দাবি র্যাবের
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২০ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৫ পিএম
শনিবার রাজধানীর মিরপুর কলেজে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন। পরে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে জানাতে কলেজ মাঠে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, রাজধানীতে নাশকতা ঘটতে পারে– র্যাবের কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তবে নাশকতা কোথায় ঘটবে সে তথ্য জানা ছিল না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর কলেজে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন র্যাব ডিজি। পরে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে জানাতে কলেজ মাঠে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।
ভোট ঠেকাতে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আগের দিন শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুনে ৪ জন নিহত হয়েছে। আরও ৮ জন দগ্ধ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ডিজিকে প্রশ্ন করা হয়– বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল থেকে বিএনপি ও সমমনাদের হরতাল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি কি মনে করেন ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন? ভোটাররা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন কি না?
জবাবে খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল– এ ধরনের নাশকতা হতে পারে। কিন্তু কোথায় নাশকতা ঘটানো হবে, তা নিশ্চিত করে জানা কঠিন ছিল। নাশকতার জন্য বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করলেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি ) রাতে ট্রেনে কারা আগুন লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল (শুক্রবার) তিনজনকে আটক করেছি। তাদের কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে ২৮টি, ককটেল পাওয়া গেছে ৩০টি। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
র্যাব ডিজি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, এমন কোনো আশঙ্কা নেই– ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য র্যাবের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। ভোটের দিন আমাদের কাজ হলো ভোটারদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করা। ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করা। যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ভয় পাওয়া বা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’