সনদ বাণিজ্য
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৫৬ এএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তাকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার গড়াই পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি। জাল সনদ প্রিন্ট ও বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান এ টাকা তার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। শেহালা পারভীনের দাবি, ওই ৩ লাখ টাকা তিনি ধার নিয়েছেন। এটি ঘুষ না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে ডিবিতে আনা হয়।
এরই মধ্যে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজন রিমান্ডে আছেন।
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, তিনি সানজিদার কাছে কিছু টাকা ধার চান কিছু দিন আগে। সেই ধারের টাকাই সানজিদা তাকে দিয়েছেন।
জানা যায়, ভুয়া শিক্ষা সনদ তৈরি করে দিতে ছাত্রপ্রতি ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হতো।
ডিবি জানায়, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মোট কতজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি ডিবি। এ বিষয়ে আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।