× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

হাসানের গল্প : ক্ষয়িষ্ণু মানুষের দহন

এমরান কবির

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৭ এএম

প্রবা গ্রাফিক্স

প্রবা গ্রাফিক্স

হাসান আজিজুল হকের গল্প নিয়ে কথা বলতে হলে প্রথমে দৃষ্টি ফেলতে হবে তার উন্মেষকালে দেশি ও বৈশ্বিক রাজনীতির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অভিঘাত কীরূপ ছিল সেদিকে। লক্ষ রাখতে হবে এসব অভিঘাত সমাজ ও রাষ্ট্রের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তনে কীরূপ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালের শেষ পর্যায় থেকে পঞ্চাশের দশককে মোটা দাগে রেখে বিশ্লেষণ করলে তার মনোবিশ্বের একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। যা তার গল্পবিশ্ব বিনির্মাণে প্রভূত ভূমিকা রেখেছিল।

ওই সময়ের তিনটি ঘটনার দ্বারা আমাদের জনজীবন প্রবলরূপে আলোড়িত এবং পরিবর্তিত হয়েছিল। ওই তিনটি ঘটনার দুটিই ছিল আন্তর্জাতিক, একটি জাতীয়। এর পাশাপাশি আন্তঃরাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা ও নির্যাতনের বিষয়টিও ছিল। ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকার জন্য ওই সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি প্রভাব পড়েছিল আমাদের ওপর। প্রভাব ছিল ‘স্বাধীনতা’র তথা ভারতভাগ বা পাকিস্তান সৃষ্টির। তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের দুঃস্বপ্ন তখনও যায়নি, ছেচল্লিশের দাঙ্গার ক্ষত তখনও শুকায়নি। শিকড় ধরে বাঁচতে চাওয়া মানুষের ওপর দিয়ে বিশ্বযুদ্ধের পেষণও নিকটতম অতীত। শত বছরের আকাঙ্ক্ষার ‘স্বাধীনতা’ এলো এমন এক তত্ত্বের ওপর ভর করে, যে তত্ত্বের আন্তঃকাঠামোর উপাদানগুলো শিকড়লগ্ন নয়। ফলে আক্ষরিক অর্থে স্বাধীনতা এলো, মুক্তি এলো না। তা না আসার জন্য যে স্বপ্নভঙ্গ হলো, তা ছিল প্রবল বেদনাদায়ক। তবু আকাঙ্ক্ষার ওই প্রাপ্তিতে ভারতবর্ষের দুই প্রান্তে শুধু দেখা গেল শত শত মানুষের বেদনায় ম্লান মুখ। শিকড়চ্যুত হয়ে তারা বাঁচতে যাচ্ছে। তারা তখনও জানে না, মানচিত্রের ওপর পেনসিলের দাগ দিয়ে যে আঁকিবুঁকি কাটা হয়েছে, এ আঁকিবুঁকিই আজকের নতুন মানচিত্র। এ আঁকিবুঁকির ভেতরে পড়েই তারা স্বপ্ন দেখছে মুক্তির। কিন্তু এ স্বপ্নযাত্রা যে উদ্বাস্তুযাত্রা হবে তা বোঝা যাচ্ছিল শিকড় বিচ্ছিন্ন হওয়ায়। খেসারত দেওয়া শুরু হতে সময় লাগেনি তাই।

তখন সবে মধ্যবিত্তরা মধ্যবিত্তীয় হচ্ছে। তাদের বিকাশকালও শুরু হয়েছে। কিন্তু বিস্তার লাভ করেনি। গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটছে শহরের। প্রভাবও পড়া শুরু হচ্ছে। ব্রিটিশের দেখানো পথে তৈরি হওয়া কেরানিরা নাগরিক জীবনের কাছে আত্মসমর্পিত হচ্ছে। ভাবছে এটাই তাদের আভিজাত্যের প্রতীক। তখন মানবিক মূল্যবোধগুলোও নিম্নগামী হচ্ছে। গ্রাম ও নাগরিক জীবনের বিকাশের মারপ্যাঁচে ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে একান্নবর্তী পরিবারের বন্ধনগুলো। অবক্ষয় বাসা বাঁধছে মননে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মারপ্যাঁচে যখন আমাদের জনজীবনে এসব উপাদান বাসা বাঁধছে আর বিস্তার লাভ করছে, তখনই এলো ভাষার ওপর আঘাত। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি ছিল জাতীয়তাবাদ। যার প্রধান আশ্রয় ছিল মুখের ভাষা। আমাদের রক্তর ভেতরে, চেতনার ভেতরে, অস্তিত্বের ভেতরে ছিল যার বাস। গভীরে গহিনে প্রোথিত এ মানস-চেতনা আমরা বহন করছি হাজার বছর ধরে। মানচিত্রে পেনসিলের আঁকিবুঁকি অথবা এক ঘোষণা দিয়ে ভিন্ন ভাষার কথা বললেই তা আমাদের পক্ষে ধারণ করা সম্ভব ছিল না। কোনোভাবেই না। সে স্বপ্ন দেখার জন্য যে আত্মপরিচয়ের প্রয়োজন ছিল, তার ভিত্তিমূল নির্মাণ ছিল খুব জরুরি। অন্যদিকে এ জনপদে জন্ম নেওয়া হাজার বছরের মানুষের সংকট আর বাক্সপেটরা কাঁধে নিয়ে চলে আসা/চলে যাওয়ার মাধ্যমে বাঁচতে চাওয়া মানুষের নতুন সংগ্রাম ছিল খুব মর্মান্তিক।

হাসান আজিজুল হক আসলে এসব ঘটনার গভীর পর্যবেক্ষক। কারণ তিনিও যে এ করুণ যাত্রার একজন বিক্ষত অভিযাত্রী।

তার অভিযাত্রা হয়েছিল সেই শৈশবেই। তারপর তরুণ ও যুবা বয়সে চোখ ফোটার পর সে অভিযাত্রার করুণ দৃশ্যগুলো তার কলম থেকে উঠে এসেছে। হাসান আজিজুল হক নামটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’। যেন একে অন্যের পরিপূরক। হাসানের লেখা ধ্রুপদি এই একটি গল্পই যথেষ্ট তাকে মূল্যায়নের জন্য। যদি আর কোনো গল্প না-ও লিখতেন তা-ও তার জন্য স্মরণীয় হয়ে ওঠা রুদ্ধ হতো না কোনোভাবেই। একজন লেখকের অন্তর্দৃষ্টি এমন গভীর এবং নির্মম হতে পারে তা ভাবনারও অতীত। গল্পের প্রথম বাক্যটিই প্রতীকী আর নির্মমতায় ভরা। ‘এমন নির্দয় শীতকাল, ঠান্ডা নামছে হীম, চাঁদ ফুটে আছে নারকেল গাছের মাথায়’। এ প্রতীক ও নির্মমতার আবহ আরও ঘনীভূত হয় প্রকৃতির অনুপুঙ্খ বর্ণনায়। পাঠক প্রবেশ-বাক্যের পরে এক নিবিড় প্রাকৃতিকতার ভেতরে চলে যায়। তারা সঙ্গী হয়ে যায় ওই দুই লোকের যারা এর ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তারা জানে তারা কোথায় যাচ্ছে। পাঠক জানে না। যে উদ্বাস্তুযাত্রার কথা আমরা বলেছি ইতঃপূর্বে, তারই ভিন্ন ভিন্ন রূপ কি নানা মাত্রায় উপস্থিত হচ্ছে হাসানের আলেখ্যে? হয়তো বা। তারা হাঁটছে তো হাঁটছে। পাঠকও হাঁটছে। তারপর দেখা যায় তারা একটা বাড়িতে যায়। ইনাম নামের চরিত্রটি ওই বাড়ির বুড়োর সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠে। আর অন্য সঙ্গীটি বুড়োর কন্যার শয্যাসঙ্গী হয়। ফেরার সময় বুড়োর হাতে টাকা গুঁজে দেওয়া হয়।

বেঁচে থাকার জন্য টাকার দরকার। কিন্তু তা হস্তগত করার পদ্ধতির ভেতরে যেমন নিহিত থাকে শান্তি ও তৃপ্তির আবেশ, তেমন বিপরীতক্রমে থাকতে পারে গ্লানি। বুড়োর ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টিই প্রযুক্ত হয়। তার যে কোনো উপায়ও নেই। কারণ ‘যে দেশ ছেড়েছে তার ভেতর বাহিরে নেই, সব এক হয়ে গেছে।’ এ ‘এক হয়ে যাওয়া’টা অনেক কিছু। গ্লানি গিলে ফেলাটাও তার অংশ। তা হজম হোক আর না হোক।

হাসানের গল্পে তা উঠে এসেছে নানানরকম আখ্যানের রূপ ধরে। নানানরকম চরিত্র আর ঘটনার ওপর ভর দিয়ে। যেমন ‘উত্তর বসন্তে’ গল্পের পরিবারটি ভিটেমাটি ত্যাগ করে যে বাড়িতে এসে উঠেছে, তা মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী। ঘনীভূত সংকট আর আশাহীনতার এক চরম পরিণতি। ‘খাঁচা’ গল্পটিতেও দেশভাগের আবহ। অন্য গল্পগুলো যেখানে দেশত্যাগের পরের সংকট ও উপলব্ধি সেখানে খাঁচা গল্পটি দেশভাগপূর্বের। চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে। অম্বুজাক্ষ চরিত্রটির জীবন ও পরিপার্শ্ব ভাবনার ভেতর দিয়েই উঠে এসেছে অন্তর্দহন। যাওয়া হবে নতুন জায়গায়, এ তো আশার কথা। ত্যাগ করতে হবে বর্তমান স্থান, এটা কী? এ ত্যাগ কি শুধু বস্তুগত? যে চিহ্নগুলো থাকে সেগুলো কি নিয়ে যাওয়া যায়? যা কিছু বহনযোগ্য তা নিয়ে গেলেও কি সব চিহ্ন নিয়ে যাওয়া যায়? নতুন জায়গায় যাওয়ার আশা আর পুরাতন জায়গা ত্যাগের বিহ্বলতার ভেতরে কী নিহিত থাকে? যোগ-বিয়োগের হিসাবে শেষে অম্বুজাক্ষ পরাস্ত হয়। সরোজিনীকে বলে, ‘আমরা যাচ্ছি না সরোজিনী’। কারণ কী? কারণ, ‘কোথাও যাব ভাবতেই ভালোÑ যাওয়া ভালো না’।

‘যাওয়া ভালো না’র মধ্যে যে উপলব্ধি আর হাহাকার তা কখনোই বুঝবে না মানচিত্রর ওপর আঁকিবুঁকি কাটতে থাকা ওই পেনসিলওয়ালা। কারণ মাটি শুধু মাটিই নয়, মানুষও নয় নিছক মানুষ। এগুলোর ভেতরে যে প্রিয়চিহ্নগুলো থাকে তার কোনো বিকল্প হয় না।

দেশভাগ তো অনেক কারণের ফল। এর অন্যতম একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। হাসান শুধু ফলের পরিণতি নিয়ে কাজ করেননি। করেছেন করণের পরিণতি নিয়েও। ‘পরবাসী’ গল্পটি এ ক্ষেত্রে এক মাইলফলক।

হাসানের গল্পে এভাবে ধারাবাহিকভাবে উঠে এসেছে এর পরবর্তীকালও। তা ষাটের উত্তাল সময় হয়ে ঊনসত্তর যেমন উঠে এসেছে, তেমন প্রবলভাবে উঠে এসেছে একাত্তর এবং তৎপরবর্তী বাংলাদেশও। ঊনসত্তরের প্রেক্ষাপটে লিখিত ‘শোণিত সেতু’ গল্পটি এক অনন্য সংযোজন বাংলা সাহিত্যে। গল্পের ভেতরে যে দারুণ চিত্রকল্প তিনি এঁকেছেন এবং শেষে এমনভাবে একসূত্রে সংযোজন করেছেন তা অপূর্ব।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার অনেক গল্প রয়েছে। ‘নামহীন গোত্রহীন’, ‘কৃষ্ণপক্ষের দিন’, ‘ফেরা’ ইত্যাদি। ‘নামহীন গোত্রহীন’ এ ক্ষেত্রে আরেক মাইলফলক। একটা লোক যে আক্ষরিক অর্থেই নামহীন গোত্রহীন। লোকটি কিছুদিন পর এক বাড়িতে ফেরে। সে যে নিজের বাড়িতেই ফেরে তা বোঝার উপায় নেই চট করে। তারপর কোদাল দিয়ে কোপাতে থাকে। এক এক করে বের হতে থাকে মানুষের হাড়গোড়, খুলি ইত্যাদি। সে এক এক করে নামগুলো বলতে থাকে। ক্রমাগত তার মাটি কোপানোর উৎসাহ বাড়তেই থাকে। উদ্দেশ্য, ‘পৃথিবীর ভিতরটা নাড়িভুঁড়িসুদ্ধ সে বাইরে বের করে আনবে।’

এরপর ‘পাতালে হাসপাতালে’ গল্পের দিকে তাকালে দেখা যাবে এটাই একাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশ। এবং এ সময়ের বাংলাদেশ। সারা দেশ তত্ত্বতালাশের দরকার নেই। এক ‘পাতালে হাসপাতালে’র চিত্রই তার আমাদের বাংলাদেশ। যার পরিবর্তন এখনও হয়নি।

হাসানের গল্পের অধিকাংশ মানুষই ক্ষয়িষ্ণু। তারা যেন আশাহীন। সম্ভাবনাহীন। অবগুন্ঠনে জর্জরিত। বিকাশে কুণ্ঠিত। জড়তায় ম্রিয়মাণ। তাদের জীবনটাই যেন মামুলি। তাইতো দেখা যায় আত্মজা ও একটি করবী গাছের বুড়ো ‘এখানে’ এসে গাছ লাগায়, ‘ফুলের জন্য নয়, বিষের জন্য’। নামহীন গোত্রহীনের নামহীন লোকটা পৃথিবীর ভেতর থেকে মণিমুক্তা নয়, বের করে আনবে ‘নাড়িভুঁড়ি’, পাতালে হাসপাতালের রোগী আক্ষেপ করে বলে, ‘আমার মরার বন্দোবস্ত করতে পারে না’।

১৯৯৮ সালে ভোরের কাগজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সব মানুষের মুক্তজীবন চাই, সে কারণেই বর্তমানের প্রচণ্ড ধ্বংসের ছবি আঁকি।’

হাসানের গল্পের এ ‘প্রচণ্ড ধ্বংসের ছবি’ কখনও পুরোনো হয়নি। দীর্ঘ সময় লেখালেখি করলে পুনরাবৃত্তিসহ নানানরকম শিথিলতার উপস্থিতি দেখা যায়। হাসানের রচনাগুলোয় তা লক্ষণীয় নয়। কারণ বিষয়, আঙ্গিক ও ভাষার মধ্যে তিনি প্রতিনিয়ত এক সমন্বয় করে চলতেন। যতটা লিখতেন তার চেয়ে ভাবতেন বেশি। ফলে গল্পের বিষয়ে, ভাষায়, বুনটে, আঙ্গিকে আর পর্যবেক্ষণে তিনি নিয়ত নবায়িত এক লেখক।

হাসানের গল্পে নানাভাবে বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র উঠে এসেছে। এবং তা এসেছে ইতিহাসের পরম্পরায়। যা তার জন্মের অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। দেশভাগ হয়ে, পঞ্চাশ-ষাট-সত্তর পার হয়ে যা ঠেকেছে বর্তমানে। রাষ্ট্র ও মানচিত্রের পরিবর্তনের পাশাপাশি সমাজের যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে তা উঠে এসেছে তার গল্পে। এ অর্থে তার গল্প শুধু দেশভাগের হাহাকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তা যেমন রাজনৈতিক ইতিহাস, তেমন সামাজিক ইতিহাসও। এগুলোর সমন্বয়ে যা হয় তাকে আমরা বলতেই পারি বাংলার মানবেতিহাস।

হাসান আজিজুল হক সেই মানবেতিহাসের গল্পই বলেছেন আজীবন এক ঈর্ষণীয় শিল্পকুশলতায়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা