× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শীতার্ত চরাচরে

নাসির আহমেদ

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩১ পিএম

চিত্রকর্ম : হাসুরা আকতার রুমকি

চিত্রকর্ম : হাসুরা আকতার রুমকি

শীত এলো কনকনে হাড়কাঁপা শীত রে!

এই শীতে নড়ে ওঠে শরীরের ভিত রে...

না, এখন আর বাংলাদেশে আমাদের শৈশবের সেই হাড় কাঁপিয়ে দেওয়া শীত আসে না। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে কিংবা ষাট দশকের শুরুতে তদানীন্তন পূর্ববঙ্গে (আজকের বাংলাদেশ) যে তীব্র শীতের ছোবল খেয়ে আমরা বড় হয়েছি, তা এখন কল্পনাও করা যায় না। এর মূল কারণ আবহাওয়ার বিপর্যয়ে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এ প্রধান ঋতুগুলো তাদের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে। প্রচণ্ড শীত, বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি কিংবা গ্রীষ্মের তীব্র গরম একালে দেখা যায় না।

জনসংখ্যার ক্রমস্ফীতি আর গাছপালা, বনভূমি তথা সবুজ উজাড় হয়ে যাওয়ায়, নদ-নদী মরে যাওয়ায় ঋতুচক্রে বিরাট বিপর্যয় ঘটে গেছে। ৫০-৬০ বছর আগেকার শীতে গ্রামবাংলায় যেমন অনেক আনন্দের উপকরণ ছিল, তেমন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শোষণে পিষ্ট পূর্ব বাংলার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ গরিব পুষ্টিহীন মানুষের জন্য শীত ছিল ভয়াবহ কষ্টেরও।

একালের মতো এত শীতবস্ত্রও এ অঞ্চলে ছিল না তখন। আমার শৈশবে উলেন সোয়েটার পরা মানুষ খুব কম দেখেছি। শহরে যারা চাকরি করতেন অথবা বেশ বিত্তশালী পরিবার তাদের সন্তানদের কারও কারও গায়ে উলেন সোয়েটার দেখেছি। গরিব মানুষের অবলম্বন ছিল হাতেবোনা কাঁথা। রাতে গায়ে দিতেন মোটা কাঁথা, সকালে পাতলা কাঁথা চাদরের মতো গায়ে দিতেন অনেকে। অনেকে অতটুকুও জোগাড় করতে পারেননি। তাদের ছিল এক লুঙ্গি পরনে, আরেক লুঙ্গি অথবা গামছা গায়ে। আর আগুন তাপিয়ে তারা শীত তাড়াতে চেষ্টা করতেন।

আজকাল এসব রূপকথার মতো মনে হবে। এখন তো অতিদরিদ্রদের গায়েও উলেন সোয়েটার, মাফলার, শালচাদর দেখা যায় সর্বত্র। কিন্তু এত কিছুর পরেও শীতের নানানরকম প্রাকৃতিক উপকরণ ছিল, শীত মৌসুমে প্রতি রাতে কোথাও না কোথাও যাত্রাপালা, জারিসারি, কবিগানের আসর বসত। রাতের পর রাত যাত্রাপালার আসরে কাটিয়ে দিয়েছি। শৈশব-কৈশোরের শীতরাতের সেসব আনন্দের স্মৃতি ভোলার নয়।

শীত মৌসুমে গ্রামে তখন প্রায় প্রতি গৃহস্থের ছিল খেজুর গাছ। কখনও গাছিরা অর্ধেক অর্ধেক রস ভাগাভাগির চুক্তিতে, কখনও বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে খেজুর গাছ কেটে সন্ধ্যার আগেই হাঁড়ি বসিয়ে দিত। অনেকে আবার দুপুরের পরই গাছে হাঁড়ি বসানো শুরু করত। শিশু-কিশোর আমরা সন্ধ্যার পরে গাছে উঠে হাঁড়ির ভেতরে নল লাগিয়ে চুমুক দিয়ে চুরি করে সেসব রস খেয়েছি। প্রতিদিন ভোরবেলা বাড়ির উঠোনের কোণে জমা হতো রসের হাঁড়ি। বড় হাঁড়িতে অথবা বেশি রস যাদের তারা টিনের তাওয়ায় রস সেদ্ধ করত মাটির চুলা কেটে। পাটালি গুড়, ঝোলা গুড় কত রকমের গুড়ই না খেয়েছি।

খেজুরের কাঁচা রস, রসের পিঠা, রসের পায়েস, চুলার পাশে বসে চিতই পিঠা খাওয়ার স্মৃতি এখনও মন নস্টালজিক করে দেয়।

শীতে দেখতাম মাঠে মাঠে পাকা আমন, ধান কাটার হিড়িক। বাঁশের টুকরি ভরে মোয়া আর জিলাপি নিয়ে আসত সিজনাল ব্যবসায়ীরা। ধানের বিনিময়ে কিনতাম মোয়া এবং জিলাপি।

শীতে ছিল বিস্তীর্ণ প্রান্তরজুড়ে মাঠ ভরা শর্ষের ফুল, কলই শাক, ঘরবাড়ির আঙিনায় নানানরকম শাকসবজি, পুকুর সেচা জিয়ল মাছ। সংখ্যায় খুব কম হলেও সচ্ছল পরিবারগুলোতে নবান্নের আনন্দোৎসব, মেয়েরা নাইওর আসত বাপের বাড়িÑ এসব তো ছিলই। কিন্তু সব ছাপিয়ে তার পরও শীতকষ্ট যেন প্রকট হয়ে আছে আমার স্মৃতিতে।

শৈশবের সেই তীব্র শীতের আনন্দ-বেদনার অনুভূতি এতকাল পরেও স্মৃতিতে উজ্জ্বল। সেই দুঃখকষ্টের অনুভূতি আমার কবিতায়ও প্রভাব রেখেছে।

কবিতাচর্চার প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৭৬-৭৭ সালে একটি কবিতা লিখেছিলাম ‘শীতার্ত চরাচরে’ শিরোনামে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আকুলতা শুভ্রতার জন্য’-এর প্রথম কবিতা হিসেবে সেটি ব্যবহার করেছি। এ নিবন্ধ লিখতে বসে সেই কবিতাটির কথাই বিশেষভাবে মনে পড়ল। শুরুটা ছিল এ রকম :

শীতই একমাত্র ঋতু/অন্তত আমার বোধে অন্য ঋতু নেই।/যদিও গোলাপ ফোটে দক্ষিণ হাওয়ায়/কোকিলের কুহুস্বরে মুখরিত হয়ে ওঠে সংসারী বাগান/বৃষ্টির নূপুরধ্বনি বেজে ওঠা আভাসে কখনো/শ্রাবণ-মেঘলা দিনে দেখেছি ময়ূর/নাচের মুদ্রায় খুব আগ্রহে হঠাৎ মেলছে পেখম তার.../তবু যেন গ্রীষ্ম নয়, বর্ষা বা শরৎ নয়, বসন্তও নয়/আমার অস্তিত্বে এই চরাচর শুধু সেই শীতার্ত প্রান্তরÑ/ক্ষুধা ও তৃষ্ণার মত অপ্রাপ্তির দুঃসহ বরফ/আদিগন্ত জমে ওঠে নিত্য যার বুকে/আর সেই সহ্যাতীত শীতে/একান্ত চাদর ছাড়া বিকল্প পোশাক নেই কোনো...

ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই যে, এ চাদর প্রতীকটি প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং আশার।

বাংলাদেশের সাহিত্যে শীতের প্রভাব কম নয়। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে আধুনিক কালের বাংলা কবিতায়, গানে, ছড়ায় শীত ছড়িয়ে আছে নানা অনুভব নিয়ে। আমাদের পাঠ্যসূচিতেও বিভিন্ন ক্লাসে শীতের কবিতা পড়েছি। কুয়াশায় অস্পষ্ট হয়ে থাকা চরাচরে শীতের সকাল এবং কনকনে হাড়কাঁপানো শীতরাতের ছবি এখনও চোখের সামনে ভাসে।

রাতের রান্না শেষে লাকড়ির চুলা থেকে আগুন তুলে রাখা হতো মাটির বাসন কিংবা অন্য কোনো পাত্রে। সকালে অনেক বাড়িতেই মাটির মালসা বা হাঁড়িতে চুলা থেকে তুলে রাখা জ্বলন্ত কয়লার আগুনে হাত সেঁকে শীতের ছোবল থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা ছিল নৈমিত্তিক চিত্র। অনেক বাড়ির উঠোনে কিংবা বাহিরদরজায় নাড়ার আগুন জ্বালিয়ে, খড়কুটো, গাছের শুকনো সরু ডালপালায় আগুন জ্বালিয়ে শীত পোহানোর দৃশ্য ছিল প্রায় অধিকাংশ বাড়িতে। রাতে বয়োবৃদ্ধদের কাঁথার ভেতরে আগুনের কয়লার মালসা রেখে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করতে দেখেছি। কখনও কখনও বিছানা কাঁথা পোড়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

কচুরিপানার খাল এবং পুকুর সেচার ধুম লেগে যেত শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে। নানানরকম মাছ পাওয়া যেত জলাশয় সেচার পর। কই, শিং, মাগুরসহ কত রকমের ছোট মাছ! বাড়ির পেছনে চাষ করা কচুর বাগান। মাটির তলা থেকে তোলা হতো বড় বড় কচুর কাণ্ড। জিয়ল মাছ দিয়ে রান্না হতো সেসব। ঘরের টিন বা খড়ের চালায় শিমের লতা ছড়িয়ে থাকত। প্রচুর শিম পাওয়া যেত ঘরেই। লাল শাক, টমেটো, খিরাই, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, বেগুন তখন চাষ হতো ছোটবড় সব কৃষকের ঘরে। শীতের সবজি দারুণ সুস্বাদু ছিল।

শীতে এবং বর্ষায় দুই মৌসুমেই ইলিশের ছড়াছড়ি ছিল, বিশেষ করে দক্ষিণ বাংলায়। চালের গুঁড়া করে তৈরি হতো পাটিসাপটা, চিতই, পুলিসহ নানানরকম পিঠা। এমনকি অতিদরিদ্র যারা, মাঠে মাঠে ঝরা ধান কুড়িয়ে খাবার জোগাড় করত, সেই গরিব পরিবারেও দেখেছি চালের গুঁড়ার পিঠা তৈরি করতে। নারকেল গাছ ছিল প্রায় সবার বাড়িতে। শীতকালে শুকনা নারকেল আর ফুটানো খেজুরের রস দিয়ে ভাত খেয়েছেন অনেকে। খেজুর রসের পায়েস, আহা কী সুস্বাদু! এখনও যেন জিবে স্বাদ লেগে আছে।

শীতের আরেকটা দিকের কথা না বললেই নয়। প্রায় চার দশক ধরে রাজধানী ঢাকায় ক্রমাগত পুষ্প সংস্কৃতির বিকাশ দেখে আসছি। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রকমের ফুলের আয়োজনে মেতে থাকে রাজধানীর নগরসংস্কৃতি। বিশেষ করে শীতকালে গাঁদা ফুলের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। বড় আকারের গাঁদা এবং ছোট গাঁদা ফুটে থাকত গ্রামবাংলার এখানে সেখানে। এ নাম জানতাম না তখন, গ্রামে আমরা গেন্দা ফুলই বলতাম। আজকালকার মতো ছাদবাগানে ফুল চাষ কিংবা বাড়ি বাড়ি ফুল চাষের সংস্কৃতিও সেখানে ছিল না। সম্পূর্ণ গৃহস্থবাড়ির বৈঠকখানার সামনে গোলাপচারা অবশ্য লাগাতে দেখেছি। ডাল কেটে কলম করেও গোলাপ পুষত শীতকালে। চারপাশে একটি করে ইটের ছোট্ট ঘের বানিয়ে ফুলের চারা লাগিয়ে দিতেন আমাদের শিক্ষকরা। আমরা ছোট্ট ছাত্রছাত্রীরা স্যারদের সহযোগিতা করতাম। বিশেষ করে শীতকালের গেন্দা ফুলের চারা লাগানো হতো স্কুলের সামনে। অন্য কোথাও কোনো ফুলের চর্চা দেখিনি।

কিন্তু অবাক হয়ে ভাবি আমাদের শৈশবে স্কুলে যাওয়ার পথে কত রকমের ফুল ফুটে থাকতে দেখেছি ঝোপে জঙ্গলে বাগানে, প্রকৃতির কোলে লালিত ওসব ফুল ঘাসফুলের মতোই অনাদরে বেড়ে উঠত, রঙিন করে তুলত শীতের বনবাদাড়, জঙ্গল এলাকা। একালে সেসব ফুলের নাম জানি, তখন জানতাম না। যেমন যেসব ফুল দেখতাম তখন শীতকালে তার মধ্যে সূর্যমুখী, ডালিয়া, মল্লিকা, ছোট ছোট ডেইজি এসব।

শীতের বিশালতা আগের মতো নেই। গাছপালাও সেভাবে নেই। প্রাকৃতিক সেসব শীতের ফুলও আর গ্রামবাংলায় দেখি না। এখন অনেকেই নিজেরা বাগান করে ফুল চাষ করেন। অনেকে শখের বশে, কেউ কেউ চাষ করেন বাণিজ্যিকভাবে।

আমাদের শৈশবে শীতের জীর্ণতাকে কিছুটা যেন মুছে দিত পথের পাশে আপনার থেকে ফুটে থাকা প্রাকৃতিক এসব ফুল। প্রচণ্ড শীতে ত্বক ফেটে খসখসে হয়ে যেত আমাদের। মা শর্ষের তেল হাতে-পায়ে মাখিয়ে দিতেন রোজ।

পশ্চিমা বিশ্বের মতো আমাদের দেশে শীতকালে বরফ পড়ে না, শূন্য ডিগ্রিতেও নামে না কখনও তাপমাত্রা। তার পরও শীতের রুক্ষতা প্রবলভাবে টের পাই আমরা। আমাদের ত্বক শীতসহিষ্ণু নয়। যেহেতু আমরা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মানুষ।

আবহাওয়া-জলবায়ুর বিপর্যয়ে এখন যে ঋতুচক্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে গেছে তার পরও গ্রামীণ জনপদে ভোরবেলা বের হলে দেখা যায় শীতের বিবর্ণ ধূসরতা। কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারে এখনও কৃষক যায় লাঙল-জোয়াল কাঁধে মাঠের দিকে। ধানি মাঠের দিকে তাকালে পাকা ধান দেখা যায় না। খুব ভোরে একবার লঞ্চ থেকে নেমে রাস্তায় উঠে দেখি চারপাশে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশার চাদর যেন অস্পষ্টতায় আড়াল করে দিয়েছে সব। শীতে পত্রালিহীন গাছপালার দিকে তাকিয়ে কেমন বিপন্নতার দিন বলে মনে হয় প্রকৃতিকে। রুক্ষ চরাচর যেন অপেক্ষা করতে থাকে বসন্তের জন্য। উত্তুরে হাওয়ার শীতের তাণ্ডব শেষে দখিন হাওয়ায় উষ্ণতা নিয়ে আসবে ঋতুরাজ বসন্তÑ এ প্রত্যাশা জাগে আমাদের মনেও।

কারণ, শীত গরিব মানুষের মতো প্রকৃতির কাছেও যেন একটা আতঙ্ক। সমস্ত গাছপালা, বনবনানি থেকে সবুজ পাতারা ঝরে যায় শীতে। পত্রহীন গাছপালা সিদ্ধশরিন দরিদ্র মানুষের মতো জগতে হয়ে থাকে। তাইতো শীত পাতাঝরার দিন। বাংলা কবিতায় বিশেষভাবে শীতের এ পাতাঝরা দিনের কথা, রিক্ততার কথা বারবার উচ্চারিত হয়েছে প্রধান কবি থেকে কবি যশঃপ্রার্থী তরুণের লেখায় পর্যন্ত। শীতের এ রিক্ততা মনে হয় চিরকালের। পাতাঝরার কথা ভাবতে গিয়ে মনে পড়ল মান্না দের গাওয়া সেই বিখ্যাত গানটিÑ

সম্ভবত পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাÑ না না যেও না, ও শেষ পাতা গো শাখায় তুমি থাকো/ছিলে তুমি ছিলাম আমি চিহ্নটি তার রাখো... বসন্ত দিন আসবে যখন, ফুল হয়ে না হয় ফুটব তখন....

আঃ কী গভীর আকুতি! ঝরা পাতা, মরা নদী, শুষ্ক বিবর্ণ শীতপ্রকৃতির আনন্দ-বেদনার নানা কাব্য আমাদের চেতনা ছুঁয়ে যায় বারবার। বরফাচ্ছন্ন প্রচণ্ড শীত সহ্য করতে না পেরে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে শীতের অতিথি পাখিরা যেমন এ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে উড়ে আসে উষ্ণতার জন্য, ওই পাখিদের মতো আমরাও উষ্ণতার জন্য ছুটে যেতে চাই বসন্তের কাছে, উষ্ণতার কাছে। এ শীত শেষে আসুক বসন্তÑ সেই মধুর প্রতীক্ষায় এখন প্রকৃতিও।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা