সংবাদ সম্মেলনে র্যাব
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:২০ পিএম
খিলগাঁওয়ে পুলিশের সোর্স আসিফ হত্যায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। প্রবা ফটো
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে সহযোগীদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ায় মাদক কারবারিদের হাতে খুন হতে হয় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করা আসিফকে। মাদক ব্যবসাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডে বড় বাধা মনে করায় তারা আসিফকে খুন করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে হত্যকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পায় র্যাব। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৩ এর এএসপি (মিডিয়া) মোঃ শামিম হোসেন।
তিনি জানান, ২০২১ সালে খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করা আসিফ নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর র্যাব প্রধান আসামি জিন্নাত আলীকে তার এক সহযোগীসহ ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ হেফাজতে ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জিন্নাত আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনের নাম প্রকাশ করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অন্তত আড়াই বছর পর মোঃ আলমগীর ও মোঃ রাজিবকে বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, আসিফ হত্যায় আলমগীর ও রাজিবসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারিক আদালতে আলমগীর ও রাজিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু তারা এতোদিন আত্মগোপনে ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানিয়েছে, আসিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে তারা (আলমগীর ও রাজিব) রাজধানীর খিলগাঁও ও বাড্ডা এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করত। এসব অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। আসিফ খিলগাঁও এলাকায় আলমগীর ও রাজিবের গ্রুপের কয়েকজনকে পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময়ে ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করে। এ জন্য তারা আসিফকে তাদের কাজের বড় বাধা মনে করছিল। আর সেই বাধা দূর করতে আসিফকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন আলমগীর, রাজিব ও জিন্নাত আলী।
র্যাব আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে নেওয়া হয়। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়াস্থ সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে এলে আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আসিফকে তার আত্মীয় স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় আসিফের ভাই বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলা করে।