শিবলী মোকতাদির
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১৭ এএম
চিত্রকর্ম : আবু তাহের
পৃথিবীর গ্রীষ্মপ্রধান গোলার্ধে বসন্ত এক মহার্ঘ ঋতু। যেমন স্বল্পমেয়াদি অবস্থান, তেমনই রাজসিক তার আমেজ। বসন্ত মানেই রকমারি রঙ, ফুল, মেলার হুল্লোড়, আঙুর-আপেলের দাক্ষিণ্য, নিত্যনতুন পাকপরীক্ষার মরসুম। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এ কালে সবকিছু বদলে গেছে, বদলে যাচ্ছে দিনকে দিন।
ষড়ঋতুর
বাংলাদেশ সে-ও ইফেক্টেড এ জীবাণুজারে। কোন ঋতু কখন আসে, কখন যে যায় হদিস পাওয়া বড় দায়!
বসন্তকাল এখন আসে অন্য চরিত্র নিয়ে। হঠাৎ ক্রমে তাপীয় রোদ্দুর, মন চায় ছায়ায় বসতে।
সংক্ষিপ্ত বিকালগুলো খানিকটা দীর্ঘ হতে শুরু করে, ঝুপ করে নেমে আসে সন্ধেটা কিছুটা
হলেও থমকে থাকে। ঝলমলে ভোরবেলা, বৈচিত্র্যের বিকাল, যদিও কোনো কোনো বসন্তের রাত্তিরে
মৃদু শিহরন, ক্ষণিক উষ্ণতা এবং বেঁচে থাকার জন্য জাগে কৃতজ্ঞতাবোধ।
যুগের হাওয়া যতই ধাক্কা দিক, মনে-মগজে অনলাইনের আলোকবাদ্যে কেঁপে উঠুক প্রাণ। নির্জনতাÑ সে আছে, থাকবে ত্রিকোণ প্রেমের ফাঁদে ফসকে যাওয়া গেরোর মতো। কোলাহলেও কোকিল যেমন মিষ্টি বলেই দৃষ্টি কাড়ে। তেমনি বসন্ত এলেই সর্বাঙ্গে শক্তি আর সাহসের সরল পত্রগুলো সবুজাভ আর শান্ত করে দেয়। পুরোনো দিঘির তল থেকে কত কত রহস্যের ঘাই ছুড়ে মারে। এ ঋতু এতটাই আলাভোলা, বেদনা ছাড়াই অহর্নিশি কাঁদায় আমাদের।
শীতের আড়ষ্টতা ভেঙে নির্জীব নিষ্প্রাণ ও জীর্ণ প্রকৃতি নতুন করে সজীবতায় ভরিয়ে তুলতে আগমন ঘটে বসন্তকালের। বাংলার প্রকৃতি অনুভব করে নতুন প্রাণের স্পন্দন। বসন্ত মিশে আছে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেও। শীতের শেষে কোকিলের ডাক, রঙবেরঙের ফুল, এলোমেলো শুষ্ক বাতাস, গাছের কচি পাতাÑ এ সবই বাংলার প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী বার্তা পৌঁছে দেয়। ঋতুরাজ বসন্তে এ দেশের প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের পরশ লাগে। শীতের জড়তা ভেঙে তরুলতা নবপত্রে সুশোভিত হয়। মান্দার, পলাশ, কাঞ্চন, শিমুলের রক্তিম পরশে আমার বাংলা সেজে ওঠে নববধূর সাজে। এসব উদ্ভিদ ও উদ্ভিদের ফুলের সঙ্গে রয়েছে পাখির সখ্য। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায় বর্ণিল প্রজাপতি, মৌমাছি ও ভ্রমর। এরাও উদ্ভিদের পরাগায়ণে সাহায্য করে। আম্রকাননে মুকুলে ছেয়ে যায় আম গাছ। বসন্তকাল শুধু প্রকৃতিই রঙিন করে না, একই সঙ্গে মানবমনেও প্রাণের দোলা দেয়।
আঁকাবাঁকা নদীর দুই পারে বিস্তারিত ক্ষেতে শীতের সবজিগুলো ক্ষীণ হয়ে আসে। অস্ত যাওয়া যায় সূর্যের রক্তিম আভায় খড়কুটো কুড়োনির দল আঁটি বেঁধে মাথায় করে চলেছে, তাদের খিলখিল হাসিতে আসন্ন বসন্তের বারতা ঝরে পড়ে। এত বড় আকাশজুড়ে অভূত নীলের মাঝে হঠকারী সাদা মেঘ। তাদের বেহুদা অনুপ্রবেশে মনমরা হয়ে ঘুরছে নানা রঙের প্রজাপতি। কত আয়োজন, কত বরণ, শিশুরা ঘুরছে ত্বকচেরা গাল নিয়ে, লাবণ্য হারিয়ে বৃদ্ধ হাসছে ফোকলা দাঁতে। এত যে বেদনবাক্য, তার থেকে ছিটকে যাওয়া লাখো শব্দের আহাজারি; কিন্তু মন বলছে, প্রাণ দেখছে বসন্তের বাহাদুরি। আমরা হয়তো ঝরে পড়ছি অসময়ে অজানা পারিজাত হয়ে। বহন করছি, একে অন্যকে প্রতিনিয়ত। নিজেকে নিয়ে যাচ্ছি মধুবনি পেরিয়ে, কালাহারি মরুভূমি পাশ কাটিয়ে রৌদ্রদগ্ধ আবলুসকালো কাফ্রি বেহারার কাঁধে চেপে অচেনা চিরবসন্তের দেশে।
বসন্তÑ বাউলিটিকার মতো। একবার যে পুশ করেছে, ঘোরের মধ্যে ঘুরছে তো ঘুরছে। মাঠ পেরিয়ে, শুকিয়ে যাওয়া ঘাট পেরিয়ে, সে দেখে বনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে আগুনঘেরা লালের চক্রান্তে। সহস্র শালের মচমচে পাতার ওপরে। দূরে ঝরে পড়া পল্লবহীন মনমরা গাছের ফাঁকে হঠাৎ জ্বলে ওঠা পলাশ, শিমুল, কেদারের তীব্র লাল হেলে পড়ে কী কথা বলছে, আমরা কি জানি? মাকড়সার মতো তুমি হে বসন্ত পৃথিবীর আত্মকথন একমনে সমস্ত চক্রজাল ভেদ করে কেবল বুনেই চলেছ। হিংসায় জ্বলে-মরে অন্য ঋতু। বসন্ত এমনই এক কালÑ ভুলেও অনুবাদ করতে নেই তাকে। তার আছে হাজারো চিহ্নেশ্বরী। আছে বৃহৎ পরিসর। নানা বিশৃঙ্খলা বসন্তই শৃঙ্খলে আনে, প্রকাশ্যে বন্দি করে প্রথমে। শান্ত আর শান্তির বয়ান তুলে ধরে দিকে দিকে। অনেকটা ঘোমটা-আঁটা নারীর মতো। রূপে সে বহুমাত্রিক, আয়তনে সর্বব্যাপী। স্বরবৃত্তের ধুয়া তুলে জাতপাত একাকার করে মেতে ওঠে রঙিন উৎসবে।
আপন বোনের মতো দিঘি। বসন্তে এপারে দাঁড়িয়ে হাঁক দিলে ওপারে সাড়া পৌঁছয় না। শুধু জল কেঁপে কেঁপে দু-চারটা রেখা কাটে। সে জলে গোটা পুবের আকাশ আয়েশে আটকে আছে। ফাগুনের প্রথম সূর্য লাল করে দিয়েছে পুরো দিঘি। বিচিত্র ফুল আর শীত থেকে খানিকটা উষ্ণতার দিকে ঢলে পড়ার পর্বে অমৃত গন্ধে মাত করে রাখে, যা একান্তই বসন্তের গন্ধ। এর সঙ্গে অন্য গন্ধের তুলনা চলে না। যদিও সত্যিকারের সেই বসন্তবুনোগন্ধগুলো এখন আর সেভাবে আমলে আসে না। হয়তো আমাদের সেই ঘ্রাণশক্তিটাই চলে গেছে! নব্যকালের হরেক কিসিমের গন্ধের কেলেঙ্কারিতে তার স্থান এখন লাস্ট বেঞ্চের বোকাসোকা ছাত্রটির মতো। তবু মনজুড়ে জেগে থাকে অনিশ্চিত এক সংশয়Ñ বিশেষ করে গ্রামের আলপথে দূর্বাঘাস বা বনতুলসীজাতীয় গাছের ডগার ওপরে বসন্তের সোঁদা গন্ধটি আজও পাওয়া যায়।
ফাগুন এলেই গাছেরা ন্যাড়া হয়ে যায়। চারদিকে কেমন রুক্ষ, লাব্যণ্যহীন প্রকৃতি। ধনীদের কথা আলাদা। মধ্যবিত্তরা লেপ, রঙচটা সোয়েটার, মাফলার, ফুটোফাটা চাদর, শালÑ ট্রাঙ্ক নয়তো আলমারির মাথায় প্যাঁটরায় তুলে রাখে। পায়রার খোপের মতো ফ্ল্যাটবাড়ির কালচারে বসন্তের আগমন বোঝা বড় দায়! বরং গ্রামেÑ মায়াবী রোদে বসে গালগল্প করার মধ্যে এক রকম কমিউনিটির যৌথ যাপনের, কৌমজীবনের অনুষঙ্গ আছে। তবে ঋতু যত চেংরামোই করুক, আমার এ বাংলায় বসন্ত তার অগাধ রূপ দিয়ে সবার জীবনে স্নিগ্ধ ছায়া ফেলে আছে। তার নির্জন আকাশের তলে দেখতে পাই সবুজ ঘাস, বাসকলতা, তুলসী, দুলপি, শিউলি, শেফালি। বসন্তের বিচিত্র ফুলে ফুলে আজও ভ্রমর উড়ে বেড়ায়, মৌমাছি যায় মধুর অন্বেষণে। সুনসান ভরদুপুরে কানে বাজে কাঠঠোকরার ঠকঠক ধ্বনি, শুকিয়ে আসা জলাশয়ে শামুক-গুগলির খোঁজে ছুটে বেড়ায় প্রিয় হাঁস। পাখা মেলে শঙ্খচিল, বেড়ে যায় শালিকের দৌরাত্ম্য।
বসন্ত এলেই স্বপ্নে হানা দেন রবীন্দ্রনাথ। অজান্তেই গেয়ে ওঠেনÑ আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়... কার গন্ধে কে যে আবিষ্ট হয়, বোঝা বড় দায়! জীবন তুমি কতটা জীবন্ত বুঝি এ বসন্তেই। বৈচিত্র্যের বারোমাসি এ দেশে হয়তো ঘটে চলেছে সবার অজান্তে হাজারো বৈচিত্র্যের ঘনঘটা। কিন্তু বসন্তেই দেখি সে ইনস্ট্যান্ট। একটুর জন্য হলেও স্থির, ধীর, কোমল। কেমন স্নেহপরায়ণ, নাদুসনুদুস। সামান্য হলেও সে সত্যের সহোদরা। কেমন পবিত্র আর প্রফুল্ল হয়ে ফুটে থাকা। খুব ভোরের অনাবিষ্কৃত গ্রাম্য মেঠো পথে যদি হেঁটে যাই, তোমারই খোঁজেÑ ও শিশির, ও আমার মুক্তাদানার মণিহার, বুকভরে শ্বাস নেওয়া বাহারি বসন্ত। গন্ধের গৌরব নয়, তবু বলিÑ এতটা ঘ্রাণ কী করে জমিয়ে রাখে ওই শুভ্র বেলি। বাতাবি লেবুর ফুলে গোপনে মুখ গুঁজে নিয়েছি কত ঘ্রাণ। হে আমার বসন্তভাসা গন্ধগোকুল। তবে এ সবই বাণিজ্যিক শহরে আজ খুবই অর্বাচীন। শহুরে আর তথাকথিত সভ্য হয়ে যাওয়া আমাদের বসন্ত আজও ডাকে ইশারা-ইঙ্গিতে। শোনায় বসন্তের সাতকাহন পুনর্মুদ্রিত প্রতিটি ভোরের স্বপ্নেÑ যেন বসন্ত এলেই সবকিছু সরল আর সত্য হয়ে ওঠে। প্রতিটি আচরণ জীবন নতুন করে স্পন্দিত করে তোলে। সকাল থেকে দুপুর সেই এক বসন্তবন্ধনীর মাঝে কেটে যায়। বাহিত জীবন যেতে যেতে গোধূলির প্রান্তে হয়ে যায় নীরব, নিশ্চুপ।
‘বসন্ত বাতাসে, সই গো, বসন্ত বাতাসে বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে, সই গো, বসন্ত বাতাসে’ দূর থেকে ভেসে আসা এ সুর জানান দিচ্ছে নগরের কোথাও কোথাও এখনও শীত বিদায়ের গান গাইছে ঝরা পাতার। নতুন দিনের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অপেক্ষায় মৃতপ্রায় গাছেদের সারি। ঝরা পাতার শুকনো গাছের ভিড়ে বসন্তবালিকার আগমন। অনেক রঙ আর ভালোবাসা নিয়ে আনমনেই সে খুঁজে ফিরছে ঋতুরাজকে। প্রকৃতিও যেন বসন্তের সব উপকরণ নিয়ে প্রস্তুত। গাছের নতুন পাতার রঙ জানান দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আসলে অবাস্তবেরও প্রাণ আছে। শুধু মন দিয়ে অনুভব করতে হয় তাকে। তার বাইরে দুরন্তপনাটা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। যারা চিনেছে তাদের সঙ্গে সে খেলা করে, হাসে, কথা বলে। মনে আঘাত পেলে বনে যেতে হয়। যেতে হয় সবুজের বিশ্রামে। সবুজ তার প্রাণপ্রাচুর্যে আমাদের ঘিরে রাখে। জননীর মতো, সখার মতো, প্রেমিকার মতো।
‘বাতাসে বহিছে প্রেম নয়নে লাগিলো নেশা কারা যে ডাকিলো পিছে বসন্ত এসে গেছে’ বর্ণনা হলো রেখার খেলা। গানের আলাপের মতো রেখাকে নিয়ে খেলতে হয়। কখনও সাপাট, কখনো চক্রধা। রেখায় থাকে প্রাণের আরোপ। বসন্তকে বুঝতে রেখার হাতে নিজেকে সমর্পণ করে দিতে হবে। বস্তুজগতের যাবতীয় আকার ও আকৃতি থেকে আলগোছে জ্যামিতিটা বের করে আনতে হবে। যা কখনও আকাশে, কখনও জমি থেকে ফুট কয়েক উঁচুতে। কখনও পাশ ফিরে, কখনও হেঁটমুণ্ডে। অতীতের কথা আসলে গল্পকথা হয়েই স্মৃতিতে জায়গা নেয়। হারায় না এতটুকুও, শুধু মানুষজনই হারিয়ে যায়, অনাদি অতীত কথা বলে।
আমাদের জন্য এখনও কোথাও-না-কোথাও মানুষ বসে আছে। যারা বসন্তের গল্প বলতে বা শুনতে চায়। যে গল্প মহানগরের উড়ন্ত ট্রামে চেপে আসে। আমাদের দিলের মধ্যে ফলার মতো গেঁথে যেতে চায়। তাদের হাসি আর কান্নাগুলো কাঁধের ব্যাগে রাখা কাগজে দ্রুত খসখস করে লিখে রাখি। আমরা বিশ্বাস করি কালো মেয়েটির দেশেও চাঁদ ওঠে, বৃষ্টির মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে মাধবীলতা। কচুপাতার মতো টলোমলো আমাদের সম্পর্ক। কোনো শর্ত নয়। শর্ত এখন সত্যিই দুর্মূল্য এক বস্তু হয়ে উঠেছে।
প্রকৃতিতে বসন্তের সঙ্গে বয়ে চলে ভালোবাসার হাওয়া। নাগরিক জীবনে ইটপাথরের ইমারতে কোকিলের ডাক শোনা না গেলেও তরুণ-তরুণীর বৈচিত্র্য মনে দোলা দিচ্ছে বসন্তের পূর্ণ ছোঁয়া। সব জীর্ণ সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠুক এ শ্যামলিমা। পাতা ঝরার গল্প শেষ, শুরু নবজীবনের। কোকিলের কুহু তান, লাল শিমুল কিংবা কমলারঙা পলাশ জানান দিচ্ছে বসন্ত এসেছে এ বাংলায়। আগুনরঙা সূর্যের আলোয় জীবনে নতুনের বার্তা নিয়ে হাজির ঋতুরাজ বসন্ত। রঙের এমন খেলায় প্রকৃতির সঙ্গে মিশেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও। ভালোবাসাময় বসন্তবরণে নানা স্বপ্ন রূপ পায় বাস্তবে। বসন্ত তথা ফাগুনের প্রথম এ দিনটি হয়ে ওঠে শুধুই প্রিয়জনের, শুধুই ভালোবাসার। যেখানে ভালোবাসা সেখানেই বসন্ত।
দূর হোক বিচ্ছিন্নতা, মানুষ আবার পরস্পরকে চিনতে শিখুক, পাশে বসতে শিখুক, তারা পরস্পরের হাত ধরুক সত্যিকার অর্থে মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যাশায়। বসন্ত আর ভালোবাসাটা ছড়িয়ে দিতে হবে পারস্পরিক জায়গা থেকে দেশের প্রতিটি মানুষের প্রতি। কাজেই এ ভালোবাসা প্রজ্বালিত হোক দ্রোহে, আনন্দে, ভীষণভাবে আত্মিক পরিশুদ্ধতায়। সমাজের প্রতিটি মানুষই যেন তার সমমর্যদা, অধিকার নিশ্চিত করে ভালোবাসার অনুরণনে জারিত হতে পারে। ভালোবাসা হোক সত্যিকার অর্থে মুক্তির চেতনায় গণমানুষের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের চেতনায়। আমার সত্তা, আমার রীতি, আমার ঐতিহ্য এ বোধই ফুসফুস সুস্থ করে তোলে। বসন্ত আর ভালোবাসা এভাবেই একে অন্যের হাত ধরে এগিয়ে যাক, খোঁজার আকুতি নিয়ে আমাদের করে তুলুক শ্রদ্ধাশীল।