মধ্যাঞ্চলীয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৭ পিএম
হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রেমের সম্পর্ক না মানায় প্রেমিকের বাবাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাজিতপুর থানা পুলিশের একটি দল। বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এ দলের নেতৃত্বে দেন।
গ্রেপ্তার মো. রুবেল মিয়া উপজেলার আয়নারগোপ এলাকার মৃত হাসেন আলীর ছেলে।
বুধবার (২০ মার্চ) বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুর্শেদ জামান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান, বুধবার সকালে গ্রেপ্তার রুবেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজিতপুরের আয়নারগোপ এলাকার মধুচন্দ্র দাসের ছেলে সবুজচন্দ্র দাসের সঙ্গে প্রতিবেশী আক্তার হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী কল্পনা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে কল্পনা আক্তারের আত্মীয়স্বজনরা গত শনিবার বিকালে সবুজের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মধুচন্দ্র দাসকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এ নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে নিহতের স্ত্রী সুরজা রানী দাস বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রুবেল মিয়া ছাড়াও আয়নারগোপ এলাকার পছন্দ আলীর ছেলে আফসার উদ্দিন, আফসার উদ্দিনের স্ত্রী কল্পনা আক্তার এবং রুবেল মিয়ার মা মালেকা আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত মধু চন্দ্র দাসের বড় ছেলে সবুজ চন্দ্র দাসের সঙ্গে পাশের বাড়ির একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৫ মার্চ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সবুজচন্দ্র দাসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করেন। বিষয়টি না মেনে রুবেল মিয়া লাঠি ও বল্লমসহ ১৬ মার্চ বিকাল ৩ টার দিকে মধু চন্দ্র দাসের বাড়িতে এসে তাকে গালিগালাজসহ এলোপাথারি মারধর করেন। রুবেল মিয়ার সঙ্গে কল্পনা আক্তার, আফসার উদ্দিন ও মালেকা আক্তারও মধু চন্দ্রকে মারধর করে। এতে মধুচন্দ্র গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে যান।
তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। পরে উপজেলার ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মধুচন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় রুবেল মধুচন্দ্র দাসের ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলেও মামালায় উল্লেখ করা হয়।