কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সনদ জালিয়াতি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩২ পিএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১১ পিএম
গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া আলী আকবর। সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত মনে হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তবে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যান। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার স্ত্রী সেহেলি পারভীনের সার্টিফিকেট বাণিজ্য সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তবে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, আজকের মতো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি এখনও আমাদের নজরদারিতে আছেন। বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আবারও তার সঙ্গে বসব। আমাদের যদি মনে হয় তিনি জড়িত তবে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, বোর্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোক ছিলো না। তাই নজরদারি রাখতে পারেননি। তবে তিনি এই জালিয়াতির দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অনেক প্রশ্ন করেছি। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেবেন।
তিনি আরও বলেন, সার্টিফিটেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। যারা এই সার্টিফিকেটগুলো কিনেছেন তারাও জড়িত। তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে।
এর আগে দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া আলী আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।
গ্রেপ্তার স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।
কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর খান বলেন, মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই যে কতগুলো হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে আপনার দায় আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই এর দায় আমি এড়াতে পারি না।
আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে। আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।