টুনের বাইরে গল্প পাওয়া যায় কালেভদ্রে।
ফান ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক ইকবাল খন্দকার। বস্তুত তার মতো এত বেশি লেখা অন্য কেউই লেখেননি বা লিখতে পারেননি। জীবিকা নির্বাহ করছেন লিখেই। এটাও এক ধরনের সব্যসাচী-স্বীকৃতি বইকি।
কাগজের জন্য অনিবার্য একটি পোস্ট কার্টুনিস্ট বা অঙ্কনশিল্পী। অনেক কাগজই একজন কার্টুনিস্ট নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। কিংবা ফ্রিল্যান্সার কার্টুনিস্টের পাওনা পরিশোধেও অক্ষম। বিভাগীয় সম্পাদকের বেতন বাকি পড়বে এটাও বিপ্রতীপ বাস্তবতা।
একসময় প্রথম আলো প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করত পলিটিক্যাল কার্টুন। বাধ্য হয়ে সেটাও বন্ধ করে দিতে হয়। কার্টুন নেই, রম্যগল্প নেই, রম্যরচনা নেই, রম্য-নকশা নেইÑ চারদিকে এখন ধু-ধু-খাঁখাঁ-হাহাকার। একটুখানি হাসির উপকরণ নেই; না দৈনিকে, না অন্য কোথাও। সাহিত্য সাময়িকী কিংবা নানানরকম ম্যাগাজিনেও এমন আয়োজন চোখে পড়ে না। কে যেন তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে, এসব চটুল বিষয় থাকলে পাতা বা ম্যাগাজিনের ভারিক্কি খর্ব হয়। তাই আমজনতার রামগরুড়ের ছানা হয়ে থাকা ছাড়া উপায় কী!
রম্যসাহিত্যের নিষ্ফলা মাঠে দৈনিকের ব্যঙ্গবিদ্রূপ আয়োজন কিছুটা হলেও জলসিঞ্চন করত। সুদূরপ্রসারী সুফল নিশ্চয়ই ছিল। প্রতি বছর বইমেলার সময় রম্যগল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হতো। লেখকরা বছরভর লিখতেন, বইমেলার সময়ে বই আকারে প্রকাশ করতেন লেখাগুলো। সে দিন হারিয়ে গেছে। লেখকরাও কেন হারিয়ে গেলেন? লেখক সৃষ্টির যে সম্ভাবনা-আধার সেটাও যেন বহুদূরের বিষয় হয়ে গেছে। একসময় সংবাদপত্রে রম্য আয়োজন ছিল; একটা সরস গল্প পড়ে, কার্টুন দেখে নিষ্কলুষ আনন্দে হা-হা খিলখিল করে হেসে উঠতে পারতাম আমরা। সে সুখের দিনের কথা মনে করেই জাবর কাটি না-হয়! একটা প্রশ্ন রেখেই লেখাটা শেষ করছি। সাবেক ফান ম্যাগাজিন সম্পাদকরা রম্যগল্প বই প্রকাশে পিছিয়ে। সুমন্ত আসলাম, আশীফ এন্তাজ রবি, মাহবুবুল আলম কবীর, ইমন চৌধুরী এমন আরও কেউ কেউ সাহিত্যের অন্য মাধ্যমের বই প্রকাশ করলেও রম্যবইকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। কেন?