× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে শতাধিক রিকশা ছিনতাই

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৫:০৪ পিএম

আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ১৬:২১ পিএম

রবিবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান। প্রবা ফটো

রবিবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান। প্রবা ফটো

রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী, বাসাবো, সবুজবাগ এলাকা ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে রিকশাচালকদের চা ও খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে রিকশা ছিনতাই ও চুরি করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটি গত নয় মাসে শতাধিক রিকশা ছিনতাই করেছে।

এত দিন পুলিশও এ বিষয়ে জানত না। তবে সম্প্রতি রামপুরা এলাকায় শাহ আলম নামে এক রিকশাচালকের রিকশা হারানোর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। চক্রটির তিন সদস্য এই কাজ করে আসছিল। তাদের শনিবার (৪ মে) অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান।  

এ ঘটনায় শনিবার রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরীফুল ইসলাম ও তার অন্যতম সহযোগী চান্দু  এবং চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া ও মো. আল আমিন। 

চান্দু শরীফুলের অন্যতম সহযোগী। ফুল মিয়া চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই রিকশা উদ্ধার করা হয়।

হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিরীহ রিকশাচালক শাহ আলম যদি মারা না যেত তাহলে আমরাও হয়তো এই রিকশাটি গুরুত্ব দিয়ে খুঁজে বের করতাম না। আর খুঁজে বের করা না গেলে হয়তো আমরা এই চক্রটির সন্ধান পেতাম না। এমন ঘটনা ঘটতেই থাকত। সাধারণ নিরীহ রিকশাচালকরা শিকার হতেন। তারা গত নয় মাসে শতাধিক রিকশা চুরি ও ছিনতাই করেছে।’  

এই গ্রেপ্তারের নেপথ্যের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘৮ এপ্রিল রামপুরার বনশ্রী এলাকায় শাহ আলম নামে একজন রিকশাচালককে অজ্ঞান করে তার রিকশাটি নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা আসলে আমাদের কাছে রেকর্ডেট ছিল না। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান। তিনি মারা গেলে আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারি। মূলত তাকে অজ্ঞান করে রিকশাটি ছিনতাই করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাত দিন পর আমরা বিষয়টি জানতে পেরে তা নিয়ে কাজ শুরু করি। আমরা তদন্তে নেমে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রুপটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা নয় মাস ধরে প্রতারণার মাধ্যমে রিকশা চুরি ও চালকদের অজ্ঞান করে শতাধিক রিকশা ছিনতাই করেছে।’

চক্রটির হোতা শরীফুল ইসলাম। তিনি একসময় কাভার্ড ভ্যানচালক ছিলেন জানিয়ে ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘কয়েক মাস আগে তার মালিক কাভার্ড ভ্যানটি বিক্রি করে দেন। পরে তিনি নড়াইলের তার এক ‘গুরুর’ মাধ্যমে এই কাজে জড়িয়ে পড়েন। তার দেওয়া তথ্যমতে, গত নয় মাসে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে রিকশা চুরি ও ছিনতাই করেছেন তিনি। শুধু গত সপ্তাহেই তিন এমন চারটি কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।’ তিনি প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন বলেও তার বক্তব্যে যোগ করেন তিনি। 

ডিসি হায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘তারা যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনোটা কিন্তু থানায় অভিযোগ করা নয়। চুরি ও ছিনতাই হওয়া রিকশাগুলোর কাগজপত্র না থাকায় হয়তো থানায় রিপোর্ট বা জিডি আকারে হয়নি। ফলে গ্রুপটি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তারা একপ্রকারে আনন্দ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিল।’

ডিসি হায়াতুল জানান, শরীফুল ইসলামের সহযোগী চান্দু। তার তিনজনের একটি টিম। তারা একটি রিকশা নিয়ে বের হয়। এরপর রিকশা পছন্দ করে। টার্গেটকৃত রিকশাচালককে টার্গেট করে রিকশায় ওঠে। এরপর মাঝপথে তারা কোনো জায়গায় চা খাওয়ার কথা বলে থামায়। পরে তাকে চায়ের সঙ্গে অজ্ঞান করা ওষুধ খাইয়ে তাকে অচেতন করত। পরে রিকশাটি নিয়ে তারা পালিয়ে যেত।’ 

এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তারা এ চোরাই রিকশাগুলো নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিঝি থেকে উদ্ধার করেছেন। মিরপুরে আরেকটি গ্রুপের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চলমান আছে। তবে এ ধরনের ঘটনা কারও সঙ্গে ঘটলে দ্রুত থানায় জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা