প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৭ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩১ পিএম
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ছবি : সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সহিংসতার ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকীর করা মামলাটি শাহবাগ থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে দুই দিনে (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ৭ হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবীর মধ্যে ৫ হাজার ৩১৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে হট্টগোল, বাদানুবাদ, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় শুক্রবার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমানের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০ জনকে।
মামলায় ভোটগণনা ছাড়া জোর করে সম্পাদক পদের ফলাফল ঘোষণা, একটি আইফোন, পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া এবং রড, লাঠি ও চেয়ার দিয়ে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মারামারির ঘটনায় শুক্রবার রাতে বনানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
গ্রেপ্তাররা হলেন- এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি কাজী বশির আহমেদ, ৯ নম্বর আসামি তুষার, ১১ নম্বর আসামি তরিকুল, ৮ নম্বর আসামি সুমন ও ৬ নম্বর আসামি উসমান।
অন্য আসামিরা হলেন- মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, আরিফ, সুমন, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা ওরফে কবিতা, সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান ও সোহাগ।
বাকি আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘যে যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মারামারির ঘটনায় জড়িতরা কে কোন দলের– সেটা বিবেচ্য নয়। যারা অপরাধ করেছে, যাদের নামে মামলা হয়েছে, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাদের কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা করছি।’