প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৪ পিএম
বেসরকারি ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আহসান উদদিন মুরাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘গঠিত তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে বিদেশি শিক্ষার্থীর আসনে তিনজন দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি বলে প্রমাণিত হয়েছে।’ অনিয়মের মাধ্যমে তিনজন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কারণ ব্যাখ্যা করে জানাতে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ ‘কোনো নির্দেশনাই মানা হয় না সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে’ এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটি ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি তদন্ত শুরু করে।
তদন্তকালে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিটি দেখতে পায়, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজের ১১তম ব্যাচে তিনজন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তারা হলেন শাহীন ইকবাল, সুহাইন হাফিজ, হুজাইফ গুলজার।
তারা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় তাদের স্থলে তিনজন দেশি শিক্ষার্থী-সাবরিনা ইসলাম নেহা, সিহারন ইবনে মহসিন সাফান ও মেহেদী হাসানকে একই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করা হয়। তবে তাদের ১২ তম ব্যাচের (২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ) সঙ্গে ক্লাস শুরু করানো হয়।
কলেজের সভায় ২০২২ সালে (৩ অক্টোবর) চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ ও সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি তালিকায় একশ শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়। তবে তালিকাটিতে ওই তিন দেশি শিক্ষার্থীর নাম নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত যে তালিকা পাঠান হয় সেখানেও তাদের নাম নেই। এমনকি ওই তিন দেশি শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন ও পে-অর্ডারও মেডিকেল কলেজে নেই। ওই তিনজন দেশি শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নির্ধারিত তারিখের পর নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভর্তি করা হয়।