প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫০ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৫ পিএম
যুবদল নেতা আকরাম হোসেন। ফাইল ছবি
পুলিশ ‘হেফাজতে’ ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতা আকরাম হোসেনের মৃত্যুতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, আকরাম হোসেনকে গত ৭ এপ্রিল রাত ৯টায় হাটপুকুর এলাকা থেকে হরিপুর পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন দুপুরে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকরাম হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণী ২৯ (ক)/৪১ ধারায় আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে নেওয়ার পথে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করে। তাৎক্ষণিক তাকে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানান আকরাম হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.শামীমুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।'
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ আকরাম হোসেনের মৃত্যুর বিষয়ে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। যেখানে চিকিৎসক বলছেন হাসপাতালে আনার আগেই আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত না করা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না। সেখানে পুলিশ সুপার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, চিকিৎধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকরাম হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন। পুলিশ হেফাজতে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এম এস এফ পুলিশ সুপার মৃত্যুর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করছে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু যে ভাবেই হোক না কেন মরদেহের সুষ্ঠু ময়নাতদন্ত করে তা প্রকাশ করার দাবি করছে। সেইসঙ্গে দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।