মনিজা রহমান
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:০৮ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:২০ পিএম
প্রশ্নের কোনো নিজস্ব চেহারা আছে?
প্রশ্ন কি প্রতারক নাকি পরশ্রীকাতর?
অনেক প্রশ্ন এসে কড়া নাড়ে কনকচাঁপা কপালের ভেতর
ভেঙে দেয় চিন্তার অনিবার্য প্রস্থানের দরজা।
তুমি বলেছিলে, শরৎ এলেই মুছে যাবে কষ্টের দাগ।
মানুষের ভেতরে কতদিন থাকে কষ্টের মরফিন?
কষ্টের আয়ুই বা কত দীর্ঘ?
কষ্টের কি বিষুবরেখা আছে অথবা দিগন্ত?
তুমি বলেছিলে, শরৎ এলেই যন্ত্রণা ডুবে যাবে ইথারে।
তাহলে কষ্টের তানপুরা কেন নিরবচ্ছিন্ন বেজে চলে?
কেন অনিশ্চিত নদীতে কষ্টগুলো আটকে থাকে?
নতজানু সন্ধ্যায় ঝরে পড়ার অপেক্ষায় ও’ হেনরির শেষ পাতাটি---
ম্যাপল গাছের নিচে বসে আছি বহুকাল তুমি আর আমি
শেষ পাতাটির ঝরে পড়া দেখব বলে।
যে পুলিশ মায়েদের করেছিল নিঃস্ব, সে নিশ্চয়
নিঃশব্দে জেগে থাকে সারা রাত?
যে বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে নবজাতককে মায়ের নাড়ি ছিঁড়ে,
কে রেখেছে সেই শিশুর খবর?
প্রশ্নগুলো ম্যালথাস তত্ত্বের মতো ধারাপাত হয়ে যায়
উড়ে বেড়ায় ঘুরে বেড়ায় চোখের সামনে ও পেছনে।
তুমি বলেছিলে, শরৎ এলেই রৌদ্রে ধুয়ে যাবে কষ্টের দাগ
আমি অপলক তাকিয়ে থাকি শেষ পাতাটি ঝরে পড়ার পানে।