প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৩ পিএম
ডিবির হাতে গ্রেপ্তারদের তথ্যের ভিত্তিতে জব্দ করা অস্ত্র। প্রবা ফটো
রাজধানীর ভাটারার জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে চালকের পায়ে গুলি ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনার মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরা বিভাগ। ডিবি জানিয়েছে, অস্ত্রের মহড়া ও গোলাগুলির নেপথ্যে ছিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অবৈধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
গ্রেপ্তাররা হলেন, রাশেদুজ্জামান খান রাজু, রকিব হোসেন মুন্না, শারিকুল ইসলাম খান, মো. আজিম পাটোয়ারী, মাহবুব খান, শরীফ খান ও সোহরাব খান। শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মহড়ার সময় ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলভার, একটি বিদেশি শর্টগান, ভাঙ্গা রিভলবার, ভাঙ্গা ৯ এমএম পিস্তল, ৭৫ রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগানের কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, পাঁচটি পুরোনো ম্যাগজিন, ৪০গ্রাম গান পাউডারের বারুদ ও ৬০টি বিভিন্ন অস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘১৮ মার্চ জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নম্বর প্লেট কেন্দ্র দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় রাজু ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তার সহযোগী মুন্না গুলি ছুড়লে তা রিকশাচালক রুবেলের ডান পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপরই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।’
ডিবিপ্রধান জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় জোয়ারসাহারার খাঁ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রাজুর পারিবারিক কবরস্থানের পাশের বাথরুম থেকে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ভারাটাসহ আশাপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা করেছিল। সেজন্য রিকশার নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে এলাকায় মহড়া চালায়। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে– এর বাইরে কারা তাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভাটারার জোয়ারসাহারা এলাকায় জমি কেনাবেচা, ভবন নির্মাণ, টেন্ডারবাজি ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রিকশাচালক রুবেলকে গুলির ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সবুজবাগ এলাকায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেটাতেও আমার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি।’