প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:২০ পিএম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম
দেশের শীর্ষস্থানীয় ভূমিদস্যু প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় গত ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রংধনু রফিকের ভয়ংকর প্রতারণা’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সংবাদে একটি ডাহা মিথ্যাচারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বন্ধকি জমি জালিয়াতি করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ১২৬.৭৭ শতক জমি বন্ধক রেখে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে কিস্তির কোনো টাকা পরিশোধ করেনি রংধনু গ্রুপ।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই ব্লকে ৭৭ ও ৭৮ নম্বর প্লট দুটি ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কাছে বিক্রি করে রংধনু গ্রুপ। ২০১৯ সালের ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি যার নামজারি সম্পন্ন হয়। ওই জমির ওপর নির্মিত ভবন থেকে প্রতিমাসে এনটিএমসি স্ব-উদ্যোগে ভাড়া তুলছে। ওই ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলা রংধনু গ্রুপের কাছে ভাড়া দেয় এনটিএমসি। নিয়মিত ভাড়াও পরিশোধ করেছে রংধনু গ্রুপ। প্রকাশিত সংবাদে এনটিএমসি কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা শাখা থেকে ঋণ গ্রহণের পর এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে রংধনু গ্রুপ। ওই ব্যাংকের সাথে সকল ধরনের লেনদেন স্বাভাবিক গতিতেই অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রকাশিত রিপোর্টে কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি বলে যে কথা বলা হয়েছে সেটা নিছক মিথ্যাচার।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা শাখার ব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকের সাথে পার্টির কী সম্পর্ক থাকবে তা দুই পক্ষের নিজস্ব ব্যাপার। এ নিয়ে অন্য পক্ষের মাথা ঘামানোর কোনো সুযোগ নেই।’ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় তাকে উদ্ধৃত করে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা মিথ্যা, মনগড়া এবং বানোয়াট। ওই পত্রিকার কারও সাথেই রংধনু গ্রুপের বিষয়ে তার এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনো কথা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন আমিনুর রহমান।
নিরীহ মানুষদের ঠকিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে যে ভূমিদস্যুদের সর্দার আজ টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে, সেই মাফিয়া সম্রাট রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র, লাগামহীন মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ভালো মানুষ সেজে সমাজের ওপরতলায় অবস্থান করে ভূমিদস্যুদের গডফাদার, মাফিয়া সম্রাট বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান চাইছেন যেকোনো মূল্যে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। তাই বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন পত্রিকা, অনলাইন, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন অব্যাহত রেখেছেন। কিছুদিন আগে রূপগঞ্জের নাওড়া গ্রামে একটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান, তার ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দায়ের করে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় তারা। এরপরই পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু স্বাধীনের পরিবারকে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে লাশ নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু করে বসুন্ধরা গ্রুপ। অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বানিয়ে তার দায় চাপাতে চাইছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের ওপর। গত বৃহস্পতিবার মৃত শিশুটির পরিবারকে দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করে তারা। সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণের একপর্যায়ে বসুন্ধরা গ্রুপের লোকজন শিশুটির পরিবারকে নিয়ে পালিয়ে যায়।