প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১৩ পিএম
প্রতারক চক্রের হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট। প্রবা ফটো
মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়া হয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে লোভনীয় বেতনে কাজ করার সুযোগের প্রস্তাব। ওই এসএমএস বিশ্বাস করে যারা যোগাযোগ করেন তাদের টার্গেট করে নানা খরচের হিসাব দেখিয়ে নেওয়া হয় টাকা। তারপর যোগাযোগ বন্ধ।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা থানার জোহার সাহারা এলাকা থেকে এমন প্রতারক চক্রের হোতাকে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। প্রতারক চক্রের ওই ব্যক্তির নাম মোশারফ হোসেন। এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ওই চক্রের অন্যতম আরেক সদস্য হিমেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটি শত শত টার্গেট ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এটিইউর পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম রাসেল জানিয়েছেন, প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে অর্থ হারিয়ে আরাফাত হোসেন নামের একজন রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে এটিইউ। প্রতারক চক্র বিভিন্ন সময়ে আরাফাতের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা নেয় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে। এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, আরাফাত প্রতারক চক্রের অফারে সাড়া দিলে, তারা আরাফাতকে কিছু সহজ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার টাস্ক দেয়। টাস্কগুলো সম্পন্ন করার পর প্রতারক চক্রের সদস্যরা আরাফাতের বিকাশ নম্বরে ৪৫০ টাকা পাঠায়। এরপর আরাফাত হোসেনকে একটি টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করা হয়। চক্রের নির্দেশনা অনুসরণ করে চক্রের বিকাশ নম্বরে ২ হাজার টাকা পাঠায় আরাফাত। পরবর্তীতে লভ্যাংশ হিসাবে বিকাশে ২৮০০ টাকা দেয় চক্রটি। এভাবে লভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে আরাফাতের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।