ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র অনুমোদন

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে এই মামলাটি করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর তা আদালতে দাখিল করা হবে।

গত বছরের ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

ইউনূস ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন - গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এ ছাড়া আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

দুদকের অভিযোগপত্রে দেখা গেছে, আগের ১৩ জন আসামির সঙ্গে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আসামিরা ভুয়া বন্দোবস্তের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই টাকা তারা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। যা সম্পূর্ণ গোপন রেখেছিলেন তারা।