× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলত সার্টিফিকেট জালিয়াতি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৭ পিএম

আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৭ পিএম

নকল সার্টিফিকেট। প্রবা ফটো

নকল সার্টিফিকেট। প্রবা ফটো

টাকার বিনিময়ে নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে। গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, জালিয়াতি করে সার্টিফিকেট বিক্রির বিষয়টি বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তারা জানতেন। এর সঙ্গে বোর্ডের লোকজনসহ অনেকে জড়িত। তাদের ম্যানেজ করেই চলত জালিয়াতি।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিবি। এই সার্টিফিকে কিন্তু জাল নয়। সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাত। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতো। তারপর রেজাল্ট অনুযায়ী টাকা নিত, তবে ৩৫ হাজারের কমে কোন সার্টিফিকেট বিক্রি করত না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিত।

এ কর্মকর্তা বলেন, এসব সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে  বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরি করছে। এভাবে সে দীর্ঘ দিনে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছে। 

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছে। শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করত এ প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করত। সকলের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করত। এমন কি তার এ সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানত। সকলেই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তার অপরাধ গোপন রাখত।

তিনি আরও বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে অভিযোগ উঠলে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা দেওয়া হয়। নিজেরে না বোঝার দোহাই দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও বিষয়টি ধরতে পেরে চুপ হয়ে যায়।

হারুন বলেন, শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সকলেই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ করে আসল সার্টিফিকেট বানিয়ে সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট, কোন কোন প্রতিষ্ঠান কিনেছেন, সেগুলো জানার চেষ্টা চলছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোনো রাঘববোয়াল জড়িত থাকার তথ্য পেলে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা